সাউথ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ হারালেন নড়িয়ার বিল্লাল
Published: 21st, June 2025 GMT
সাউথ আফ্রিকার কেপটাউনের একটি দোকানে ডাকাতি শেষে সন্ত্রাসীর গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বিল্লাল হোসেন (৩৮) নামে একজন শরীয়তপুরের। তিনি নড়িয়া উপজেলার চামটা ইউনিয়নের দিনারা এলাকার সিরাজ শিকদারের মেজো ছেলে।
শুক্রবার (২১ জুন) সকালে এ তথ্য জানিয়েছে তার পরিবার। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে সাউথ আফ্রিকার কেপটাউনে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
পরিবার জানায়, পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে ৯ বছর আগে সাউথ আফ্রিকা পাড়ি জমান দিনারা এলাকার বিল্লাল হোসেন। তিনি কেপটাউনের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী হিসেবে চাকরি করতেন। সাউথ আফ্রিকার সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাতে সেই প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে ডাকাত দল। এসময় তারা নগদ টাকা এবং মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় বিল্লাল হোসেন ও তার আরেক সহকর্মী কিশোরগঞ্জ জেলার এমদাদুল হক।
গ্রাম পুলিশ জাফর ইকবাল বলেন, ‘‘বিল্লাল খুবই ভালো ছেলে ছিলো। তারা ৩ ভাইয়ের মধ্যে বড় ভাই আলাদা থাকেন। আর ছোট ভাই শারীরিক প্রতিবন্ধী। বিল্লালের টাকায় তার পরিবার চলতো। এই ঘটনার পর পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে।’’
নিহতের বাবা সিরাজ শিকদার বলেন, ‘‘এভাবে আমার ছেলে মারা যাবে মেনে নিতে পারছি না। আমরা এখন কীভাবে বাঁচবো। আমার ছেলের মুখটা শেষ বারের মতো দেখতে চাই।’’
এ ব্যাপারে নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘‘আমরা পরিবারটির খোঁজ খবর নিবো। মরদেহ ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটির পাশে উপজেলা প্রশাসন থাকবে।’’
ঢাকা/আকাশ/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গকসু নির্বাচন: যত্রতত্র প্রচারে বিরক্ত শিক্ষার্থীরা
গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচন ঘিরে দীর্ঘ ৭ বছরের উচ্ছ্বাসে ভাটা এনেছে যত্রতত্র প্রচার। সাধারণ নিয়মের পরোয়া না করেই প্রচার চালাচ্ছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা।
জান যায়, লাইব্রেরিতে জোরে কথা বলা নিষিদ্ধ থাকলেও সেখানে প্রচার চালিয়েছেন এক ভিপি পদপ্রার্থী। আরেক ভিপি পদপ্রার্থী আইন বিভাগে ক্লাস চলা অবস্থায় গিয়ে নির্বাচনী প্রচার করেন।
আরো পড়ুন:
চাকসু নিয়ে স্বরাষ্ট্র ও শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে চবি প্রশাসনের মতবিনিময়
চাকসু নির্বাচন: ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের প্যানেল ঘোষণা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে এসব ভিডিও। এতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ক্লাসে বসে পড়াশোনা করব, অথচ হঠাৎ প্রার্থী ঢুকে প্রচারণা শুরু করবেন—এটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।
নিয়মিত লাইব্রেরি ব্যবহারকারী কিছু শিক্ষার্থী জানান, লাইব্রেরিতে পড়ার সময় প্রার্থীসহ ৬-৭ জন এসে প্রচার চালান এবং ডেকে লিফলেট বিতরণ করেন, যা পড়া-শোনার বিঘ্ন ঘটায়। পড়াশোনার জায়গাতেই যদি প্রচার হয়, তাহলে আমরা কোথায় পড়ব?
এ বিষয়ে সহকারী লাইব্রেরিয়ান জ্যোতি বলেন, “লাইব্রেরিতে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অভিযোগ এসেছে কিছু প্রার্থী-সমর্থক সাধারণ শিক্ষার্থীর মত এসে প্রচার চালিয়েছেন। ফলে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে নজরদারি বাড়িয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হয়েছে।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিওতে দেখা যায়, আইন বিভাগে ক্লাস চলাকালে শিক্ষকের উপস্থিতিতে প্রচারণা চালাচ্ছেন এক ভিপি প্রার্থী।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক মো. লিমন হোসেন বলেন, যেহেতু এইটা পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন, সেহেতু সবারই সহযোগিতা দরকার। তাই আমি অনুমতিক্রমে প্রার্থীদেরকে তাদের প্রচারণা চালানোর সুযোগ দিয়েছি। তবে এই সুযোগ আমি কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য দেইনি, সবার জন্যই দিয়েছি। তবে শুধু প্রার্থীকে ২ মিনিটের সুযোগ দিয়েছি।”
সার্বিক বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ফুয়াদ হোসেন বলেন, “লাইব্রেরির পরিবেশ বজায় রাখা লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক একাডেমিক কার্যক্রম যেন কোনোভাবেই বিঘ্নিত না হয়।”
ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী