মেয়াদ ও বার এই দুই শব্দ ঘিরে বহু ব্যাখ্যা তৈরি হয়েছে: সালাহউদ্দিন
Published: 22nd, June 2025 GMT
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ও বার গোনার জটিলতা এড়িয়ে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণের পক্ষে মত দিয়েছে বিএনপি। রবিবার (২২ জুন) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপ শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের একথা জানান।
তিনি বলেন, “মেয়াদ ও বার এই দুই শব্দ ঘিরে বহু ব্যাখ্যা ও জটিলতা তৈরি হয়েছে। কেউ বলছেন, দুইবার, কেউ বলছেন দুই মেয়াদ। তবে, এমন পরিস্থিতি হতে পারে, যেখানে কেউ অল্প সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী হবেন আবার কেউ বারবার অল্প মেয়াদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হবেন। এতে প্রকৃত মেয়াদের চেয়ে বার গোনা অর্থহীন হয়ে পড়ে।”
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “আমরা লিখিত প্রস্তাবেও বলেছি, কোনো ব্যক্তি পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। তবে, মেয়াদ বলতে সংসদ পূর্ণ থাকবে কিনা, সেটা নির্ভর করে সংসদের ওপর। আমাদের সংবিধানে সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর নির্ধারিত আছে, কিন্তু তা রাজনৈতিক বাস্তবতায় পরিবর্তন হতে পারে।”
আরো পড়ুন:
ধর্ষণের শিকার শিশুর পরিবার পেল আর্থিক সহযোগিতা
বিএনপির পথসভায় ‘মুজিবীয় শুভেচ্ছা’ জানালেন ছাত্রদল নেতা
তিনি আরো বলেন, “বার গোনার বদলে একজন ব্যক্তি জীবনে সর্বোচ্চ কত বছর প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে। যদিও আমি নির্দিষ্ট কোনো বছর উল্লেখ করিনি, কারণ সেটি আমার একক সিদ্ধান্তে বলা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে চূড়ান্ত অবস্থান নিতে হবে।”
বিএনপির এই নেতা বলেন, “আমরা জাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে স্পষ্ট ও বাস্তবসম্মত অবস্থান নিতে আগ্রহী। মেয়াদ নির্ধারণ হোক কিংবা বছর, মূল কথা হচ্ছে ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা নিশ্চিত করা এবং গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।”
ঢাকা/রায়হান/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
সাতকানিয়ায় আওয়ামী লীগের দুই নেতার এলডিপিতে যোগদান, ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনা
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই নেতা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিতে (এলডিপি) যোগদান করেছেন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সদস্য মো. শামসুল ইসলাম ও উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. মনির আহমদ।
তাঁরা দুজনই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়ার অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। দুই আওয়ামী লীগ নেতার এলডিপিতে যোগদানের বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
মো. শফিউল আলম নামের একজন নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছেন, আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে তারা আবার শামসুল ইসলাম ও মনির আহমদকে দলে ফিরিয়ে আনবে। অপর দিকে আওয়ামী লীগের এসব লোকজন কীভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা অলি আহমদের দলে থাকতে পারেন, এমন কথা লিখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন আজিজুল হক নামের একজন।
এলডিপিতে যোগদানের ব্যাপারে জানার জন্য কেঁওচিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মনির আহমদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে লীগের কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সদস্য মো. শামসুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এলাকার লোকজন চাচ্ছিলনে, আমি এলডিপিতে যোগদান করি। তাঁদের চাপাচাপিতেই এলডিপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এলডিপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া শিমুল বলেন, গত বৃহস্পতিবার শামসুল ইসলাম এবং গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় জেলা কার্যালয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনির আহমদসহ তিন ইউপি সদস্য এলডিপিতে যোগদান করেন। এলাকায় ক্লিন ইমেজ ও দানবীর হিসেবে তাঁরা পরিচিত। তাই তাঁদের এলডিপিতে নেওয়া হয়েছে।