জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রাজাকার’ লেখা কুশপুত্তলিকা দাহ, মশালমিছিল
Published: 6th, August 2025 GMT
ছবি: প্রথম আলো
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য জুলাই অভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া ২০২৪ সালের জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন আজ ইতিহাসের অংশ। এই আন্দোলন শুধু চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য ছিল না, বরং তা রূপ নিয়েছিল এক গণজাগরণে, যা শেষ পর্যন্ত ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’ নামে পরিচিতি পায়। চাকরি পরীক্ষার্থীদের জন্য এই আন্দোলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সমসাময়িক বিষয়, সাম্প্রতিক বাংলাদেশ, সাধারণ জ্ঞান কিংবা রচনামূলক প্রশ্ন—সবখানেই এটি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠতে পারে।
চলুন প্রথম পর্বে সংক্ষেপে জেনে নিই (১ থেকে ১৬ জুলাই) গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো
১ জুলাই ২০২৪, তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসমাবেশ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ৪ জুলাইয়ের মধ্যে দাবির বিষয়ে চূড়ান্ত সুরাহার আহ্বান জানানো হয়। এ সময় ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’–এর পক্ষ থেকে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
২ জুলাই ২০২৪, অবরোধ কর্মসূচি
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। বেলা পৌনে তিনটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে মিছিল করে নীলক্ষেত, সায়েন্স ল্যাব ও বাটা সিগন্যাল মোড় ঘুরে শাহবাগে গিয়ে থামে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
৩ জুলাই ২০২৪, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
এদিন আন্দোলনকারীরা ঢাকার শাহবাগ মোড় দেড় ঘণ্টার মতো অবরোধ করে রাখেন। একই দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন এবং সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন।
আরও পড়ুনএ সপ্তাহের সেরা সরকারি চাকরির বিজ্ঞপ্তি, মোট পদ ১৬৯৫০১ আগস্ট ২০২৫৪ জুলাই ২০২৪, ছাত্র ধর্মঘটের ডাক
সরকারি চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় আপিল বিভাগে স্থগিত হয়নি। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ ‘নট টুডে’ বলে আদেশ দেন। শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন মহাসড়ক অবরোধ করেন। আন্দোলন আরও জোরালো হয়। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেন আন্দোলনকারীরা।
৬ জুলাই ২০২৪, বাংলা ব্লকেড ঘোষণা
দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আগের দিনের মতোই বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় আন্দোলনকারীরা সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন, ছাত্র ধর্মঘট এবং সারা দেশে সড়ক-মহাসড়ক অবরোধের ডাক দেন। এর নাম দেওয়া হয় ‘বাংলা ব্লকেড’।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এক দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে