অন্তর্বর্তী সরকার মনে করছে, তাদের প্রথম পর্ব শেষ এবং দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বের মূল দায়িত্ব সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ভালো একটি নির্বাচন আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছেন।

বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

আরো পড়ুন:

‘আলোকিত স্বার্থবোধের’ ভিত্তিতে পররাষ্ট্রনীতি নিয়েছি আমরা: তৌহিদ হোসেন

জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার পূর্ণ ভাষণ

প্রেস সচিব বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা সরকারের সব পর্যায়ের কর্মচারীদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে সংস্কার ও বিচারের কাজও চলতে থাকবে।”

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “এর মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার অফিস থেকে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন আয়োজনের জন্য চিঠি দিয়েছেন। এর মাধ্যমে সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হয়ে গেছে।”

“তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) বলেছেন দ্বিতীয় অধ্যারয়ে প্রথম ও প্রধান কাজ হচ্ছে নির্বাচন সুন্দরভাবে করা,” বলেন শফিকুল আলম।

এর বাইরে সংস্কার ও বিচারক কাজও গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন বলেন জানান প্রেস সচিব।

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

গ্যাস অনুসন্ধানে দুটি কূপ খননে পেট্রোবাংলার সঙ্গে চীনের কোম্পানির চুক্তি

গ্যাস অনুসন্ধানে দুটি কূপ খননে চীনের একটি কোম্পানির সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার চুক্তি করেছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)।

চুক্তি অনুসারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস ও কুমিল্লার বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্রে এ দুটি কূপ খনন করবে চায়না ন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম কোম্পানির (সিএনপিসি) সহযোগী কোম্পানি সিএনপিসি চুয়াংইং ড্রিলিং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (সিসিডিসি)।

পেট্রোবাংলা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ চুক্তির কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, দেশের বিরাজমান জ্বালানিঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে ভূগর্ভস্থ গভীরতম স্তর থেকে গ্যাস অনুসন্ধানে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল) দুটি গ্যাসক্ষেত্রে কূপ দুটি খনন করছে। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে নির্বাচিত সিসিডিসি ৫৯৪ কোটি ২৫ লাখ টাকায় কূপ দুটি খনন করবে।

পেট্রোবাংলা বলছে, সফলভাবে খনন সম্পন্ন হলে দেশের গ্যাস খাতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে এবং বর্তমানের চেয়ে গ্যাসের মজুত বৃদ্ধি পাবে। কূপ খনন শেষে তিতাস-৩১ কূপ থেকে দিনে প্রায় দেড় কোটি ঘনফুট গ্যাস এবং বাখরাবাদ-১১ কূপ থেকে দিনে প্রায় ১ কোটি ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে আশা করছে পেট্রোবাংলা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিতাস-৩১ কূপে ৫ হাজার ৬০০ মিটার এবং বাখরাবাদ-১১ কূপে ৪ হাজার ৩০০ মিটার খনন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। কূপ খনন, ভূমি অধিগ্রহণ ও গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় হবে ৭৯৮ কোটি টাকা। ২০২৫ সালের জুলাই থেকে ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। গভীর কূপ দুটি খননের মাধ্যমে তিতাস ও বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্রের ৩ হাজার ৭০০ মিটার থেকে ৫ হাজার ৬০০ মিটার ভূ-অভ্যন্তরে গ্যাসের উপস্থিতি, বিস্তৃতি ও গ্যাস মজুত নিশ্চিত হওয়া যাবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান। বিজিএফসিএলের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন কোম্পানি সচিব মো. মোজাহার আলী এবং সিসিডিসির পক্ষে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লি জিয়াওমিং।

সম্পর্কিত নিবন্ধ