ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান প্রজন্মের জনপ্রিয় মুখ প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। শিশুশিল্পী হিসেবে আলো ছড়ানো এই অভিনেত্রী এখন পুরোদস্তুর নায়িকা। 

চলতি বছরের ঈদুল ফিতরে মুক্তি পায় দীঘি অভিনীত ‘জংলি’ সিনেমা। এতে সিয়ামের বিপরীতে অভিনয় করে দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন দীঘি। সেই সাফল্যের পরই শুরু হয়েছে তার নতুন সিনেমা ‘বিদায়’-এর শুটিং।

আরো পড়ুন:

বিচ্ছেদের গুঞ্জন উড়ালেন পূর্ণিমা

স্টার সিনেপ্লেক্সে নতুন জাপানি সিনেমা

সুনামগঞ্জের বিভিন্ন লোকেশনে চলছে সিনেমাটির চিত্রায়ণ, যা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে। এরপর মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে ধারণ করা হবে কিছু অংশ। সিনেমাটিতে দীঘির সহশিল্পী হিসেবে আছেন জনপ্রিয় অভিনেতা বাপ্পারাজ।

এমন ব্যস্ততার মধ্যেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নিজের ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত মানসিকতা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন দীঘি। তার ভাষায়, “প্রতিটি সিনেমায় চরিত্রই আমার কাছে প্রধান। কারণ চরিত্রের মধ্যেই আমি নিজেকে খুঁজে পাই। কাজ করলে সমালোচনা থাকবেই, কিন্তু এখন আর ওসব নিয়ে মাথা ঘামাই না। আগে কষ্ট পেতাম, এখন বুঝি—অনেকে অন্যকে ছোট করে নিজেকে বড় দেখাতে চায়।” 

নায়িকা হিসেবে পর্দায় পা রাখার পর নানা সমালোচনার মুখে পড়লেও সেটাকেই প্রেরণা হিসেবে দেখেন দীঘি। তার মতে, সমালোচনা তাকে আরো দৃঢ় করেছে এবং শিল্পী হিসেবে বেড়ে ওঠার পথে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।  

অভিনয় এখন দীঘির জীবনের সবচেয়ে বড় ভালোবাসা—আর সমালোচনার ভেতর দিয়েই তিনি খুঁজে পান নতুন উদ্যমে সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি। 

‘বিদায়’ সিনেমাটি পরিচালনা করছেন মেহেদী হাসান হৃদয়। ‘বরবাদ’ নির্মাণ করে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। ‘বিদায়’ চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করছেন শাহরিন আক্তার।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

আজও পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে

উত্তরের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। গত কয়েকদিন ধরে দেশের অন্যসব অঞ্চলের তুলনায় এখানকার তাপমাত্রা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে এই তাপমাত্রা রেকর্ড করে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। এর আগে, গতকাল শনিবার একই সময়ে তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আরো পড়ুন:

পটুয়াখালীতে শীতের দাপট

পঞ্চগড়ে বাড়ছে শীত, তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রিতে

আরো পড়ুন: পঞ্চগড়ে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের ঘরে নেমেছে। কারণ হিসেবে তিনি জানান, তাপমাত্রার পারদ ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে থাকলে সেটিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। ডিসেম্বরেই তাপমাত্রা আরো কমে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে, রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে গ্রামীন জনপদ ও ফসলের ক্ষেত। সকালে কাজে বের হওয়া শ্রমজীবী মানুষরা সবচেয়ে বেশি ভুগছেন। অনেকেই গায়ে অতিরিক্ত কাপড় জড়িয়েও কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শিশু, বয়স্ক ও রোগীদের ওপর প্রভাব বেশি পড়ছে। দরিদ্র পরিবারগুলো শীতবস্ত্রের সংকটে রয়েছেন।

পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বলেন, “শীতে জেলা প্রশাসনের বড় কাজ হলো শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানো। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন এই কাজটি নিয়মিত করে যাচ্ছে। এবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে জেলায় ৩০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। ৮ হাজার ৬৪০টি কম্বল কিনে পাঁচটি উপজেলার ৪৩টি ইউনিয়নের বিতরণ করা হয়েছে। আরো ৬৫ হাজার কম্বলের চাহিদা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/নাঈম/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ