চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই নেতা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিতে (এলডিপি) যোগদান করেছেন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সদস্য মো. শামসুল ইসলাম ও উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. মনির আহমদ।

তাঁরা দুজনই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়ার অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। দুই আওয়ামী লীগ নেতার এলডিপিতে যোগদানের বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

মো.

শফিউল আলম নামের একজন নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছেন, আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে তারা আবার শামসুল ইসলাম ও মনির আহমদকে দলে ফিরিয়ে আনবে। অপর দিকে আওয়ামী লীগের এসব লোকজন কীভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা অলি আহমদের দলে থাকতে পারেন, এমন কথা লিখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন আজিজুল হক নামের একজন।

এলডিপিতে যোগদানের ব্যাপারে জানার জন্য কেঁওচিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মনির আহমদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে লীগের কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সদস্য মো. শামসুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এলাকার লোকজন চাচ্ছিলনে, আমি এলডিপিতে যোগদান করি। তাঁদের চাপাচাপিতেই এলডিপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এলডিপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া শিমুল বলেন, গত বৃহস্পতিবার শামসুল ইসলাম এবং গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় জেলা কার্যালয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনির আহমদসহ তিন ইউপি সদস্য এলডিপিতে যোগদান করেন। এলাকায় ক্লিন ইমেজ ও দানবীর হিসেবে তাঁরা পরিচিত। তাই তাঁদের এলডিপিতে নেওয়া হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এলড প ত

এছাড়াও পড়ুন:

এক কাপ কফি খাও, তারপর লিখতে বসো—মতি ভাই বললেন

‘অতর্কিতেই আকাশ আনল
বিদ্যুৎময় আলোকচিত্র
নতুন একটা কবিতা পড়তে
উঠে দাঁড়ালেন অরুণ মিত্র।’—কবির সুমন

যখন মোবাইল ফোনের চার্জ কমে আসে, আপনি কী করেন? চার্জ দেন। যখন আপনার মনের চার্জ কমে আসে, আপনি কী করেন? আমি কী করি, আপনাকে বলি। আমি সাইফুল সামিনকে দেখি। আমাদের সহকর্মী, বন্ধু, তরুণতর সাইফুল ইসলাম ওরফে সাইফুল সামিন। এখন সামিনের বয়স ৪০ ছুঁয়েছে। সাইফুল সামিন প্রথম আলোয় এবার অন্যতম সেরা কর্মীর পুরস্কার পেয়েছেন। সাইফুল সামিন আজ থেকে ১৭ বছর আগে ছিলেন একজন তরুণ শিক্ষার্থী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র। প্রথম আলোর ঢাকায় থাকি পাতায় প্রদায়ক হিসেবে লিখতেন। খবর সংগ্রহ করতেই গিয়েছিলেন তেজগাঁও রেলস্টেশনে। দুর্ভাগ্যক্রমে ট্রেনের নিচে তাঁর দুই পা চলে যায়, প্রায় কোমরের কাছাকাছি জায়গা থেকে তাঁর দুটো পা কাটা পড়ে। সেই সাইফুল সামিন বেঁচে যান। প্রথম আলো তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর দুটো কৃত্রিম পায়ের তহবিল জোগাড়ের জন্য ক্যাম্পেইন শুরু করে। প্রথম আলো তাতে হাত মেলায়। অনেকের সহযোগিতায় কৃত্রিম পা নিয়ে উঠে দাঁড়ান সাইফুল সামিন।

সাইফুল অন্য যেকোনো সাংবাদিকের মতো নিয়মিত আসেন প্রথম আলোয়। একজন সহকারী নিয়োগ দিয়ে রেখেছেন তিনি, তাঁকে চলাচলে সাহায্য করার জন্য। তিনি ৫ মিনিট দেরিও করতে চান না। কারও চেয়ে কম কাজও করেন না। তিনি যে আমাদের সেরা কর্মীর পুরস্কার পাবেন, তাতে আর আশ্চর্য কী!

সেরা কর্মীদের একজন সাইফুল সামিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিউ ইয়র্ক-এর ফাস্ট লেডি ‘রামা দুয়াজি’
  • রোমান সম্রাজ্ঞী মেসালিনাকে যেকারণে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিলো
  • ডাকসু নেতার প্রবীণ ব্যক্তিকে লাঠি হাতে শাসানো নিয়ে সমালোচনা-বিতর্ক
  • সিলেট চেম্বারের নির্বাচন দাবিতে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন
  • এক কাপ কফি খাও, তারপর লিখতে বসো—মতি ভাই বললেন
  • বাংলালিংক পরিদর্শনে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
  • তিন দশক পর শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অ্যালামনাইয়ের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি
  • অনলাইন জুয়ায় জড়িতদের মোবাইলে ইন্টারনেটের গতি সীমিত করার চিন্তা
  • বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা হয়নি ঢাকা-২০ আসনে, অপেক্ষায় ৪ নেতা
  • শহিদনগর বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদ সংলগ্ন মাঠে বাবুলের উঠান বৈঠক