হাসপাতালে লঙ্কাকাণ্ড আহত ১৫, সেবা বন্ধ
Published: 29th, May 2025 GMT
রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের সঙ্গে ভর্তি থাকা জুলাই অভ্যুত্থানের আহতদের হাতাহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচ চিকিৎসকসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা। গতকাল বুধবার সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চিকিৎসক, রোগী ও স্বজনরা হাসপাতাল ছেড়েছেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় সকাল থেকেই সব ধরনের চিকিৎসাসেবা বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়েন চিকিৎসা নিতে আসা হাজারো রোগী। এরই মধ্যে সাত দিনের ছুটিতে যান হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা.
আহতদের মধ্যে রয়েছেন– হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শহীদুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার ডা. মাহফুজুর রহমান, ডা. আরাফাত হোসেন, ডা. জাহিদ ও ডা. অভি।
হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত চার রোগী হাসপাতালে বিষপান করেন। এটিকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের পরিচালক, চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা, গায়ে হাত তোলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বুধবার সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন। এতে হাসপাতালে আসা রোগীরা পড়েন বিপাকে। শিডিউল অনুযায়ী অস্ত্রোপচার করার কথা থাকলেও হয়নি। আউটডোরে দীর্ঘ সারি থাকলেও টিকিট দেওয়ার লোক ছিল না। শুধু জরুরি বিভাগ খোলা ছিল।
নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা গৃহবধূ ফাতেমা খাতুনের গতকাল চোখের ছানি অপারেশন হওয়ার কথা ছিল। তবে কর্মবিরতি থাকার কারণে সেটা করা সম্ভব হয়নি। তাঁর বড় ছেলে শাহিদুর ইসলাম বলেন, বুধবার সকালে আমার মায়ের অস্ত্রোপচারের কথা ছিল। হাসপাতালে এসে দেখেছি, নার্স ও কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করছেন। জানতে চাইলে কেউ কোনো কথা বলতে রাজি হননি। শুধু আমার মায়ের না, কয়েকশ রোগীকে সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে দেখেছি।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বলেন, বেলা ১১টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। দুপুর দেড়টার দিকে সেনা ও কোস্টগার্ড সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এরই মধ্যে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের অনেকে আহত হন এবং হাসপাতালের কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়।
জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের অভিযোগ, তারা উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছেন না। হাসপাতালের কর্মচারীরা তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। চিকিৎসা না দিয়ে হেনস্তা করা হয়েছে। তাদের চোখের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গেছে।
জুলাই আন্দোলনে আহত হিল্লোল নামে একজন বলেন, সকাল থেকে সব ধরনের সেবা বন্ধ করে হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করছিলেন। জরুরি সেবাও দিচ্ছিলেন না। এটি নিয়ে প্রতিবাদ জানালে হাসপাতালের স্টাফরা আমাদের ও সাধারণ রোগীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (তেজগাঁও) আলমগীর কবির বলেন, পরিস্থিতি এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে আমরা আরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করেছি, যাতে আবার সংঘর্ষ না হয়।
হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ বলেন, তিন দিন ধরে হাসপাতালে সমস্যা হচ্ছে। এত ঝুঁকি নিয়ে চাকরি করা যাবে না। আমি সাত দিনের ছুটি নিয়েছি। সকালে আমাদের কর্মীরা মনঃক্ষুণ্ন হয়ে কর্মবিরতিতে যান। এতে বহির্বিভাগের রোগীদের সঙ্গে মিলে চিকিৎসকদের নাজেহাল করেন জুলাই আহতরা।
কর্মচারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। আনুমানিক ১৫ চিকিৎসক ও স্টাফ আহত হয়েছেন। তারা বেশির ভাগই পুরুষ। আর নারীদের তারা হুমকি-ধমকি দিয়েছেন।
তিনি জানান, জুলাই আহত ৫৫ জন ভর্তি ছিলেন। আত্মহত্যার চেষ্টা করে চারজন সোহরাওয়ার্দীতে এবং একজন সিএমএইচে ভর্তি আছেন।
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হাজারো ছাত্র-জনতা এ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। কয়েক মাস ধরে তাদের ৫৫ জন ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতালের পরিচালকের অভিযোগ, তাদের অনেককে ছুটি দেওয়া হলেও তারা হাসপাতাল ছাড়েননি। তারা এখান থেকে বিভিন্ন মিছিল-সমাবেশে অংশ নেন। এতে অন্য রোগীদের সমস্যা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান সমকালকে বলেন, চিকিৎসক ও নার্সদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রাতের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে বৃহস্পতিবার বৈঠক করে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বেলা সোয়া ৩টায় আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডাকা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র স ও কর কর মকর ত পর স থ ত চ ক ৎসক স ঘর ষ আহত হ
এছাড়াও পড়ুন:
যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে প্রায়ই তরুণদের দেখা যায় সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে ভুগতে। ফলে অনেক সময় যথেষ্ট মেধা, আগ্রহ ও দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও তাঁরা ক্যারিয়ারে ভালো করতে পারেন না। তরুণদের সঠিক দিকনির্দেশনা ও অনুপ্রেরণা জোগাতে প্রথম আলো ডটকম ও প্রাইম ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত পডকাস্ট শো: লিগ্যাসি উইথ এমআরএইচ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ রিদওয়ানুল হকের সঞ্চালনায় নবম পর্বে অতিথি হিসেবে অংশ নেন বিল্ডিং টেকনোলজি অ্যান্ড আইডিয়াস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এফ আর খান। আলোচনার বিষয় ছিল ‘রিয়েল এস্টেটে সততা, বিশ্বাস, পরিবার ও মানবিক মূল্যবোধ।’
‘কাজের ক্ষেত্রে প্রফেশনাল আর সৎ থাকতে হবে। যদি মনে করেন আপনি কোনো কাজে ভালো, তাহলে চেষ্টা কখনো বিফলে যাবে না।’ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে তরুণদের উদ্দেশে এ পরামর্শ দেন বিল্ডিং টেকনোলজি অ্যান্ড আইডিয়াস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এফ আর খান।
পডকাস্ট শো: লিগ্যাসি উইথ এমআরএইচে অতিথি হিসেবে এসে তরুণদের এই পরামর্শ দেন তিনি। পডকাস্ট শোর এ পর্বটি গতকাল শনিবার প্রথম আলোর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে প্রচারিত হয়।
পডকাস্টের শুরুতেই সঞ্চালক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশে রিয়েল এস্টেট সেক্টর নিয়ে আজ থেকে চার দশক আগে আপনার ধারণা কী ছিল?
উত্তরে এফ আর খান বলেন, ‘১৯৭৯ সালে বুয়েট থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করার পর আমি বুয়েটেই প্রথম কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ শুরু করি। সে সময় ঢাকায় বেশ কয়েকটি সুপরিচিত ভবনের নকশা করার সুযোগ পাই। কিছুদিন পর আমি মাস্টার্স করার কথা ভাবি, কারণ বুঝেছিলাম—আরেকটি উচ্চতর ডিগ্রি ছাড়া পেশাগতভাবে নিজেকে আরও এগিয়ে নেওয়া কঠিন। সেই সময় স্কলারশিপের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছিল, তাই এর মধ্যেই আইবিএতে ভর্তি হই। সেখানে ম্যানেজমেন্ট ও বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের দারুণ এক্সপোজার পাই। এদিকে কিছুদিন পরই বিদেশে পড়ার স্কলারশিপও পেয়ে যাই। দেশে ফিরে এসে আমি ইস্টার্ন হাউজিংয়ে যোগ দিই।’
এফ আর খান আরও বলেন, ‘ইস্টার্ন হাউজিংয়ে যোগ দিয়েই বুঝলাম, আরে, এটা তো দারুণ! এখানে নিজেই নকশা করতে পারি একজন স্ট্রাকচারাল ডিজাইনার হিসেবে, নিজেই সেটি নির্মাণ করতে পারি আবার বিক্রিও করতে পারি। শুধু তা–ই নয়, গ্রাহকের জন্য সার্ভিস এবং বিক্রয়–পরবর্তী সেবা দেওয়ারও সুযোগ আছে। অর্থাৎ পুরো প্রক্রিয়াটিই একধরনের ইকোসিস্টেম, যেখানে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছু নিজের নিয়ন্ত্রণে।’
প্রসঙ্গক্রমে বিটিআইয়ের যাত্রা সম্পর্কে জানতে চাইলে এফ আর খান বলেন, ‘আমি এবং আমার দুজন সহকর্মী মিলে বিটিআই প্রতিষ্ঠা করি। তাঁদের মধ্যে একজন বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন। তিনি বুয়েট থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেন। প্রতিষ্ঠাকালীন তিনি পুরো ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেন। আরেকজন সহকর্মী ছিলেন, যিনি আইবিএ থেকে পড়াশোনা করেন, তিনি মার্কেটিং দেখতেন। আমি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দায়িত্ব নিই। এভাবেই আমরা ১৯৮৫ সালে বিটিআই শুরু করি।’
এই দীর্ঘ যাত্রায় সবচেয়ে বড় শেখাটা কী ছিল? জানতে চাইলে এফ আর খান বলেন, সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারলেই সফলতা আসে। তিনি বলেন, ‘আমার জীবনের বড় শিক্ষা এটিই—যদি তুমি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে।’
এরপর সঞ্চালক জানতে চান, আপনি বাংলাদেশের ফ্ল্যাট মালিকানা আইন ও মান নিয়ন্ত্রণে যে কাজ করেছেন, সেটার পেছনে অনুপ্রেরণা কী ছিল?
উত্তরে এফ আর খান বলেন, ‘জাপানে পড়তে গিয়ে আমি দেখেছি, ওরা সম্পূর্ণ কমপ্লায়েন্স বেজড সিস্টেমে চলে। এই মানসিকতাই আমাকে অনুপ্রাণিত করে। দেশে ফিরে দেখি মালিকানা আইন তখনো অস্পষ্ট। আমরা পার্লামেন্টে গিয়ে আইন পাস করাই, যাতে অ্যাপার্টমেন্ট মালিকেরাও জমির আনুপাতিক মালিক হন। পরবর্তী সময়ে ব্যাংক লোন, ইনভেস্টমেন্ট, শেয়ার বণ্টন—সবকিছু আমরা আইনি কাঠামোর মধ্যে আনতে সক্ষম হই।’
আপনি নীতিনিষ্ঠ ব্যবসা নিয়ে সব সময় কথা বলেন। এই নীতি রক্ষা করে ব্যবসা চালানো কতটা কঠিন? জানতে চাইলে এফ আর খান বলেন, এটি কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয়। অনেক সময় চাপে পড়তে হয়েছে; কিন্তু কখনো শর্টকাট নেননি তিনি। তাঁর মতে, সঠিক পথে চললে লাভ একটু দেরিতে আসে কিন্তু স্থায়ী হয়।
আপনার দাদা এবং আপনার পরিবারের মূল্যবোধ আপনাকে কতটা প্রভাবিত করেছে? এই প্রশ্নের উত্তরে এফ আর খান বলেন, ‘অত্যন্ত গভীরভাবে। আমার দাদা ছিলেন একজন গণিতজ্ঞ, খুব নীতিমান মানুষ। ছোটবেলায় বাবার কাছ থেকে শিখেছি, মানুষকে কীভাবে সম্মান দিতে হয়। এই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিটা পরে জাপানে পড়তে গিয়ে আরও গভীর হয়েছে। এই মানসিকতাই আমার ব্যবসার ডিএনএতে আছে। আমার চাচা প্রয়াত ড. ফজলুর রহমান খান, বিশ শতকের শ্রেষ্ঠ স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার। তিনিও আমার জীবনে অসাধারণ প্রভাব ফেলেছেন। উনিই আমার নাম রেখেছিলেন। উনি ছিলেন আমার অনুপ্রেরণা। তাঁর কাজ, তাঁর বিনয় আর সৃষ্টিশীলতা আমাকে শিখিয়েছে যে প্রকৌশল মানে কেবল কাঠামো নয়—এটা মূল্যবোধ ও মানবিকতার মেলবন্ধন।’
এই সেক্টরকে অনেকে শুধু মুনাফার ক্ষেত্র হিসেবে দেখে। আপনি কীভাবে ভারসাম্য রাখেন নৈতিকতা ও ব্যবসার মধ্যে? সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের উত্তরে এফ আর খান বলেন, ‘নীতির সঙ্গে ব্যবসা করলে একটি দীর্ঘমেয়াদি আস্থা তৈরি হয়। গ্রাহক যদি বুঝতে পারেন আপনি সৎ, তাহলে তাঁরা বারবার ফিরে আসবেন। আমরা বিটিআইতে এই বিশ্বাসেই কাজ করি।’
সঞ্চালক এ পর্যায়ে বলেন, আজকাল স্মার্ট হোম, টেকনোলজি—এসব নিয়ে আলোচনা হয়। আপনি মানবিক সংবেদনশীলতার কথা বলেন। এই ভারসাম্য কীভাবে দেখেন?
উত্তরে এফ আর খান বলেন, প্রযুক্তি মানুষের জন্য, মানুষ প্রযুক্তির জন্য নয়। আর নিয়ম ও আইনকানুন—সবই তৈরি হয় সমাজ ও মানুষের উন্নতির জন্য। তাই নিয়ম মেনে চললে কিন্তু মানবিকতার জায়গাটা কখনো হারায় না। ক্লায়েন্টের প্রতি সহানুভূতি রাখতে হবে। প্রয়োজনে কঠোরতা থেকে নমনীয়তায় যেতে হবে—এটাই মানবিক দৃষ্টিকোণ।
আলোচনার শেষ পর্যায়ে সঞ্চালক জানতে চান, আপনার জীবনে কোনো অপূর্ণ ইচ্ছা আছে কি না?
এ বিষয়ে এফ আর খান বলেন, ‘অপূর্ণ ইচ্ছা বলতে চাই না। কারণ, এখনো চেষ্টা করছি এটি নিয়ে এবং আমার বিশ্বাস এটি পূর্ণ হবে। তা হলো অ্যাফোর্ডেবল হাউজিং—সাধারণ মানুষের জন্য বাসস্থান। শুনতে সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার মনে হলেও এর পেছনে কোনো ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য নেই বললে ভুল হবে। তবে আমি আমার টেকনিক্যাল এবং প্রফেশনাল জ্ঞান কাজে লাগিয়ে আমাদের কোম্পানিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’