পঞ্চগড়ে ছুরিকাঘাতে জাবেদ উমর (১৮) নামের ছাত্রদলের একজন কর্মী নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত আটটার দিকে শহরের সিনেমা হল মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পূর্বশত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

নিহত জাবেদ উমর ওরফে জয় পঞ্চগড় পৌরসভার পুরাতন ক্যাম্প এলাকার জহিরুল ইসলামের ছেলে। তিনি এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি পঞ্চগড় বাজারে একটি ফলের দোকানের ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করতেন। তিনি পঞ্চগড় পৌর ছাত্রদলের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন। এ ঘটনার জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে রাতে শহরে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় লোকজন।

পুলিশ জানিয়েছে, পূর্বশত্রুতার জেরে ওই তরুণকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এ ঘটনায় পঞ্চগড় পৌরসভার নতুনবস্তি-খালপাড়া এলাকার দুই তরুণ জড়িত বলে অভিযোগ ওঠেছে।

পুলিশ, হাসপাতাল ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল রাত আটটার পর পঞ্চগড় বাজারের সিনেমা হল মার্কেটে কয়েকজন তরুণ জটলা করে কথা-কাটাকাটি করছিলেন। একপর্যায়ে জাবেদ উমরের পেটে ছুরি মেরে পালিয়ে যান কয়েকজন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাপতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। তবে রংপুরে নেওয়ার পথেই জাবেদ উমরের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর তাঁর লাশ নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে শহরে বিক্ষোভ করেন।

পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শইমী ইমতিয়াজ গতকাল রাতে বলেন, ‘আমরা রাত পৌনে ৯টার দিকে খবর পাই, সিনেমা হল মার্কেট এলাকায় জয় (জাবেদ উমর) নামে একজন তরুণ ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। রংপুর মেডিকেলে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনার সঙ্গে প্রাথমিকভাবে আল আমিন ও পারভেজ নামের দুজন তরুণের জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।’

শইমী ইমতিয়াজ আরও বলেন, ‘মৃত্যুর পর ওই তরুণের লাশ বাড়িতে নেওয়া হয়েছিল। দ্রুততম সময়ে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ ব দ উমর এ ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

এক যে আছে মন

প্রথম আলো আমার কেউ না। এ কথা ভেবে একবার মনে হয়, ঠিক বলেছি। পরক্ষণেই মনে হয়ে যায়, ঠিক বলিনি। এই ঠিক–বেঠিকের যুক্তিতর্কের ফাঁকে স্মৃতির ঘোড়া দৌড়ে বেরিয়ে যায়।

স্বাধীনতার পর মুখপাত্র আর স্পোকসম‍্যান নামে দুটো পত্রিকা প্রকাশিত হতো। সম্ভবত সে দুটো সাপ্তাহিক ছিল। তখন আর্ট কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আমি। তখন খুব শখ হয়, পত্রিকায় কার্টুন আঁকব। কার্টুন এঁকে এ পত্রিকা–সে পত্রিকায় ঘোরাঘুরি করি। ছোকরা কার্টুনিস্টের কার্টুন কেউ ছাপে না। একদিন মুখপাত্র আর স্পোকসম‍্যান সামনের পৃষ্ঠায় সে কার্টুন ছেপে দেয়। মানুষের জীবনে এই রকম ভূমিকায় মানুষ বা মানুষের কর্ম বিশেষ হয়ে ওঠে। চিরদিন মনে রাখার মতো এ রকম অসংখ্য বিষয় জীবনে আনন্দের ও অশেষ হয়ে থাকে।

তখন দেশে চারটি দৈনিক খুবই বিখ্যাত ছিল। ইত্তেফাক, দৈনিক বাংলা, পূর্বদেশ ও সংবাদ। ইত্তেফাক–এর সামনের পাতায় একদিন দেখি আমার আঁকা কার্টুন ছাপা হয়েছে। পূর্বদেশ–এ রেখে আসা কিছু কার্টুন এক এক করে ছাপা হতে শুরু হয়।

দৈনিক বাংলায় শেষের পাতায় আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক রফিকুন নবীর আঁকা ছবি দিয়ে ধারাবাহিক কার্টুন গল্প ছাপা হতো। সে গল্পের নাম ছিল ‘ফাঁদ’। গল্প লিখতেন ‘শাচৌ’ নামের আড়ালে বিখ্যাত শাহাদত চৌধুরী। তখন আমার বয়স কম, সাহস বেশি। পূর্বদেশ–এ গিয়ে প্রস্তাব দিই, চাইলে তারা ওই রকম একটা ধারাবাহিক কার্টুন গল্প চালু করতে পারে। খুব না ভেবে একজন ছোকরা আর্টিস্টের সেই প্রস্তাবে পূর্বদেশ রাজি হয়ে যায়।

আরও পড়ুনপ্রথম আলো সময় ও সমাজের দায় কতটুকু পূরণ করতে পারল০৬ নভেম্বর ২০২৪

এসব না–ভোলার মতো স্মৃতি, অনুপ্রেরণা। পূর্বদেশ পত্রিকায় ছোটদের সাহিত্য–সংস্কৃতিচর্চার জন্য ‘চাঁদের হাট’ নামে একটা পৃষ্ঠা ছিল। সে পৃষ্ঠায় ছাপা হওয়া গল্প, কবিতা, ছড়ার জন্য ছবি এঁকে দেওয়ার সুযোগ মিলে যায়। আঁকতে আঁকতে একসময় দেখি, সারা বাংলাদেশের লেখালেখি করা তরুণেরা আমাকে বিশেষভাবে চেনে। এসব সুযোগ পাওয়ায় জীবন সমৃদ্ধ হয়েছে। তার জন্য সময়, মানুষের উদারতা, প্রেরণাদায়ক ভূমিকার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করাই যথেষ্ট নয়।

অনেক পরে ঘটে আরও একটা বিশেষ ঘটনা। আনন্দপত্র নামে একটা সাপ্তাহিক পত্রিকা একসময় খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। সেই পত্রিকার সম্পাদক মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে পরিচয় ছিল না। পরিচয় যেদিন হয়, তিনি চমকে দেওয়ার মতো একটা প্রস্তাব করে বসেন, ঈদসংখ্যার জন্য উপন্যাস লিখে দিতে হবে। পারব কি পারব না—এমন দোদুল্যমানতায় লেখা হয়ে গেল প্রথম উপন্যাস ‘বিরহকাল’। এসব ঘটনা জীবনে এনে দিয়েছে অসাধারণত্বের স্বাদ। জীবন সদা মুখর থেকেছে। অনবরত জোগান দিয়ে গেছে আত্মবিশ্বাস।

কবি সিকদার আমিনুল হকের সম্পাদনায় বিপ্লব নামে একটা সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশিত হবে, আমাকে সে পত্রিকার শিল্প সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। জীবনপথে এসব সুযোগকে নতুন মোড় হিসেবে বিবেচনা করি। একেকটা মোড় জীবনে নতুন অভিজ্ঞতা যুক্ত করেছে, জীবনে এনে দিয়েছে নতুন নতুন উপলব্ধি ও গতি। জীবন দৃঢ় হয়েছে আত্মবিশ্বাসে।

মানুষ সচেতনভাবে বা অসচেতনতায় জনমভর বিশেষত্ব খোঁজে। বোধ করি সে সাহস ও বিশ্বাস নিয়েই জন্ম হয় প্রথম আলোর। প্রথম আলো বহু মানুষের কাছে খুব দ্রুতই পছন্দের হয়ে ওঠে। হয়ে ওঠে দেশের বহুল প্রচারিত দৈনিক। বহুল প্রচারিত দৈনিক হয়ে ওঠার সমস্যা রয়েছে। খুবই সাধারণ একজন মানুষ একদিন কোনো কথা প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছিলেন, এ দেশে মানুষ কিংবা বস্তু বিশেষ হয়ে উঠলে দশ দিকে বিপজ্জনক দশটা দরজা খুলে যায়।

আজকের কাগজ যখন বের হবে হবে, তখন সে দৈনিক পত্রিকার জন্য একটা বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ করে দেওয়ার প্রস্তাব আসে। সে প্রস্তাব অবাক হওয়ার মতোই; কারণ, সে সময়টাতে দৈনিক পত্রিকার জন্য বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ করার কথা কাউকেও ভাবতে দেখিনি। আমাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়। পূর্ণ স্বাধীনতা পাওয়ার কারণেই সে বিজ্ঞাপনচিত্রের ধারণা চট করে মাথায় এসে যায়।

একজন মানুষকে একটা অন্ধকার ঘরে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে, মানুষটার চোখ–মুখও বাঁধা। নেপথ্য থেকে ভারী কণ্ঠে বলা হয়, হাত বাঁধা নেই, মুখ বাঁধা নেই, আমরা বলতে পারি। সাংবাদিকতায় তরুণ রক্ত প্রবেশ করেছিল বলেই এই বলা ও করতে পারার সাহস, শক্তি মিলেছিল।

জন্ম হলো ভোরের কাগজ–এর। সেখানেও তারুণ্যের উদ্দীপনা। আবার প্রস্তাব আসে, আবারও সুযোগ হলো ভোরের কাগজ–এর জন্য বিজ্ঞাপনচিত্র বানানোর। নতুনেরা নতুনত্ব চায় এবং বুকে বুকে তীব্র সাহস, তাই বিজ্ঞাপনচিত্রের ভাবনা আটকা পড়ল না।

সে বিজ্ঞাপনে দেখানো হবে, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ ভোরের কাগজ কেন পড়ে—এ প্রশ্নের মুখে পরিষ্কার করে নির্দিষ্ট কোনো কারণ বলতে পারে না কিন্তু সবাই–ই আগ্রহ নিয়ে পত্রিকাটা পড়ে। এমন বিজ্ঞাপন ধারণার কথা আজও কাউকে শোনানো হলে কপালে চট করে ভাঁজ পড়ে যাবে। মন্তব্য করা হবে, যদি পড়ার কোনো কারণ স্পষ্ট করে কেউই না বলতে পারে, সেটা কাগজকে অবশ্যই বিশেষত্বহীন করে দেয়।

আরও পড়ুনস্বাধীন সাংবাদিকতায় অবিচল থাকবে প্রথম আলো০৪ নভেম্বর ২০২৪

মানুষ সচেতনভাবে বা অসচেতনতায় জনমভর বিশেষত্ব খোঁজে। বোধ করি সে সাহস ও বিশ্বাস নিয়েই জন্ম হয় প্রথম আলোর। প্রথম আলো বহু মানুষের কাছে খুব দ্রুতই পছন্দের হয়ে ওঠে। হয়ে ওঠে দেশের বহুল প্রচারিত দৈনিক। বহুল প্রচারিত দৈনিক হয়ে ওঠার সমস্যা রয়েছে। খুবই সাধারণ একজন মানুষ একদিন কোনো কথা প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছিলেন, এ দেশে মানুষ কিংবা বস্তু বিশেষ হয়ে উঠলে দশ দিকে বিপজ্জনক দশটা দরজা খুলে যায়।

একদিন এ বিষয় নিয়ে প্রিয় লেখক সৈয়দ শামসুল হকের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তিনি হাসতে হাসতে বলেছিলেন, তুমি যা করছ, সেটা নিয়ে যদি কারও মাথাব্যথা না হয়, ধরে নেবে উল্লেখযোগ্য কিছুই হচ্ছে না। যদি দেখো অনেক মন্দ কথা ছোটাছুটি করছে, মন খারাপ না করে বুঝে নিতে হবে, যা করছ, তা বিশেষ কিছু নিশ্চয়ই হচ্ছে।

আরও পড়ুনবাক্‌স্বাধীনতা, প্রথম আলো ও আমাদের গণতন্ত্র০৪ নভেম্বর ২০২২

তিনি হাসতে হাসতে আরও বলেছিলেন, গাছে ফল থাকলেই মানুষ ঢিল ছোড়ে, শূন্য গাছে ছোড়ে না। যদি কাউকে ছুড়তে দেখে, লোকে নিশ্চয়ই তাকে পাগল ভাববে। এই পর্যন্ত বলে তিনি মুচকি হাসেন এবং অদ্ভুত এক প্রশ্ন করেন, তুমি শিঙাড়া পছন্দ করো? মাথা নেড়ে জানাই, করি। তাঁর মুচকি হাসি বড় হয়ে যায়, আমার খুব আজব লাগে, এ রকম একটা সুখাদ্যের আকৃতি এমন বিদঘুটে কেন? তিন শিংঅলা শক্ত শিঙাড়ায় কামড় দিলে ভেতরে দারুণভাবে রান্না করা নরম সবজি আর চমৎকার ঘ্রাণে মন ভরে যায়।

আমি তখনো বুঝতে পারিনি, হঠাৎ শিঙাড়ার গল্প হাজির করলেন কেন। তিনি বললেন, বাঙালি সর্বদা এবং সর্বত্র আলাদা হতে পছন্দ করে। ঘুরিয়ে প্রশংসা করতে ভালোবাসে। এই শিঙাড়া হচ্ছে বহু বাঙালির চরিত্রের প্রতীক। ওপরে তিনটা শিং দেখালেও ভেতরে লুকানো থাকে সুঘ্রাণ, সুস্বাদ।

আরও পড়ুনপ্রথম আলো, সমাজ ও রাজনীতি০৪ নভেম্বর ২০২৩

‘যা কিছু ভালো তার সাথে প্রথম আলো’ কথাটা শুনতে খুব ভালো লাগে কিন্তু একেবারে মন্দবিহীন কি হওয়া যায়! কিছু মন্দ থাকতেই হয় অস্তিত্ব রক্ষার জন্য। নির্ভুল, নিখুঁত, নিষ্পাপ, নির্দোষ হলে সেটা দৈনিক পত্রিকার অফিস হয়ে টিকে থাকতে পারত না। জীবিত এবং পবিত্রতম স্থান বিবেচনা করে দেশের নানা প্রান্ত থেকে হাজির হওয়ার হুলুস্থুল পড়ে যেত।

সেখানে এখনো কলম চলে। প্রার্থনা বা রহম প্রাপ্তির স্থানে পরিণত হয়নি, দলেবলে মানুষ সেখানে আগরবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা, বিপদ থেকে উদ্ধার কিংবা মানত করার জন্য ভিড় জমায় না। লৌকিক–অলৌকিকের পার্থক্য এইভাবে টিকে থাকে।

অনেক পত্রপত্রিকার সঙ্গে আমার আবেগময় নানাবিধ স্মৃতি রয়েছে। সেসব সৌভাগ্য, অসংখ্য অসাধারণ অভিজ্ঞতা বলে বিবেচনা করি। মনে করে আজও কৃতজ্ঞ হই, আনন্দিত বোধ করি। অনেক ভেবে দেখি, প্রথম আলোর সঙ্গে তেমন কোনো সম্পর্কের কথা মনে করতে পারি না। পারি না, তবু নিজের এবং কাছের বলে অনুভূত হয়।

প্রথম আলোর সার্থকতা বা শক্তি ‘দূরের নই, কাছের’—এই অনুভব মনে মনে, বহু মনে নিঃশব্দে ছড়াতে পেরেছে।

আফজাল হোসেন অভিনেতা, লেখক, নির্দেশক, চিত্রশিল্পী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডাকসু নেতার প্রবীণ ব্যক্তিকে লাঠি হাতে শাসানো নিয়ে সমালোচনা-বিতর্ক
  • এক কাপ কফি খাও, তারপর লিখতে বসো—মতি ভাই বললেন
  • মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টকে চুমু দেওয়ার চেষ্টা মাতাল ব্যক্তির
  • দিনমজুর বাদশা মিয়াকে আমাদের সাধুবাদ
  • প্রেমিককে সামনে আনলেন জেনিফার
  • ‘কাণ্ডজ্ঞান’ নিয়ে কটাক্ষের শিকার মাধুরী
  • ফিফপ্রোর একাদশ: মেসি–রোনালদোর জায়গা হয়নি, ইয়ামাল সর্বকালের সর্বকনিষ্ঠ
  • নেপালে তুষারধসে ৭ পর্বতারোহীর মৃত্যু
  • অস্কার মনোনীত অভিনেত্রী ডায়ান মারা গেছেন
  • এক যে আছে মন