প্রতারণার অভিযোগে ফিল্ম প্রমোটার হরিশ আরাসুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ‘কেজিএফ’ তারকা যশের মা পুষ্পালতা। বেঙ্গালুরুর হাই গ্রাউন্ডস থানায় হরিশ আরাসু ও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন তিনি। ইন্ডিয়া টুডে এ খবর প্রকাশ করেছে। 

মামলার নথিতে পুষ্পালতা অভিযোগ করেন, তার প্রযোজিত প্রথম সিনেমা ‘কোথালাভাড়ি’। এ সিনেমার প্রচারের দায়িত্ব হরিশকে দেওয়া হয়। গত ২৪ মে থেকে জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত তালাকাডু, গুন্ডলুপেট, মুসৌরি এবং চামরাজনগরসহ বিভিন্ন স্থানে শুট করা হয়। উভয় পক্ষ প্রচারের জন্য ২৩ লাখ রুপির চুক্তি করেন। পরবর্তীতে হরিশ আরো ২৪ লাখ রুপি নেন। সব মিলিয়ে হরিশ তার কাছ থেকে মোট ৬৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭০০ রুপি নিয়েছেন। এর মধ্যে ৩১ জুলাই প্রিন্ট মিডিয়ার বিজ্ঞাপনের জন্য ৪ লাখ রুপি নগদ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সিনেমাটির জন্য কোনো প্রচারই করা হয়নি, যদিও সিনেমাটি ১ আগস্ট মুক্তির কথা ছিল। পরে প্রমোশন না হওয়ায় নিজের পকেট থেকে ২১ লাখ ৭৫ হাজার রুপি খরচ করতে হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া ভারতীয় ৭ পরিচালক

ভেঙে গেল মীরার তৃতীয় সংসার

বিষয়টি নিয়ে হরিশকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছিলেন যশের মা। এ তথ্য উল্লেখ রয়েছে মামলার নথিতে—এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে হরিশ তাকে হুমকি দেন এবং ২৭ লাখ টাকা ফেরত চান। ১ আগস্ট দেখেন যে সিনেমার কোনো প্রচার সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে না এবং পরে জানতে পারেন হরিশ সিনেমাটি নিয়ে নেতিবাচক প্রচার চালাচ্ছিলেন। কেবল তাই নয়, হরিশ তাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুৎসা রটানোরও হুমকি দেন এবং তার বাড়িতে গিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার কথাও বলেন। 

প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ জানিয়ে নথিতে পুষ্পালতা জানান, গত ১৫ আগস্ট, সিনেমার পরিচালক শ্রীরাজ রাভারি ও পুষ্পালতাকে ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেন হরিশ আরাসু, মনু, নীতিনসহ আরো অজ্ঞাত কয়েকজন। হরিশ আরাসু, মনু, নীতিন, মহেশ গুরু এবং স্বর্ণলতা (রণনায়ক)-এর বিরুদ্ধে প্রতারণা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, মানহানি এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীতে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ

নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট ও সদরের আংশিক) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন দলের একটি পক্ষের নেতা–কর্মীরা। বিএনপির কেন্দ্রীয় পল্লি উন্নয়ন সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরীর সমর্থকেরা আজ বুধবার বিকেলে কবিরহাট উপজেলার কবিরহাট বাজারে এ কর্মসূচি পালন করেন।

কর্মসূচি ঘিরে ওই আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী ফখরুল ইসলামের সমর্থকদের কেউ কেউ কবিরহাট বাজারে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করলেও জ্যেষ্ঠ নেতাদের হস্তক্ষেপে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৩ নভেম্বর কেন্দ্রীয়ভাবে নোয়াখালী-৫ আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ব্যবসায়ী মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য ছিলেন। এরপর প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে একাধিকবার বিক্ষোভ সমাবেশ করেন বজলুল করিম চৌধুরীর অনুসারীরা।

আজ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বজলুল করিমের অনুসারীরা কবিরহাট সরকারি কলেজের সামনে থেকে দলীয় প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি কবিরহাট বাজারের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জিরো পয়েন্টে এসে শেষ হয়। সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য দেন কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরফাত হোসেন, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হানিফসহ স্থানীয় কয়েকজন নেতা। বক্তারা অবিলম্বে নোয়াখালী-৫ আসনে দলীয় প্রার্থী পরিবর্তন করে বজলুল করিম চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

জানতে চাইলে বিএনপি নেতা বজলুল করিম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ছাত্রজীবন থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। দল করতে গিয়ে অনেক হামলা–মামলা, জেল–জুলুমের শিকার হয়েছেন। কিন্তু যাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে, বিএনপির রাজনীতিতে তাঁর কোনো অবদান নেই। এ কারণে দলের নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে কর্মসূচি পালন করেছেন।

জানতে চাইলে কবিরহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মুস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা ধানের শীষের সমর্থনে ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন। দল যাঁকে মনোনয়ন দিয়েছে, আমরা সবাই তাঁর পক্ষে রয়েছি। কিছু লোক কর্মসূচি পালন করেছেন, যার সঙ্গে সাংগঠনিকভাবে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ