বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার ‘জুলাই দেওয়াল স্মৃতি লিখন’ কর্মসূচিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম লিখেছেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবেই।”

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দেয়ালে ‘জুলাই স্মৃতি লিখন’ কর্মসূচির উদ্বোধন হয়। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে তাদের প্রাপ্তি, আক্ষেপ ও ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা লেখেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড.

মো. রইছ উদ্দীন এবং গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

জুলাই স্পিরিটকে ধারণ করে ছাত্র সংসদ চায় শাবিপ্রবি শিবির

জুলাই আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসা করাবেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী

অধ্যাপক রইছ উদ্দীন লিখেছেন, “প্রাপ্তি বলতে স্বস্তির নিঃশ্বাস, আক্ষেপ হলো জুলাই যোদ্ধাদের অনৈক্য, প্রত্যাশা হলো ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে সবার ঐকমত্য।”

অন্যদিকে অধ্যাপক ইমরানুল হক লিখেছেন, “জুলাই মানে গণজাগরণ, জুলাই মানে অনুপ্রেরণা; এসেছি যতদূর, যেতে হবে বহুদূর।”

এই প্রসঙ্গে শাখা বাগছাস সভাপতি মো. ফয়সাল মুরাদ বলেন, “জুলাই আমাদের অস্তিত্বের প্রতীক। প্রায় ১ হাজার ৬০০ শহীদ ও হাজারো আহতের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়েছি। আমাদের সব কর্মসূচিতে জুলাইকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই। ‘জুলাই স্মৃতি দেওয়াল লিখন’ তারই একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।”

তিনি বলেন, “এ কর্মসূচিতে সাধারণ শিক্ষার্থী, বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। তারা তাদের নিজস্ব মত, অনুভব ও ভাবনা লিখে গেছেন।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দুই শীর্ষ তালেবান নেতার বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) আফগানিস্তানের তালেবানের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দেশটির নারী ও কিশোরীদের নানাভাবে দমন–পীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আইসিসি গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, আফগানিস্তানে ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসে। এর পর থেকে দেশটিতে নারী ও কিশোরীদের প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে, তাতে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং দেশটির প্রধান বিচারপতি আবদুল হাকিম হাক্কানির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগের ‘যুক্তিসংগত ভিত্তি’ রয়েছে।

তালেবান ক্ষমতায় আসার পর নারী ও কিশোরীদের ওপর একের পর এক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ১২ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের পড়াশোনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং অনেক চাকরি থেকে নারীদের বিরত রাখা।

আফগানিস্তানে পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীরা কত দূর ভ্রমণ করতে পারবে, সে বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে তালেবান। এমনকি জনসমক্ষে নারীদের কথা বলার বিষয়েও নির্দেশনা জারি করেছে তারা।

এক বিবৃতিতে আইসিসি জানিয়েছে, আফগানিস্তানের জনগণের ওপর কিছু নিয়ম ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তালেবান। তবে তারা নারী ও কিশোরীদের বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে এবং তাদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করেছে। জাতিসংঘ এসব বিধিনিষেধকে ‘লিঙ্গবৈষম্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তালেবান। তারা বলেছে, তালেবান এই আদালতকে স্বীকৃতি দেয় না। আদালতের এমন পরোয়ানাকে ‘সুস্পষ্ট শত্রুতামূলক পদক্ষেপ’ এবং ‘বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের বিশ্বাসের প্রতি অপমান’।

তালেবান সরকারের দাবি, তারা আফগানিস্তানের সংস্কৃতি ও ইসলামি আইন অনুযায়ী নিজস্ব ব্যাখ্যার ভিত্তিতে নারীদের অধিকারকে সম্মান করে।

গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের মতো গুরুতর অপরাধের তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে কাজ করে আইসিসি। কোনো দেশ এই অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে না পারলে বা বিচার করতে না চাইলে আইসিসি এ উদ্যোগ নেয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ