সাতক্ষীরা–২ আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ বিএনপির একাংশের
Published: 18th, November 2025 GMT
সাতক্ষীরা–২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে দলের একাংশের নেতা–কর্মীরা সাতক্ষীরা–খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছেন। ‘সাতক্ষীরা–২ আসনের সর্বস্তরের সাধারণ জনগণ’–এর ব্যানারে অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে লাবসা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) টানা সাতবারের চেয়ারম্যান আবদুল আলিমকে দলীয় মনোনয়নের দাবি জানানো হয়। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে মিলবাজার ও আমতলা মোড় এলাকায় প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মিছিল এসে জড়ো হয় শহরের মিলবাজার এলাকায়। এ সময় কয়েক হাজার নেতা–কর্মী সমবেত হলে সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলের সামনে ঘোনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো.
আবদুল আলিমের সমর্থকদের অভিযোগ, ২০২৪ সালের ২৫ এপ্রিল আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় আব্দুর রউফকে বহিষ্কার করা হয়। সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের কোনো ঘোষণা না থাকা সত্ত্বেও তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া ত্যাগী নেতা–কর্মীদের প্রতি অবমূল্যায়ন।
বক্তারা বলেন, ১৯৮৮ সাল থেকে লাবসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আবদুল আলিম। তিনি দীর্ঘ ১৯ বছর সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া তিনি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সদস্যসচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। দলের দুঃসময়ে আন্দোলন–সংগ্রামে তিনি মাঠে ছিলেন। তিনি দুর্দিনে দলের নেতা–কর্মীদের পাশে থেকে সাহস জুগিয়েছেন। তিনি একাধিকবার গ্রেপ্তারও হয়েছেন। প্রার্থী পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবু জাহিদ বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ইউপি নির্বাচন করায় আব্দুর রউফকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তাঁর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের কোনো চিঠি আমরা পাইনি।’
৩ নভেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে সাতক্ষীরা–২ আসনে মনোনয়ন পান আলিপুর ইউপির চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রউফ।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অপসোনিনের চাকরিহারা ৪৪৪ জন অন্যদের কারখানায় ঢুকতে দিচ্ছেন না
বরিশালে অপসোনিন ফার্মাসিটিক্যালসের স্টোরিপ্যাক বিভাগের চাকরিহারা ৪৪৪ শ্রমিক বহিরাগতদের সঙ্গ নিয়ে অন্যদের কারখানায় ঢুকতে দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে এ ঘটনায় অপসোনিন ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার অনিন্দ কুমার সরকার সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেছেন, শ্রম আইন মেনে অপসোনিনের স্টোরিপ্যাক বিভাগের ৪৪৪ শ্রমিককে অবসান দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে, ৫০ ভাগ শ্রমিক তাদের পাওনা বুঝে পেয়েছেন। কিন্তু, তবু চাকরিহারা শ্রমিকরা বহিরাগতদের সঙ্গ নিয়ে কারখানার অন্য বিভাগের শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বাধা প্রদান করছেন। এতে কোম্পানির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। যেহেতু ডেঙ্গুর বিস্তার বেড়েছে, তাই উৎপাদন বন্ধ থাকলে সামনে সংকট দেখা দেবে।
চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা জানান, চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে গত ১৮ দিন ধরে আমরা আন্দোলন চালিয়ে আসছি। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
কাজে যোগ দিতে আসা শ্রমিকরা জানান, সকালে কারখানায় ঢুকতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। এ সময় যাদের চাকরি আছে তারা যেন কাজের সুযোগ পায়, সেই দাবি জানান তারা।
ঢাকা/পলাশ/রাজীব