সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের আয়োজিত ‘জুলাই স্মৃতি ফুটসাল টুর্নামেন্টে’ হামলার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে কলেজের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ বাদী হয়ে শাহ পরান থানায় মামলাটি করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২০–২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় আজ বিকেল পৌনে পাঁচটা পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় নগরের বালুচর নয়াবাজার এলাকার কিংস ফুটসাল মাঠে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে টুর্নামেন্ট চলাকালে মাঠে হামলা চালান। তাঁদের দাবি, স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী মামুনের নেতৃত্বে পরিকল্পিত এ হামলা হয়।

শিক্ষার্থীরা জানান, হামলাকারীদের মধ্যে একজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আটক ব্যক্তি শিক্ষার্থীদের কাছে স্বীকার করেছেন, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের নির্দেশেই তিনি হামলায় অংশ নিয়েছিলেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা রাতেই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে তাঁরা স্লোগান দেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করে, যা শুরু হয় গত মঙ্গলবার থেকে। বালুচরের একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন মাঠে খেলা চলাকালে গতকাল সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তা মারামারিতে রূপ নেয়। আহতদের মধ্যে ১১ জন শিক্ষার্থী ও একজন স্থানীয় বাসিন্দা সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো.

আসাদুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে কলেজের পক্ষ থেকেও থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এ অভিযোগ করেছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কল জ র

এছাড়াও পড়ুন:

জোহরান মামদানিকে নিয়ে কী বললেন কুমোর শীর্ষ তহবিলদাতা

বিল অ্যাকম্যান একজন হেজ ফান্ড ব্যবস্থাপক ও ধনকুবের। ট্রাম্পের গোঁড়া সমর্থক তিনি। এবার নিউইয়র্ক নগরের মেয়র নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোর নির্বাচনী প্রচারে শীর্ষ দাতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। সেই অ্যাকম্যান গতকাল বুধবার মেয়র পদে বিজয়ী ডেমোক্র্যাট জোহরান মামদানিকে শুভেচ্ছা জানাতে দেরি করেননি।

গতকাল বিল অ্যাকম্যান তাঁর এই সহানুভূতিশীল সুরের পেছনের ভাবনাও ব্যাখ্যা করেছেন।

জোহরান মামদানি সম্পর্কে অ্যাকম্যান বলেন, ‘তিনি আগামী চার বছরের জন্য আমাদের মেয়র হতে চলেছেন।’

জোহরান মামদানি একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম। তাঁর মা ভারতের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মিরা নায়ার। বাবা কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের খ্যাতিমান অধ্যাপক মাহমুদ মামদানিও জন্মগতভাবে ভারতীয়।

ধনকুবের অ্যাকম্যান আরও যোগ করেন, ‘আমি নিউইয়র্ক নগরের জন্য গভীরভাবে ভাবি। ১৮৯০-এর দশকে আমরা নিউইয়র্কের অভিবাসী হওয়ার পর থেকে এই নগর আমার ও আমার পরিবারের প্রতি খুব সদয় ছিল।’

অ্যাকম্যান আরও বলেন, জোহরান মামদানিকে তিনি সমর্থন না করলেও তিনি এই নগরকে সাহায্য করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের মেয়র যেই হোন না কেন, আমি তাঁকে সাহায্য করতে পারি।’

ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী জোহরান মামদানি মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নিউইয়র্ক নগরের ১১১তম মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকে পরাজিত করে ইতিহাস গড়েছেন তিনি। এ জয়ের মধ্য দিয়ে জোহরান শহরটির প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হলেন।

একই সঙ্গে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ও আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী কোনো অভিবাসী প্রথম নিউইয়র্কের মেয়র হলেন। শুধু তাই নয়, এক শতাব্দীর মধ্যে জোহরান হচ্ছেন সবচেয়ে কনিষ্ঠ মেয়র।

সম্পর্কিত নিবন্ধ