Prothomalo:
2025-12-12@04:42:00 GMT

ডিম দিনে কয়টি ও কীভাবে খাবেন

Published: 5th, July 2025 GMT

একসময় বলা হতো বেশি ডিম খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা এখন সে অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। চীনে বড় এক সমীক্ষার ওপর ভিত্তি করে চালানো গবেষণায় অন্তত একটি বিষয় পরিষ্কার হয়েছে যে প্রতিদিন একটি ডিম খেলে হৃদ্‌যন্ত্র বা শরীরের রক্ত সঞ্চালনে কোনো ঝুঁকি তৈরি হয় না। বরং প্রতিদিন একটি ডিম স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

বহুদিন পর্যন্ত ডিমকে ‘শরীরের শত্রু’ বলে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। ডিম স্যালমোনেলা জীবাণুর উৎস, ডিম রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, ডিম খেলে রক্তচাপ বাড়ে—এমন ধারণা ছিল অনেকেরই। কিন্তু এখন ডিম নিয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মতবাদ পাল্টে যাচ্ছে।

গবেষণা অনুযায়ী, একটি প্রমাণ সাইজের ডিমে (৫৮ গ্রাম) ৪ দশমিক ৬ গ্রাম চর্বি থাকে। এর মাত্র চার ভাগের এক ভাগ স্যাচুরেটেড বা জমাট চর্বি, যা ক্ষতিকর ভাবা হয়। কারও যদি আগে থেকে কোলেস্টেরল, হৃদ্‌রোগ বা ফ‍্যাটি লিভারের সমস্যা না থাকে, তবে এই পরিমাণ কোলেস্টেরল মানবদেহের জন‍্য ক্ষতিকর নয়।

দিনে কয়টি ডিম খাবেন

ডিমে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন এ, ডি, বি ও বি১২। এ ছাড়া আছে লুটেইন ও জিয়াস্যানথিন নামক দুটি প্রয়োজনীয় উপাদান, যা প্রবীণ বয়সে চোখের ক্ষতি ঠেকাতে সাহায্য করে। ডিমের কুসুমে কিছুটা ভিটামিন ডি থাকে। তবে কোনো কিছুই বাড়তি খাওয়া ভালো নয়। ডিম যদিও ‘প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস’, কিন্তু একটা ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে যেন অন্য খাবার থেকেও আমরা প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন পাই, যা অনেক সময়ই শরীরের জন্য দৈনন্দিন প্রয়োজনের তুলনায় দুই থেকে তিন গুণ বেশি।

কীভাবে ডিম খাওয়া ভালো

ডিম রান্নার সবচেয়ে সহজ, পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায় হলো ডিম সেদ্ধ করা বা পানিতে ডিম পোচ করা। ডিম ভেজে না খাওয়াই ভালো। কারণ, ডিম যে তেলে বা মাখনজাতীয় চর্বিতে ভাজা হয়, তাতে থাকা স্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।

কাঁচা ডিম বা হালকা করে রান্না ডিমও পুষ্টিযুক্ত। তবে সেই ডিম স্যালমোনেলা–জাতীয় জীবাণুমুক্ত হতে হবে। জীবাণু সংক্রমণের উদ্বেগ থাকলে ডিম রান্না করে খাওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ।

কখনো এমন ডিম কিনবেন না যা ভাঙা বা ফাটা। ডিম সামান্য ফাটা থাকলেও সেখানে ধুলাবালি বা জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে। ডিম রাখার বিশেষ যে বক্স ফ্রিজে থাকে, সেখানে ডিম সবচেয়ে ভালো থাকে। বক্সের ভেতরে থাকলে ডিমের সাদা অংশ তিন সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে। বরফে হিমায়িত অবস্থায় ডিমের সাদা ও কুসুম ভালো থাকে তিন মাস পর্যন্ত।

ইসরাত জাহান, পুষ্টিবিদ, স্পেশালাইজড গ‍্যাস্ট্রোলিভার কেয়ার, ধানমন্ডি, ঢাকা

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ও মঙ্গোলিয়ার মধ্যে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষরিত

বাংলাদেশ এবং মঙ্গোলিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি। মঙ্গোলিয়ার পক্ষে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মঙ্গোলিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত গ্যানবোল্ট তামবাযাও। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, ‘‘আমাদের উচিত এই কূটনৈতিক সদিচ্ছাকে ব্যবসা-বাণিজ্যিক যোগাযোগে রূপান্তর করা যেন আমাদের অর্থনৈতিক অংশীদারত্বের পূর্ণ সম্ভাবনা বাস্তবায়িত হয়।”

মঙ্গোলিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, “কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের অনুকূলে ভিসা অব্যাহতি চুক্তির পাশাপাশি সর্বসাধারণের জন্যও ভিসা অব্যাহতি চুক্তি করা যেতে পারে।”

মঙ্গোলিয়ার প্রতিনিধিদলে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মঙ্গোলিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত গ্যানবোল্ট তামবাযাও ও মঙ্গোলিয়ায় বাংলাদেশের অনারারি কনস্যুল জেনারেল, নাসরিন ফাতেমা আউয়াল। 

বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিরাগমন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ফয়সল আহমেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত উইং) মোহাম্মদ নুরে আলম প্রমুখ।

বাংলাদেশ এবং মঙ্গোলিয়ার মধ্যে পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তিতে মোট ১১টি অনুচ্ছেদ রয়েছে। এটি স্বাক্ষর হওয়ার ফলে উভয় দেশের কূটনৈতিক এবং অফিসিয়াল পাসপোর্টধারী নাগরিক অপর পক্ষের ভূখণ্ডে প্রবেশ, বহির্গমন ও ট্রানজিটের ক্ষেত্রে অনধিক ৩০ দিনের জন্য ভিসা ছাড়াই অবস্থান করতে পারবেন। এ চুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য বলবৎ থাকবে। চুক্তিবদ্ধ যে কোনো পক্ষ ৯০ দিনের লিখিত নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে এ চুক্তির অবসান ঘটাতে পারবে।

আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ এবং আন্তঃদেশীয় সম্পর্ক অধিকতর ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি সম্পাদন করা হয়। এ পর্যন্ত ৩৪ দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি সই হয়েছে।

ঢাকা/এএএম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ