খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে ইউসুফ (২৩) নামে মাদক মামলার এক আসামি পালিয়ে গেছেন। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে, বুধবার দুপুরে নগরীর আলমনগর মোড় থেকে ২০ পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ইউসুফ খালিশপুর থানাধীন আলমনগর মোড়ের শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে।

খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘এ ঘটনায় রাতেই তার বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়। রাতে বুকে ব্যথা অনুভব হলে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।’’

আরো পড়ুন:

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মেয়েকে হত্যা, বাবাসহ ৩ জনের ফাঁসি

উপদেষ্টা আসিফের বাবাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

খালিশপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘‘ইউসুফকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তার রোগ শনাক্ত করতে পারেনি। তিনি একেক সময় একেক রকম কথা বলছিলেন। তখন চিকিৎসকের নির্দেশে তাকে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ৯টায় প্রিজন সেলে রেখে আমি চলে আসি।’’

প্রিজন সেলের ইনচার্জ এসআই শামীম রেজা বলেন, ‘‘প্রিজন সেলে দুইজন আসামি ছিলেন, তাদের মধ্যে বয়স্ক আসামি রাত সাড়ে ৩টায় বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন জানান। তখন দায়িত্বরত কনস্টেবল রাব্বি আলী তার জন্য প্রিজন সেলের দরজার তালা খুলে দেন এবং তাকে বাথরুমে নিয়ে যান। কিন্তু, ভুল করে দরজার তালা বন্ধ করতে ভুলে যান। বাথরুম থেকে ফিরে এসে দেখেন, ইউসুফ নেই।’’

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আবু তালেব বলেন, ‘‘প্রিজন সেলের ভেতরে নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশের। বাইরের প্রধান ফটকে নিরাপত্তায় থাকেন কারারক্ষীরা। দুই পক্ষেরই গাফিলতি ছিল। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।’’

খুলনা কারাগারের জেল সুপার নাসির উদ্দিন প্রধান বলেন, ‘‘প্রিজন সেলের রক্ষীদের যদি কোনো গাফিলতি থাকে তাহলে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/নূরুজ্জামান/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প র জন স ল র ইউস ফ

এছাড়াও পড়ুন:

হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে মাদক মামলার আসামির পলায়ন

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে ইউসুফ (২৩) নামে মাদক মামলার এক আসামি পালিয়ে গেছেন। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে, বুধবার দুপুরে নগরীর আলমনগর মোড় থেকে ২০ পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ইউসুফ খালিশপুর থানাধীন আলমনগর মোড়ের শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে।

খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘এ ঘটনায় রাতেই তার বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়। রাতে বুকে ব্যথা অনুভব হলে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।’’

আরো পড়ুন:

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মেয়েকে হত্যা, বাবাসহ ৩ জনের ফাঁসি

উপদেষ্টা আসিফের বাবাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

খালিশপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘‘ইউসুফকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তার রোগ শনাক্ত করতে পারেনি। তিনি একেক সময় একেক রকম কথা বলছিলেন। তখন চিকিৎসকের নির্দেশে তাকে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ৯টায় প্রিজন সেলে রেখে আমি চলে আসি।’’

প্রিজন সেলের ইনচার্জ এসআই শামীম রেজা বলেন, ‘‘প্রিজন সেলে দুইজন আসামি ছিলেন, তাদের মধ্যে বয়স্ক আসামি রাত সাড়ে ৩টায় বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন জানান। তখন দায়িত্বরত কনস্টেবল রাব্বি আলী তার জন্য প্রিজন সেলের দরজার তালা খুলে দেন এবং তাকে বাথরুমে নিয়ে যান। কিন্তু, ভুল করে দরজার তালা বন্ধ করতে ভুলে যান। বাথরুম থেকে ফিরে এসে দেখেন, ইউসুফ নেই।’’

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আবু তালেব বলেন, ‘‘প্রিজন সেলের ভেতরে নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশের। বাইরের প্রধান ফটকে নিরাপত্তায় থাকেন কারারক্ষীরা। দুই পক্ষেরই গাফিলতি ছিল। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।’’

খুলনা কারাগারের জেল সুপার নাসির উদ্দিন প্রধান বলেন, ‘‘প্রিজন সেলের রক্ষীদের যদি কোনো গাফিলতি থাকে তাহলে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/নূরুজ্জামান/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খুলনা মেডিকেলের প্রিজন সেল থেকে পালালেন মাদক মামলার আসামি