অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু আজ থেকে: প্রেস সচিব
Published: 7th, August 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হয়েছে। সরকারের আজ থেকে প্রধান কাজ হচ্ছে জাতিকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়া।
সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ কথা বলেছেন।
প্রেস সচিব বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের শুরুতে সূচনা বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ৫ আগস্ট তাঁদের সরকারের প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে রোজা শুরুর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে গতকাল বুধবার নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হলো। তবে একই সময়ে সংস্কার ও বিচারের কাজ চলবে।উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে দুটি অভিনন্দন প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে বলে জানান প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক কমানোতে ভূমিকা রাখায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনকে ধন্যবাদ জানানো হয়। বলা হয়, শুল্ক কমানোর ক্ষেত্রে বাণিজ্য উপদেষ্টা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং পাল্টা শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
সভায় সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকেও অভিনন্দন জানানো হয় । জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে মাসব্যাপী অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ও সুচারুভাবে সম্পন্ন করায় তাঁকে অভিনন্দন জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনের প্রেস সচিব আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গত বছরের ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে মোট ৩১৫টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে ২৪৭টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়েছে। শতাংশে ৭৮.
শফিকুল আলম আরও বলেন, ১১ সংস্কার কমিশন যে ১২১টি আশু বাস্তবায়নযোগ্যের সুপারিশ করেছিল, এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৬টি বাস্তবায়ন হয়েছে। ৮৫টি আশু বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াধীন। ১০টি আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে। আর ১০টি বাস্তবায়ন করা যাবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
গাজীপুর ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বাতিল
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, গাজীপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের জন্য দাবি রয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গাজীপুর ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে ইউনিভার্সিটি অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি বাংলাদেশ নাম রাখা হয়েছে।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মেহেরীন চৌধুরীর নামে পুরস্কার চালু হচ্ছে
প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের মধ্যে দুজন শিক্ষক এবং একজন আয়া রয়েছেন। তাঁদের সম্মাননা দেওয়া নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মেহেরীন চৌধুরীর নামে পুরস্কার চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই পুরস্কার চালু করবে। মেহেরীন চৌধুরীর আত্মদান স্মরণীয় করে রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান শফিকুল আলম।
জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের জন্য সুষ্ঠুভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদানে একটি বিধি করা হচ্ছে বলেও জানান শফিকুল আলম। তিনি বলেন, শহীদ পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা দিতে গিয়ে বিতর্ক দেখা দিচ্ছে। শহীদের স্ত্রী কত টাকা পাবে, মা-বাবা কত টাকা পাবে, বিধিতে তা উল্লেখ থাকবে বলে জানান তিনি।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গ্রিপ উইকনেস বা হাতের মুঠোর দুর্বলতা দূর করবেন কীভাবে
কেন হয়, লক্ষণ কী
বেশ কিছু কারণে এই সমস্যা হয়। এর মধ্যে রয়েছে কারপাল টানেল সিনড্রোম, ঘাড়ের মেরুদণ্ডে রেডিকুলোপ্যাথি, স্নায়ুজনিত সমস্যা (ডায়াবেটিসের কারণে হতে পারে), স্ট্রোকের পর দুর্বলতা ও মোটর নিউরন ডিজিজের মতো নিউরোলজিক্যাল সমস্যা। এ ছাড়া ডি কুইরভেনস টেনোসাইনোভাইটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা অস্টিওআর্থ্রাইটিস, ট্রিগার ফিঙ্গার ও টেনডন ইনজুরির কারণেও হতে পারে। মায়োপ্যাথি ও মাসকুলার ডিসট্রফির মতো পেশির সমস্যা এবং হাতের ফ্র্যাকচার ও নার্ভে ইনজুরির মতো আঘাতজনিত সমস্যায় হাতের মুঠো দুর্বল হয়ে যায়।
গ্রিপ উইকনেস হলে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা যায়। এর মধ্যে রয়েছে কোনো বস্তু ধরতে গেলে হাত থেকে পড়ে যাওয়া, লেখার সময় কলম ঠিকমতো না ধরতে পারা, বোতাম লাগানো ও নব ঘুরিয়ে দরজা খুলতে সমস্যা হওয়া, হাতে ঝিমঝিম বা অবশ ভাব ও পেশির ক্ষীণতা ইত্যাদি।
আরও পড়ুনমিডি ড্রেসে ৬ রঙে কেয়া পায়েল, ২৫টি ছবিতে দেখুন তাঁর সাজপোশাকের খুঁটিনাটি২ ঘণ্টা আগেচিকিৎসা ও করণীয়ফিজিয়্যাট্রিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এ রোগের উপশম সম্ভব। এর জন্য আগে মূল কারণ নির্ণয় করতে হবে। এ ক্ষেত্রে রোগের সঠিক ইতিহাস ও কিছু পরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে। যদি সন্দেহ হয় যে নিউরোপ্যাথি, তাহলে ইমএমজি বা এনসিভি পরীক্ষা করতে হবে। টেনডন ইনজুরি বা নার্ভে চাপ মনে হলে সে ক্ষেত্রে এমআরআই বা আলট্রাসাউন্ড করতে হবে।
কিছু থেরাপি বেশ কাজের। এর মধ্যে একটি হলো হাতের ফিজিওথেরাপি। ফিঙ্গার স্ট্রেচ, রিস্ট এক্সটেনশন ফ্লেক্সন স্ট্রেচ করা যেতে পারে। হ্যান্ড গ্রিপার ব্যবহার, বিশেষ বস্তু নিয়ে স্কুইজ, রাবার ব্যান্ড দিয়ে ফিঙ্গার এক্সটেনশন করতে পারেন। বাটনিং প্র্যাকটিস ও পেগ বোর্ড গেমেও উপকার পাওয়া যায়।
ব্যথা হলে টেনস থেরাপি, কারপাল টানেল বা টেনডনের প্রদাহে আলট্রাসাউন্ড থেরাপি, পেশির শক্তি ও নমনীয়তা বাড়াতে নিউরোমাস্কুলার ইলেকট্রিক্যাল স্টিমুলেশন, স্প্লিন্ট ব্যবহার, রিস্ট কক আপ স্প্লিন্ট, থাম্ব স্পিকা স্প্লিন্ট, রেস্টিং হ্যান্ড স্প্লিন্ট করা যেতে পারে। স্ট্রোকের পর মিরর থেরাপি কার্যকর।
আরও পড়ুনবান্দরবানের গহিনে একটি কুকুর যেভাবে গাইড হয়ে আমাকে পথ দেখাল৯ ঘণ্টা আগেচিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রদাহরোধী ওষুধ সেবন করা যেতে পারে। নিউরোপ্যাথি থাকলে গাবাপেনটিন বা প্রিগাবালিন, ভিটামিন বি১, বি৬, বি১২ ও রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা অন্য বাতরোগ থাকলে তার চিকিৎসা নিতে হবে।
সহজে ধরা যায়, এমন সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হবে। এক হাতে কাজ করার উপায় শিখে নিতে হবে। স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতির ইলেকট্রিক টুথব্রাশ, স্বয়ংক্রিয় তালা, ভয়েস অ্যাকটিভেটেড ফোন ব্যবহার করতে পারেন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রাম নিতে হবে। ভারী বস্তু তোলা যাবে না।
ডা. সাকিব আল নাহিয়ান, ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা
আরও পড়ুনমাসে কতবার ইমারজেন্সি পিল খাওয়া নিরাপদ৫ ঘণ্টা আগে