১০০ ছবির প্রতিশ্রুতি, এরপর ২০ বছর দেখাই হয়নি
Published: 6th, August 2025 GMT
অভিনেতা হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিলেন ১৯৯১ সালে। কিন্তু নব্বই দশকে একের পর এক ছবি ফ্লপ হওয়ায় প্রযোজক-পরিচালকেরা মুখ ফিরিয়ে নেন, কেউ কেউ খোলাখুলি বিদ্রূপও করেছিলেন। আজ সেই অভিনেতাই বলিউডের অন্যতম সফল অভিনেতা। তিনি আর কেউ নন, অক্ষয় কুমার।
অক্ষয় কুমারের ক্যারিয়ার যেন এক রোলার কোস্টার। তাঁর প্রথম ছবি ‘সওগন্ধ’ (১৯৯১) তেমন সাড়া ফেলেনি, কিন্তু পরের বছর ‘খিলাড়ি’ তাঁকে রাতারাতি তারকাখ্যাতি এনে দেয়। ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত ‘খিলাড়িয়োঁ কা খিলাড়ি’ ও ‘সংঘর্ষ’-এর মতো কিছু ছবিতে সাফল্য এলেও অধিকাংশ ছবিই বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। একপর্যায়ে তাঁকে ‘অযোগ্য’, ‘ফ্লপ মেশিন’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে প্রায় অচ্ছুত করে দিয়েছিলেন ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই।
সে সময়েই পরিচালকের ভূমিকায় নামেন সুনীল দর্শন। তখন তিনি ‘জানওয়ার’ নামে একটি ছবি করতে চাইছিলেন সানি দেওলকে নিয়ে। কিন্তু ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এরপর প্রস্তাব যায় অজয় দেবগনের কাছে। ছবিটি করার ব্যাপারে আগ্রহীও ছিলেন অজয়। ঠিক তখনই হঠাৎ হাজির অক্ষয় কুমার।
‘১৩-১৪টা ফ্লপের পর ওর হাতে কিছুই ছিল না’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার
ফের দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিন শেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার। গত ৭ সেপ্টেম্বর আকুর বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিন শেষে আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম–৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার। গত ৭ সেপ্টেম্বর বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার।
গত জুন মাস শেষে রেমিট্যান্সে আয়ের প্রবৃদ্ধি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ পাওয়ার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ বেড়ে ৩১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার হয়। এরপর গত জুলাইর প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ২০২ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। তখন গ্রস রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারে। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ২৪ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। এরপর কমলেও আজ বুধবার রিজার্ভ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল। বিশেষ করে ডলারের দাম ১২২-১২৩ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রাখে। বিপরীত দিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে থাকে। ফলে মাঝে মধ্যে বাজার থেকে ডলার কেনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেইসঙ্গে দাতা সংস্থার অনুদান রিজার্ভ বাড়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলারে। করোনা পরবর্তী সময়ে সংকট মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে। ফলে ধীরে ধীরে কমতে থাকে রিজার্ভ। যা অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।
ঢাকা/নাজমুল/বকুল