ভারতীয় একজন মডেলের জন্য নব্বই দশকে ব্রিটিশ সরকার টলমল করে উঠেছিল। তখন তার বয়স মাত্র ২৭ বছর। এই সুন্দরীকে ঘিরে যৌন কেলেঙ্কারি নিয়ে ধারাবাহিকভাবে খবর প্রকাশ করেছিল একাধিক ব্রিটিশ ম্যাগাজিন ও ট্যাবলয়েড। বলছি, অভিনেত্রী পামেলা বোর্দের কথা। 

মিস ইন্ডিয়া খেতাব জয়ের পর পামেলার উত্থান উল্কার গতিতে বেড়ে যায়। হরিয়ানার এক জাঠ পরিবার থেকে উঠে আসা মেয়েটির জীবনবৃত্তান্ত আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে। ‘সেরা সুন্দরীর’ মুকুট মাথায় ওঠার মাত্র সাত বছরের মধ্যে পামেলার গায়ে সেঁটে গিয়েছিল অভিজাত সমাজের কলগার্লের তকমা। কারণ তার সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এক মহারথীর। জানা যায়, পামেলার ভক্তদের মধ্যে ছিলেন ব্রিটেনের প্রথম সারির সংবাদপত্রের দু’জন সম্পাদক। এমনকি, ব্রিটিশ ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। সেই সময়ে ব্রিটেনের ক্ষমতায় ছিল কনজারভেটিভ বা টোরি পার্টি।

আরো পড়ুন:

মিস ইউনিভার্সের ‘ওয়ান্টেড’ মালিকের উত্থানের গল্প

বাংলাদেশ জয়ী না হয়েও জিতেছে: মিথিলা

 

পামেলার এসব ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় একটি ম্যাগাজিনে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পামেলা বোর্দে নামে এক নারী ব্রিটেনের বুকে দ্বৈত জীবনযাপন করছেন। এক.

ক্ষমতাসীন টোরি সাংসদের গবেষণা সহকারী হিসেবে এবং তার অন্য পরিচয় হলো ‘হাই প্রোফাইল কলগার্ল’। তার গুণমুগ্ধদের তালিকায় বিখ্যাত ও কুখ্যাতরা সহাবস্থান করে চলতেন। সেই তালিকায় আন্তর্জাতিক অস্ত্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে মন্ত্রী পরিষদের মন্ত্রী এবং লিবিয়ার এক গোয়েন্দাকর্তাও ছিলেন।

 

একাধিক ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড পামেলার চোখধাঁধানো ছবি এবং নানা ধরনের বিতর্কিত দাবিতে ভরে ওঠে। একটি ম্যাগাজিন দাবি করে, পামেলা তাদের একজন প্রতিবেদকের সঙ্গে সপ্তাহের যেকোনো কাজের দিনে ৫০০ পাউন্ড এবং সপ্তাহান্তে ২০০০ পাউন্ডের বিনিময়ে শয্যাসঙ্গী হতে রাজি হয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গোটা বিষয়টিকে অশ্লীলভাবে চিত্রিত করতে শুরু করে। তখন পামেলা তার কয়েক কোটি টাকার বিলাসবহুল পেন্টহাউজ ছেড়ে অজ্ঞাতবাসে চলে যান। ব্যাপারটি হয়তো এখানেই শেষ হয়ে যেত। কিন্তু ১৯৮৯ সালে পামেলা নিজেই সমস্ত গোপনীয়তা ফাঁস করে দিতে উদ্যত হন। বন্ধু ডেভিড সুলিভানের কাছে পামেলা দাবি করেন—তিনি এমন সব ভয়ঙ্কর গোপন তথ্য জানেন, যা প্রকাশ করলে ব্রিটিশ সরকারের পতন হতে পারে। বলা হয়ে থাকে লিবিয়ার গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার সমান্তরাল যোগসূত্রই এই কেলেঙ্কারির মূল কারণ।

 

১৯৬১ সালে হরিয়ানার রোহতকে সম্ভ্রান্ত এক জাঠ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন পামেলা সিং চৌধরি। তার যখন এক বছর বয়স, তখন বাবাকে হারান। তার বাবা মেজর মহেন্দ্র সিং ভারত যুদ্ধে নিহত হন। মা শকুন্তলা দেবী। সাহসিকতার জন্য মেজর মহেন্দ্রকে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে মরণোত্তর ‘মহাবীর চক্র’ প্রদান করা হয়। জয়পুরে মহারানি গায়ত্রীদেবী স্কুলে পড়াশোনা শুরু হয় পামেলার। তারপর ভর্তি হন রাজধানীর অভিজাত লেডি শ্রীরাম কলেজে। স্বামীর মৃত্যুর পর শকুন্তলা চণ্ডীগড়ের একটি সরকারি কলেজের হোস্টেলের ওয়ার্ডেন হন। হরিয়ানার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বনসিলালের মেয়ে সরোজ সিওয়াচ সেই কলেজে পড়াশোনা করতেন। তার মাধ্যমে শকুন্তলা বনসিলালের সংস্পর্শে আসেন। মুখ্যমন্ত্রীর বদান্যতায় ১৯৭৫ সালের জানুয়ারিতে হরিয়ানা পাবলিক সার্ভিস কমিশনে সরাসরি যোগ দেন শকুন্তলা। তবে মায়ের সঙ্গে কোনোদিনই পামেলার সম্পর্ক ভালো ছিল না। স্কুলের বন্ধুদের কাছে পামেলা গল্প করতেন, তার মা তার কাছে আতঙ্কের চেয়ে কম কিছু না।

 

আশির দশকের গোড়ার দিকে পামেলা দিল্লির মডেলিং এজেন্সি ‘অ্যাডওয়েভে’ যোগ দেন। তখন থেকে তার মডেলিং ক্যারিয়ার শুরু। বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে মুখ দেখানোর পর বিজ্ঞাপন দুনিয়ায় নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করেন। ১৯৮১ সালে মুম্বাই পাড়ি দেন। ১৯৮২ সালে ‘মিস ইন্ডিয়া’ খেতাব পাওয়ার পর ধীরে ধীরে পরিচিতি বাড়তে থাকে তার। এরপর মিস ইউনিভার্সের বিশ্বমঞ্চে ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে পেরুর রাজধানী লিমায় চলে যান পামেলা। সেখানে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পর নিউ ইয়র্কে পাড়ি জমান।

 

নিউ ইয়র্কে যাওয়ার পর অস্ত্র ব্যবসায়ী আদনান খাশোগির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন পামেলা। এমনকি, সৌদি আরবের বেশ কয়েকজন ধনকুবেরও তার ভক্ত হয়ে পড়েন। নিউ ইয়র্ক থেকে জাপান হয়ে ইংল্যান্ডের মাটিতে পা রাখেন পামেলা। সেখানে ফরাসি প্রযোজক ডোমিনিক বোর্দের সঙ্গে আলাপ হয় পামেলার। ১৯৮৪ সালের জুনে বিয়ে করেন তারা। পরে ডোমিনিক দাবি করেন, তার কাকা জোর করে পামেলার সঙ্গে তার বিয়ের আয়োজন করেন। বিয়ের মাত্র তিন মাসের মধ্যে স্বামীকে ছেড়ে ফ্রান্স থেকে ইংল্যান্ডে চলে যান পামেলা। স্বপ্নপূরণের ক্ষেত্র হিসেবে লন্ডনকেই বেছে নেন। রাজধানী থেকে ফোন করে জানান যে, তিনি আর ফ্রান্সে ফিরবেন না। এ খবর পেয়ে হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন ডোমিনিক। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছিলেন, “আমি খুব সাধারণ জীবনযাপন করি। পাঁচ বছর আগেও পামেলার কাছে সব সময় টাকা এবং সুন্দর পোশাক থাকত। আমার কোনো ধারণা ছিল না, সে এত টাকা কোথা থেকে পেত।”

 

লন্ডনে গিয়ে ধনী ও ক্ষমতাবানদের সঙ্গে মেলামেশা শুরু করেন পামেলা। সংসদ সদস্যদের পাশাপাশি সম্পর্ক গড়েন রোমানিয়ার প্রিন্স পল, ইতালির কাউন্ট কার্লো কলম্বোটি এবং বিখ্যাত ব্যান্ড ‘দ্য রোলিং স্টোনসের’ রক সুপারস্টার বিল ওয়াইম্যানের সঙ্গে। লন্ডনের একটি নাইট ক্লাবে ‘দ্য সানডে টাইমস’-এর অবিবাহিত সম্পাদক অ্যান্ড্রু নীলের সঙ্গে প্রথম আলাপ হয় পামেলার। তাদের দু’জনের উদ্দাম প্রেমের সম্পর্ক তিন মাস স্থায়ী হয়েছিল। ১৯৮৮ সালের আগস্টে নীল যখন পামেলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার চেষ্টা করেন, তখন ক্ষুব্ধ হয়ে নীলের পোশাক ছিঁড়ে ফেলেন পামেলা। প্রেমে ধাক্কা খেয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য নীলের প্রতিদ্বন্দ্বী সংবাদমাধ্যম ‘দ্য অবজার্ভার’-এর সম্পাদক ডোনাল্ড ট্রেলফোর্ডের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতান পামেলা।

 

নীলের সঙ্গে বিচ্ছেদের কয়েক দিনের মধ্যেই পামেলা ‘বোর্ডরুম’-এর সম্পাদক মার্ক বার্কারের মাধ্যমে টোরি পার্টির সংসদ সদস্য ডেভিড শর সঙ্গে দেখা করেন। শ তার তিনটি পার্লামেন্ট পাস বিতরণ করেছিলেন। তাই, তার দলের আরেক সদস্য হেনরি বেলিংহামকে একটি পাস লিখে দিতে বলেন পামেলা, যাতে তাকে পার্লামেন্ট সংক্রান্ত গবেষণায় সহায়তা করতে পারেন। পামেলার পরিচয় হয় ‘রিসার্চার’। পার্লামেন্ট নিয়ে গবেষণা করার জন্য পামেলার জন্য হাউজ অব কমন্সের দ্বার উন্মুক্ত হয়ে যায়। কমন্সের নিরাপত্তাবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে বিরোধী দলের আক্রমণের মুখে পড়েন টোরি সাংসদদ্বয়। আলোড়ন পড়ে যায় ব্রিটিশ রাজনৈতিক মহলে। বিরোধী লেবার পার্টি অবিলম্বে কনজারভেটিভ পার্টির সরকারের পদত্যাগ দাবি করে। তদন্তে নামে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই ৫। ঘটনায় উদ্বিগ্ন বেলিংহাম সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলতে বাধ্য হন। তিনি বলেন, “এই মেয়েটিকে কোনো দোষ ছাড়াই মিডিয়া ক্রুশবিদ্ধ করছে। ওকে নিজের হয়ে কথা বলার সুযোগও দেয়নি।”

 

এসব ঘটনার পর মর্মাহত হন হরিয়ানায় থাকা পামেলার পরিবারের সদস্যেরাও। তারা কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে মেয়ের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। পামেলা বোর্দে এখন গোয়ার বাসিন্দা। বিলাসবহুল প্রাসাদ ও অভিজাত সমাজের সান্নিধ্য থেকে দূরে। দুই রুমের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন ভারতসুন্দরী। ২০১০ সালে একটি সংবাদপত্র তার ছবি প্রকাশ করে দাবি করে যে, পামেলা এখন আলোকচিত্রী হিসেবে জীবিকানির্বাহ করেন। পামেলার ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু জানিয়েছেন, পামেলা নিজের নামের সঙ্গে সিং পদবি ব্যবহার করেন। খ্যাতি অস্তমিত হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামের পাশ থেকে বোর্ডে পরিচয়টি মুছে ফেলতে চেয়েছেন ডাকসাইটের এই সুন্দরী।

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ন দর প রক শ র জন য সদস য সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

জয়পুরহাটে বয়সের কারণে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদনে জটিলতা

জয়পুরহাটে বয়সের জটিলতায় অনেকেই ষষ্ঠ শ্রেণিতে অনলাইন ভর্তির আবেদন করতে পারছে না। নীতিমালা অনুযায়ী, আবেদন করতে হলে বয়স ১১ থেকে ১২ বছরের মধ্যে থাকতে হয়। কিন্তু অনেকের বয়স ১২ বছর পেরিয়ে যাওয়ায় অনলাইন সিস্টেম ফরম গ্রহণ করছে না। এতে অভিভাবকেরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। অনলাইনে ভর্তি আবেদনের শেষ তারিখ আগামী ৫ ডিসেম্বর।

অভিভাবকেরা দ্রুত বয়সসীমা শিথিল বা বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, শিশুরা কোনো দোষ করেনি। তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এমন অনিশ্চয়তা মেনে নেওয়া যায় না। 

জয়পুরহাট শহরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের সামনে গিয়ে দেখা যায়, অনেক অভিভাবক মুঠোফোন ও সাইবার ক্যাফেতে ভিড় করছেন। কেউ কেউ সন্তানের ভর্তির আবেদন করতে পারছেন না, আবার কেউ বারবার চেষ্টা করেও সিস্টেম থেকে ‘অযোগ্য’ বার্তা পাচ্ছেন।

বয়সের কারণে গত কয়েক দিনে অনলাইনে দেড় শ শিক্ষার্থীর ভর্তির আবেদন করতে পারেননি। -সাদ্দাম হোসেন, কম্পিউটার কম্পোজ ও ফটোস্ট্যাটের দোকানদার 

আক্কেলপুর পৌর শহরের রেলগেট এলাকার কম্পিউটার কম্পোজ ও ফটোস্ট্যাটের দোকানদার সাদ্দাম হোসেন বলেন, বয়সের কারণে গত কয়েক দিনে অনলাইনে দেড় শ শিক্ষার্থীর ভর্তির আবেদন করতে পারেননি। অভিভাবকদের অভিযোগ, বয়স মাত্র কয়েক মাস বা কয়েক দিন বেশি হওয়ায় ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়া অযৌক্তিক। আক্কেলপুর পৌর শহরের বাসিন্দা ইলিয়াছ আহমেদ কাফি বলেন, ‘আমার মেয়ের জন্মসনদে ৮ নভেম্বর ২০১৩ সাল উল্লেখ আছে। বয়স বেশি হওয়ার কারণে অনলাইনে ভর্তির আবেদন গ্রহণ হচ্ছে না।’

আক্কেলপুর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল ফজল মো. রায়হান বলেন, ‘বয়সের কারণে ১২ জন শিক্ষার্থী ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন গ্রহণ হয়নি। বয়স সংশোধনের জন্য ইউএনও স্যারের কাছে আবেদন করেছি।’

জয়পুরহাট মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজুর রহমান তালুকদার বলেন, বয়সের জটিলতায় তাঁদের বিদ্যালয়ের অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করতে পারেনি। এই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা উচ্চ আদালতে রিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

বয়সের কারণে অনেক শিক্ষার্থী অনলাইনে ভর্তির আবেদন করতে পারেনি বলে স্বীকার করেন জয়পুরহাট জেল মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন। তিনি বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণির ভর্তি নীতিমালা শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রণয়ন করে দিয়েছে। অনলাইন সিস্টেম সেই নীতিমালার ভিত্তিতেই চলছে। এখানে স্থানীয়ভাবে কিছু করার সুযোগ নেই। ইতিমধ্যে বিষয়টি তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। 

জয়পুরহাট সদর ইউএনও রাশেদুল ইসলাম বলেন, বয়সের জটিলতার কারণে অনেক শিক্ষার্থী ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারেনি বলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা তাঁকে জানিয়েছেন। অভিভাবকেরা ইউপি কার্যালয়ে গিয়ে বয়স সংশোধন করতে চাইছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ