বিসিএসসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে থাকে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের চাহিদা অনুযায়ী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা এবং আবেদন গ্রহণ করার দায়িত্বও থাকে তাদের। মূলত প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক—এই তিন ধাপের পরীক্ষার মাধ্যমে সেরা প্রার্থী বাছাই করে তাঁদের নিয়োগের জন্য পিএসসি সুপারিশ করে।

পুরো প্রক্রিয়ায় কর্ম কমিশনের দায়িত্বশীলতা ও গোপনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন নেই। কিন্তু প্রশ্ন হলো, একেকটি বিসিএস পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে কেন কোনো ক্যালেন্ডার বা সময়সূচি অনুসরণ করা হচ্ছে না।

হচ্ছে না বলেই নিয়োগ প্রার্থীরা বারবার সমস্যার মুখে পড়ছেন। যেমন এ মুহূর্তে ৪৭তম বিসিএসে আবেদনকারীদের একটা বড় অংশ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, তাঁদের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে গত ২৭ সেপ্টেম্বর। এরপর মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে লিখিত পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ নভেম্বর। অথচ অন্যান্য বিসিএস পরীক্ষায় এ ব্যবধান চার-পাঁচ মাস কিংবা তার বেশি হতে দেখা গেছে। হঠাৎ এই বিসিএসের জন্য কেন এত তাড়াহুড়া, সেটি প্রার্থীদের বোধগম্য নয়। পিএসসিও তাঁদের কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। অথচ এই প্রশ্ন তুলে তাঁরা একাধিকবার লাঠিপেটার শিকার হয়েছেন!

আরও পড়ুনবিসিএস কেন তরুণদের ধ্যানজ্ঞান হয়ে উঠছে? ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেখা যাচ্ছে, ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় গত বছরের ২৮ নভেম্বর। বিজ্ঞপ্তিতে প্রিলিমিনারি বা প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষার সম্ভাব্য সময় দেওয়া হয়েছিল এ বছরের মে মাস। পরে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২৭ জুন। সেটিও পরিবর্তন করে নতুন তারিখ দেওয়া হয় ৮ আগস্ট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয় সেপ্টেম্বরের ১৯ তারিখ। এভাবে বারবার তারিখ বদলানোর পেছনে কিছু বাস্তব কারণও ছিল। ওই সময়ে ৪৬তম বিসিএস প্রার্থীদের পরীক্ষা পেছানোর আন্দোলনের কারণে লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়নি। তা ছাড়া ৪৪তম বিসিএস প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষাও তখন বাকি ছিল।

পিএসসি যদি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশের সময়সূচি নির্ধারণ করে দিত এবং সেই অনুযায়ী প্রতিটি বিসিএসের কার্যক্রম নিয়মিতভাবে চলমান রাখত, তবে নিয়োগ প্রার্থীদের আপত্তি থাকত না।

দেখা যাচ্ছে, একটি বিসিএসের সঙ্গে অন্য বিসিএসের সময়সূচির সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু তাই বলে এক বা একাধিক বিসিএসের সময় জটিলতার কারণে অন্য বিসিএস প্রার্থীদের সংকটে ফেলা যায় না। ৪৭তম বিসিএসে আবেদনকারী নতুন প্রার্থীরা যে কারণে নিজেদের বঞ্চিত মনে করছেন, তা অত্যন্ত যৌক্তিক। অথচ পিএসসি আগেই পূর্ণ সময়সূচি নির্ধারণ করে সেই অনুযায়ী পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করলে এ ধরনের জটিলতা তৈরি হতো না। ক্যালেন্ডারের প্রয়োজনীয়তার কথা কর্ম কমিশন নিজেও অনেকবার স্বীকার করেছে, কিন্তু তারা সেটি কখনো প্রণয়ন করেনি। এটি করা গেলে বিসিএস পরীক্ষার দীর্ঘসূত্রতারও অবসান ঘটতে পারে।

এ সময়সূচি নির্ধারণের মূলনীতি হবে, প্রতিটি বিসিএসের কার্যক্রমকে আলাদা রাখা। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মধ্যে কেবল আবেদনের সর্বশেষ তারিখ থাকবে না, একই সঙ্গে থাকবে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার সম্ভাব্য সময়। এমনকি সুপারিশপ্রাপ্তদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের সম্ভাব্য সময়ও উল্লেখ থাকবে। পুরো প্রক্রিয়া এক বছরের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা নিতে হবে।

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ থেকে আবেদন জমা নেওয়া পর্যন্ত ১৫ দিন সময় রাখা যায়। এর আড়াই মাস পর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হতে পারে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য কমবেশি এক সপ্তাহ সময় লাগবে। এভাবে সাড়ে তিন মাসের কম সময়ের মধ্যে প্রথম ধাপ শেষ করা যায়।

এরপর পিএসসির কাজ লিখিত পরীক্ষার আয়োজন করা। প্রিলিমিনারিতে বাছাই করা প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সাড়ে তিন মাস সময় দেওয়া যায়। ওই সময়ের মধ্যেই প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও মডারেশনের কাজ সারতে হবে। পরীক্ষা গ্রহণের জন্য এক মাসের মতো সময় লাগতে পারে, অর্থাৎ মধ্যবর্তী সাড়ে চার মাসে লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের কাজটি শেষ করা যায়। এর সঙ্গে খাতা দেখার জন্য আরও এক মাস লাগবে। বর্তমানে খাতা দেখার জন্য পিএসসি যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে, তাতে এর বেশি সময় লাগার কথা নয়। অর্থাৎ শুরু থেকে ৯ মাসের মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব।

সবশেষে বাকি থাকে মৌখিক পরীক্ষা। ১৫ মিনিটের মৌখিক পরীক্ষার জন্য নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা উচিত। এই পরীক্ষা দুই থেকে আড়াই মাসে শেষ করার ব্যবস্থা করতে হবে। এরপর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর একত্র করে চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে। তালিকা প্রকাশের জন্য লাগতে পারে আরও ৭ থেকে ১০ দিন, অর্থাৎ তিন মাস সময়ের আগেই শেষ ধাপের কাজ সম্পন্ন হতে পারে। এভাবে এক বছরের কম সময়ের মধ্যে একটি বিসিএস পরীক্ষা শেষ করা যায়।

বিসিএস পরীক্ষাগুলো এ মুহূর্তে জট পাকানো অবস্থায় আছে। বাইরে থেকে বুঝে ওঠা যায় না, কোনটির প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হয়েছে, কোনটির লিখিত পরীক্ষা হয়ে গেল আর কোনটির মৌখিক পরীক্ষা চলছে। এর মধ্যে আছে চাকরিপ্রার্থীদের আবেদন ও আন্দোলন—কখনো পরীক্ষা পেছানোর, কখনো দ্রুত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের। অথচ পিএসসি যদি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশের সময়সূচি নির্ধারণ করে দিত এবং সেই অনুযায়ী প্রতিটি বিসিএসের কার্যক্রম নিয়মিতভাবে চলমান রাখত, তবে নিয়োগ প্রার্থীদের আপত্তি থাকত না।

তারিক মনজুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল খ ত পর ক ষ ম খ ক পর ক ষ প রক শ র ব স এস প প রক র য় ব স এস র পর ক ষ র সময়স চ শ ষ কর র জন য অন য য় প এসস সময় র গ রহণ র সময় বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

‘বাসটির সঙ্গে একটি ট্রাকের ধাক্কা লাগে, এরপর আর কিছু মনে নেই’

‘আমরা বসেছিলাম বাসটির সামনে থেকে দুই সিট পড়ে। যতটুকু মনে পড়ে, সামনে একটি মোটরসাইকেল বেপরোয়াভাবেই চলছিল। ডানে-বাঁয়ে বারবার কাত হচ্ছিল সেটি। মোটরসাইকেলটিকে অতিক্রম করতে গিয়ে বাসটির সঙ্গে একটি ট্রাকের ধাক্কা লাগে, এরপর আর কিছু মনে নেই। হুঁশ আসার পর নিজেকে ঝোপঝাড়ের মধ্যে পাই। তখন স্ত্রী আর ছেলে কোথায় আছে, সে চিন্তা হচ্ছিল বারবার।’

কিছুটা দম নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন বিজয় কুমার দেব। গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। গতকাল সন্ধ্যায় সীতাকুণ্ড পৌর সদরের পন্থিছিলা বটতল এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন পাঁচজন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ২১ জন, যাঁদের মধ্যে বিজয় কুমার দেব ও তাঁর স্ত্রী-সন্তান রয়েছেন। রাতে হাসপাতালে যখন বিজয় কুমারের সঙ্গে কথা হচ্ছিল, তখন সবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে এসেছেন তিনি। তাঁর শার্টের এক পাশে রক্তের দাগ স্পষ্ট।

বিজয় কুমার দেব সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক। চার দিন আগে তাঁর শাশুড়ি মারা যান। সে কারণে স্ত্রী কণিকা চৌধুরী ও ছেলে অর্ণব দেবকে নিয়ে মিরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট এলাকায় গিয়েছিলেন তিনি। কণিকা চৌধুরী বাঁশবাড়িয়া উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ও অর্ণব দেব আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

বিজয় কুমার দেব জানান, বারইয়ারহাট থেকে সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড এলাকায় ফিরছিলেন সিডিএম নামের বাসে করে। তিনি ও তাঁর স্ত্রী যেখানে বসেছিলেন এর দুই আসন পড়ে ছিল তাঁদের ছেলে। দুর্ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত না হলেও স্ত্রী মাথায় আঘাত পেয়েছেন। সেখানে সেলাই দেওয়া হয়েছে। তবে ছেলের অবস্থা গুরুতর। তাঁর হাত ভেঙেছে এবং মুখ ও মাথায় আঘাত রয়েছে।

দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হন। এরপর ঘটনাস্থল থেকে আরও ২১ জনকে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান আরও একজন।

সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন বলেন, বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছে ধাক্কা দেয়। এরপর খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে তাঁরা চারজনের লাশ উদ্ধার করেছেন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ি ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, সীতাকুণ্ডের দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রাত ১১টা পর্যন্ত ১৬ জনকে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। তাঁদের মধ্যে ১০ জনকে নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে এবং ১ জনকে ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। ২ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্ট্রার উপল চৌধুরী বলেন, ‘পাঁচজনকে ক্যাজুয়ালটিতে আনা হয়েছিল। এর মধ্যে দুজনকে নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। একজনের বুকে আঘাত রয়েছে। তাঁকে অস্ত্রোপচার শেষে ক্যাজুয়ালটিতে ভর্তি করা হয়েছে। দুজন পর্যবেক্ষণে আছেন। প্রয়োজন হলে ভর্তি নেওয়া হবে।’

সাধারণত মাথায় আঘাত থাকলে নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সীতাকুণ্ডের দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ওয়ার্ডটিতে ভর্তি থাকা ১০ জনের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। রেজিস্ট্রি খাতার তথ্য অনুযায়ী, নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা ব্যক্তিরা হলেন অর্ণব দেব (২৩), জমির হোসেন (৩০), মোজাম্মেল হক (৬০), রিজভী (৩২), শিখা (৪৫), অর্ণব (৬), রিংকু দাশ (৪০), নিশান দাশ (১৫), ইমন (১৯) এবং আরেকজন অজ্ঞাতপরিচয় তরুণ (২৫)। তাঁদের প্রত্যেকের মাথায় ও হাত-পায়ে আঘাত রয়েছে।

হাসপাতালের নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে দেখা গেছে, সেখানে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সেরা। আহত ব্যক্তিদের কারও হাতে, কারও পায়ে ব্যান্ডেজ। প্রায় সবার মাথায় সেলাই ও ব্যান্ডেজ করে রাখা হয়েছে। কথা বলতে এগিয়ে গেলেও তাঁরা কথা বলতে পারছেন না। ইশারায় চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলছেন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার খোরশেদ আনোয়ার বলেন, ভর্তি থাকা ১০ জনের মধ্যে ৩ জনের পরিবারের খোঁজ পাওয়া যায়নি। ৫ জনের অবস্থা গুরুতর। সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে। তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা: কোটায় আবেদন ও ভর্তির শর্ত প্রকাশ
  • ৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার জন্য পিএসসির নতুন নির্দেশনা
  • স্বামীর জন্য পাঞ্জাবির নকশা করতে গিয়ে শুরু, এখন তিনি সফল উদ্যোক্তা
  • দুপুরে মা ভাত নিয়ে এসে দেখেন ছেলে নেই, সন্ধ্যায় পুকুরে মিলল লাশ
  • ভেঙে গেল মীরার তৃতীয় সংসার
  • আলো দেখাচ্ছেন দৃষ্টিহীন তরুণ 
  • বাস ধুয়েমুছে চালকের সহকারী ওয়াশরুমে গিয়েছিলেন, ফিরে দেখেন আগুন জ্বলছে
  • ‘বাসটির সঙ্গে একটি ট্রাকের ধাক্কা লাগে, এরপর আর কিছু মনে নেই’
  • বিএনপির নতুন স্লোগান ‘অর্থনৈতিক গণতন্ত্রায়ণ’: আমীর খসরু