ইরানে হামলার উদ্দেশ্য শাসক পরিবর্তন নয়: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
Published: 22nd, June 2025 GMT
ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের দাবি, এই হামলার পেছনে ইরানের শাসনক্ষমতায় পরিবর্তন আনার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তার ভাষ্য, ইরানের শাসক পরিবর্তন এই অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল না। হামলার আগে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে তেহরানের কাছে সরাসরি বার্তা পাঠিয়ে দরকষাকষি ও আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছিল। খবর রয়টার্সের।
‘অপারেশন মিডনাইট’ নাম দেওয়া সামরিক এই অভিযানে অংশ নেয় যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি সাতটি বি-২ বোমারু বিমান। বিমানগুলো ১৪টি বাঙ্কার বাস্টার বোমা নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফসের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার বিষয়ে ইরানকে হুশিয়ারি দিয়েছেন হেগসেথ। তিনি বলেন, এ ধরণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হলে মার্কিন বাহিনী নিজেদের সুরক্ষা দেবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি নিখুঁত অভিযান চালিয়ে ইরানের পরমাণু প্রকল্প আমাদের জাতীয় স্বার্থের প্রতি যেসব হুমকি সৃষ্টি করেছে তা নির্মূল করার অনুমোদন দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুদ্ধবিমান হামলা শেষ করে ইরানের আকাশসীমা থেকে বের হয়ে আসার পর পেন্টাগন দেশটির আইনপ্রণেতাদের এই অভিযানের বিস্তারিত জানিয়েছে। এটি একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে পরিচালিত অভিযান ছিল এবং আগে থেকেই অভিযানের গণ্ডি নির্ধারণ করা ছিল। প্রেসিডেন্ট আমাদেরকে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। এই অভিযানটিতে সেনাদের ইচ্ছামতো কাজ করার কোনো সুযোগ ছিল না।
যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিযানে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে বড় আকারে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গাজায় ২০ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসন, লেবাননে ইসরায়েলের হামলা ও সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের পতন—সব মিলিয়ে একেবারে উত্তপ্ত অবস্থায় আছে ওই অঞ্চলটি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র য ক তর ষ ট র র
এছাড়াও পড়ুন:
পরিচয় সংকটে ভুগে ঝুঁকেছিলেন মাদকে, পরে তিনিই হলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট
ছবি: রয়টার্স