ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার নারায়ণগঞ্জ জেলার তারুণ্যের বিজয় যাত্রা অনুষ্ঠিত
Published: 5th, August 2025 GMT
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার নারায়ণগঞ্জ জেলার তারুণ্যের বিজয় যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ আগষ্ট) শহরের প্রাণকেন্দ্রে খানপুর হাসপাতাল মোড় থেকে শুরু হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে আবারও খানপুর হাসপাতাল মোড়ে এসে পদযাত্রাটি শেষ হয়।
ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়কারী রাকিবুল ইসলাম ইফতি'র সভাপতিত্বে উক্ত আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন সুশাসনের জন্য নাগরিক - সুজন, নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েল, দলিত নারী উন্নয়ন সংস্থা'র সভাপতি সনু রানী দাস, ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার নারায়ণগঞ্জ জেলার উপদেষ্টা মোহাম্মদ জারিফ অনন্ত, বুবলী যুব কল্যান সংস্থার সভাপতি বুবলী আক্তার, সাধারণ সম্পাদক সাদিয়া আফরিন তমা এবং ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন ইউনিটের ইউনিট কো-অর্ডিনেটর এবং সদস্যগণ।
পদযাত্রা শেষে একটি সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত পথসভায় বক্তারা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান মালিকানা এদেশের ছাত্র ও জনতা সবার। অভ্যুত্থানকালীন অনেক মানুষ স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে গেছে, কিন্তু কোন প্রকার ক্রেডিটবাজি করার চেষ্টা করেনি।
কিন্তু এই আমরা দেখতে পাচ্ছি এক শ্রেণির মানুষ আজ জুলাই অভ্যুত্থানের একক কৃতিত্ব দাবি করে বসে আছে। কিন্তু এই অভ্যুত্থানের কোন একক স্টেকহোল্ডার নেই, এই অভ্যুত্থানের স্টেকহোল্ডার আপামর জনসাধারণ।
জনগণের অবদানকে অস্বীকার করার এই অপচেষ্টার জন্যই আমরা অভ্যুত্থান পরবর্তী কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাইনি, নতুন বাংলাদেশ গঠন করতে পারিনি।
আমাদের প্রত্যাশা থাকবে এদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সুবুদ্ধির উদয় হবে, তারা অভ্যুত্থানে জনগণের মালিকানাকে যোগ্য মূল্যায়ন করবে এবং জনগণও তাদের অভ্যুত্থানের ন্যায্য হিস্যা বুঝে নিবে এবং নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে অবদান রাখবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ হ ঙ গ র ন র য়ণগঞ জ জ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅভ্যুত্থানে সশস্ত্রবাহিনীর অবদানের স্বীকৃতি ঘোষণাপত্রে উল্লেখ দাবি এবি পার্টির
গণঅভ্যুত্থানে সশস্ত্রবাহিনী এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের অবদানের স্বীকৃতি ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করার দাবি জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।
‘গৌরবোজ্জ্বল জুলাই ৩৬’ উদযাপনের অংশ হিসেবে শনিবার (২ আগস্ট) গণঅভ্যুত্থানে অবদান রাখা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ দাবি করে দলটি।
রাজধানীর বিজয় নগরে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।
ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলমের সঞ্চালায় সভায় বক্তব্য রাখেন দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর মেজর (অব.) ডা. ওহাব মিনার, ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা মনিশ দেওয়ান, কর্নেল (অব.) মশিউজ্জামান, সামরিক কর্মকর্তা কামরুজ্জামান, এজিএম আমিরুল ইসলাম, কর্নেল মোশাররফ, মেজর (অব.) জিয়া, লে. (অব.) খান সোয়েব আমানুল্লাহ, সামরিক কর্মকর্তা ইমরান,সামরিক কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন এবং মেজর আফসারী।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, “যখন রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্ব একীভূত হয়, তখনই মুক্তিযুদ্ধ বা গণঅভ্যুত্থানের সূচনা হয়। আন্দোলনের চূড়ান্ত মুহূর্তে বিবেকের দায় থেকে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনসাধারণকে আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করেছিল।সাধারণত অবসরপ্রাপ্ত সেনারা রাজনৈতিক দাবিতে রাজপথে নামেন না, কিন্তু সেদিন ডিওএইচএসগুলোতে সেই রীতির ব্যত্যয় ঘটিয়েছিল বলেই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সেনাবাহিনী গণহত্যার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পেরেছিল। তাদের মাঠে নামার কারণেই গণঅভ্যুত্থান সহজ হয়েছে।”
তিনি অভিযোগ করেন,“ফ্যসিবাদের অন্তিম সময়ে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, মূলধারার কিছু মিডিয়া, সাহিত্যিক, কবি, শিল্পী ও সাংবাদিক জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। তবে সেনাপ্রধানের বক্তব্য সেদিন জনগণের বিরুদ্ধে যায়নি। সেটাই সেদিন আমাদের মাঝে আশার আলো সঞ্চারিত করেছিল।”
মনিশ দেওয়ান বলেন, “সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। জগদ্দল পাথরকে সরানো গেলেও, তা সম্পূর্ণরূপে সরানো যায়নি। ফুটো বল দিয়ে খেলা চলে না।”
মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, “২/১ জনের অপকর্মে পুরো বাহিনী কলুষিত হতে পারে না। জুলাইয়ের যুদ্ধ এখনো চলমান। সংস্কার দরকার মিডিয়া ও সশস্ত্র বাহিনী উভয় ক্ষেত্রেই। সংস্কার থাকলে হয়তো হিলি বা কাউল পালাতে হতো না। সংস্কারবিহীন নির্বাচন মানেই স্বৈরতন্ত্রের পুনর্বাসন।”
মোশাররফ বলেন, “হাজারো শহীদের রক্তে রঞ্জিত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ থেকে পিছু হটা যাবে না। সেদিন আমরা সামরিক কর্মকর্তারা আমাদের সন্তানদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলাম, বিবেকের তাড়নায় আমরা আর সেদিন ঘরে থাকতে পারিনি। কিন্তু জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত খুনিদের বিচার আমরা দেখতে পারি নাই।”
জামাল উদ্দিন বলেন, “হাসিনার ফ্যাসিবাদকে না করে দেওয়ার জন্য ৩৬ জুলাই আমরা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা বেরিয়ে আসি এবং জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণ করতে বলি। সেদিন আমরা নেমে আসায় জনগণ আরো বেশি সাহসী হয়ে সামনে এগিয়ে যায়। তখন পর্যন্ত আমরা কিন্তু জানতাম না আজকে হাসিনার শেষ দিন।”
মেজর (অব.) ডা. ওহাব মিনার বলেন, “দেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ছোটখাটো মতপার্থক্য ভুলে জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে হবে। সেই সঙ্গে সরকারের উচিত অবিলম্বে ‘জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করা।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি