চ্যাটজিপিটিতে যুক্ত হচ্ছে স্টাডি টুগেদার, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
Published: 9th, July 2025 GMT
চ্যাটজিপিটিতে ‘স্টাডি টুগেদার’ নামে নতুন সুবিধা যুক্ত করতে যাচ্ছে ওপেনএআই। নতুন এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয় শেখার সময় শিক্ষকদের মতো চ্যাটজিপিটিকে প্রশ্ন করতে পারবে। চ্যাটজিপিটি প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে ধাপে ধাপে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিষয় অনুযায়ী সমস্যা বিশ্লেষণে সহায়তা করবে। এরই মধ্যে নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীদের ওপর সুবিধাটির কার্যকারিতা পরখ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ওপেনএআই।
প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যেসব ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টে স্টাডি টুগেদার সুবিধা চালু হয়েছে, তারা একে ‘ইন্টারঅ্যাকটিভ টিউটর’ হিসেবে বর্ণনা করছেন। তাঁদের মতে, স্টাডি টুগেদার সুবিধা ব্যবহারকারীর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে গাণিতিক বা জটিল সমস্যা বিশ্লেষণ করে। ফলে শিক্ষার্থীরা সরাসরি উত্তর না পেয়ে নিজেরাই চিন্তা করে সমাধানে পৌঁছাতে পারে। সুবিধাটিতে প্রাচীন গ্রিক শিক্ষাব্যবস্থায় প্রচলিত ‘সক্রেটিস পদ্ধতি’র ছাপ রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। এ পদ্ধতিতে শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীকে প্রশ্ন করে ভাবতে শেখান এবং নিজেদের যুক্তির মাধ্যমে উত্তর খুঁজে বের করতে উৎসাহ দেন।
চ্যাটজিপিটিসহ বিভিন্ন জেনারেটিভ এআই টুল ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কেউ কেউ এগুলো ব্যবহার করছেন হোমওয়ার্ক বা প্রজেক্টের সহায়তা পেতে, কেউ আবার এসব টুলের অপব্যবহার করার পথ বেছে নিচ্ছেন। এর ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ওপেনএআইয়ের নতুন সুবিধাটি শিক্ষার্থীদের চিন্তা ও বিশ্লেষণ দক্ষতা বাড়ানোর একটি সহায়ক মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে।
ব্যবহারকারীদের প্রশ্নের উত্তর সরাসরি না দিয়ে চিন্তার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে উৎসাহ দেওয়াই স্টাডি টুগেদার সুবিধার মূল উদ্দেশ্য। তাই প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের ধারণা, চ্যাটজিপিটিকে শুধু উত্তর দেওয়ার চ্যাটবট না বানিয়ে ডিজিটাল শিক্ষকের ভূমিকায়ও প্রতিষ্ঠিত করতে চায় ওপেনএআই।
সূত্র: ম্যাশেবল
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
ওপেনএআইয়ের ভিডিও তৈরির অ্যাপ সোরাতে কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য নতুন সুযোগ
নিজেদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর ভিডিও তৈরির অ্যাপ ‘সোরা টু’তে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে চ্যাটজিপিটির নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ওপেনএআই। নতুন এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির মাধ্যমে আগের তুলনায় আকারে বড় ও উন্নতমানের ভিডিও তৈরি করা যাবে। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, এসব ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাস্তব ও কৃত্রিম ভিডিওর পার্থক্য আরও কঠিন হয়ে তুলবে।
ওপেনএআইয়ের তথ্যমতে, সোরা টু অ্যাপে দুটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। ফলে ব্যবহারকারীরা আগের তুলনায় আরও উন্নত ও বাস্তবসম্মত ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। সবচেয়ে আলোচিত পরিবর্তনটি হলো, এখন থেকে সব ব্যবহারকারী বিনা মূল্যে সর্বোচ্চ ১৫ সেকেন্ডের এআই ভিডিও তৈরি করতে পারবেন, যা আগে ছিল ১০ সেকেন্ড।
ওপেনএআই জানিয়েছে, বিনা মূল্যে সর্বোচ্চ ১৫ সেকেন্ডের ভিডিও তৈরি করা গেলেও অর্থের বিনিময়ে সোরা অ্যাপ ব্যবহারকারীরা সর্বোচ্চ ২৫ সেকেন্ডের ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। এ ছাড়া তারা ‘স্টোরিবোর্ড’ টুল কাজে লাগিয়ে একাধিক দৃশ্য বা ক্লিপ যুক্ত করে ধারাবাহিকভাবে গল্পভিত্তিক ভিডিও তৈরির সুযোগ পাবেন। ফলে পেশাদার মানের ভিডিও তৈরি আরও সহজ ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বসবাসকারীরা এ সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন।
সম্প্রতি সোরা অ্যাপে আধেয় বা কনটেন্টমালিকদের নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে ওপেনএআই। এ উদ্যোগের আওতায় কপিরাইটধারী কনটেন্ট নির্মাতারা নির্ধারণ করতে পারবেন, তাঁদের তৈরি বিভিন্ন চরিত্র বা সৃজনশীল উপাদান কীভাবে ব্যবহার করা যাবে। একই সঙ্গে যাঁরা নিজেদের কনটেন্ট ব্যবহারের অনুমতি দেবেন, তাঁদের সঙ্গে আয় ভাগাভাগির ব্যবস্থাও চালু করার পরিকল্পনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সূত্র: টেকরাডার