পারফেট্টি ভ্যান মেলে বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় করপোরেট গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। এর ফলে, পারফেট্টি ভ্যান মেলের কর্মীরা গার্ডিয়ানের ইন্স্যুরেন্স সুবিধার আওতায় আসবেন। 

এই পার্টনারশিপের ফলে এখন থেকে পারফেট্টি ভ্যান মেলে বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডের সব কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও চিকিৎসা-সংক্রান্ত বিভিন্ন সুবিধা পাবেন। 

সম্প্রতি ঢাকায় পারফেট্টি ভ্যান মেলের কর্পোরেট অফিসে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয়। গার্ডিয়ানের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রকিবুল করিম, এসএভিপি ও হেড অব গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স গাজী রাফি আহমেদ শামস, এসএভিপি ও ডেপুটি হেড (গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স) ইফতেখার আহমেদ, এসএভিপি ও বিজনেস লিড (গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স) আবু হানিফ, এসএভিপি ও হেড অব সার্ভিস (গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স) জিনাত ফেরদৌসী, এসএভিপি ও টিম লিডার (গ্রুপ সার্ভিস) মাসুদুর রহমান মজুমদার; কি অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার (গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স) আহমেদ শাফিউল হক এবং বিজনেস রিলেশনশিপ ম্যানেজার, (গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স) সোহানুর রহমান।    

পারফেট্টি ভ্যান মেলে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশীষ কাপুর, ডিরেক্টর (হিউম্যান রিসোর্সেস) মোহাম্মদ সাব্বির জাহাঙ্গীর, ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ওডি অ্যান্ড এইচআরবিপি সিনিয়র ম্যানেজার অনিন্দিতা তৃষা, সি অ্যান্ড বি ও এইচআর সার্ভিসেসের সিনিয়র ম্যানেজার মোহাম্মদ জাইদ বিন আতাউর, ওডি অ্যান্ড এইচআর সার্ভিসেসের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ আহনাফ তাহামিদ।

অনুষ্ঠানে গার্ডিয়ানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রকিবুল করিম বলেন, “প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও তাদের পরিবারের জন্য একটি ইন্স্যুরেন্স কভারেজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইন্স্যুরেন্স মানুষকে নিরাপত্তাবোধ ও মানসিক প্রশান্তি দেয়, যা কর্মীদের অফিসের কাজ ও ব্যক্তিগত উন্নয়নে মনোনিবেশ করতে ভূমিকা রাখে।” 

তিনি আরো বলেন, “পারফেট্টি ভ্যান মেলের সাথে এই পার্টনারশিপে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। সেই সাথে তাদের কর্মীদের জন্য আমাদের ইন্স্যুরেন্স সেবা প্রদান করতে পেরে আমরা গর্বিত। দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই সহযোগিতা পূর্ণ পদক্ষেপই প্রমাণ করে গার্ডিয়ান সব সময় কর্পোরেট প্রয়োজন অনুযায়ী নির্ভরযোগ্য ইন্স্যুরেন্স সমাধান দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

ঢাকা/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ইন স য র ন স ইন স য র ন স স র কর ম

এছাড়াও পড়ুন:

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় লতিফ সিদ্দিকী ও মঞ্জুরুল আলমের হাইকোর্টে জামিন

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমকে অন্তবর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

জামিন চেয়ে এই দুজনের করা পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিন ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালতে লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও ফজলুর রহমান এবং আইনজীবী এম আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া শুনানিতে ছিলেন।

মঞ্জুরুল আলমের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন ও রমজান আলী শিকদার এবং আইনজীবী প্রিয়া আহসান চৌধুরী।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী।

হাইকোর্ট মঞ্জুরুল আলমকে অন্তবর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন জানিয়ে আইনজীবী রমজান আলী শিকদার প্রথম আলোকে বলেন, ফলে তাঁর কারামুক্তিতে আপাতত বাধা নেই।

লতিফ সিদ্দিকীর আইনজীবী এম আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্ট রুল দিয়ে তাঁর মক্কেলকে (লতিফ সিদ্দিকী) অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ কোনো উদ্যোগ না নিলে তাঁর কারামুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই।

আটকের ১২ ঘণ্টার বেশি সময় পর গত ২৮ আগস্ট দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়। রাজধানীর শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

গত ২৮ আগস্ট সকালে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, শেখ হাফিজুর রহমানসহ অন্যরা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিতে যান। ‘আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের সংবিধান’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজক ছিল ‘মঞ্চ ৭১’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ও গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নাম ছিল। তবে তিনি সেখানে ছিলেন না। সেদিন সকাল ১০টায় গোলটেবিল আলোচনা শুরুর কথা ছিল। তবে তা শুরু হয় বেলা ১১টায়

আলোচনা সভায় প্রথমে বক্তব্য দেন শেখ হাফিজুর রহমান। শেখ হাফিজুর রহমানের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরই মিছিল নিয়ে একদল ব্যক্তি ডিআরইউ মিলনায়তনে ঢোকেন। এ সময় তাঁরা ‘জুলাইয়ের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, ‘জুলাইয়ের যোদ্ধারা, এক হও লড়াই করো’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

একপর্যায়ে তাঁরা গোলটেবিল আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে আলোচনায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পুলিশের (ডিএমপি) একটি দল এলে তাঁরা পুলিশের কাছে লতিফ সিদ্দিকী, শেখ হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমসহ অন্তত ১৬ জনকে তুলে দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ