গাজায় আকাশ থেকে ত্রাণ নয়, ধোঁকা ফেলা হচ্ছে
Published: 7th, August 2025 GMT
গত সপ্তাহে আমি বা আমরা গাজার প্রাণকেন্দ্র আজ-জাওয়াইদার কাছে আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলতে দেখেছি। কিন্তু আমি বা আমার কোনো প্রতিবেশী তা কুড়াতে যাওয়ার সাহস পাইনি। কারণ, আমরা জানি, ওগুলো মাটিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই লড়াই শুরু হবে। আকাশ থেকে পড়া ত্রাণ যদি কোনোভাবে প্রকৃত ক্ষুধার্ত মানুষের হাতে পড়েও, কিন্তু শেষ পর্যন্ত লুটেরাদের হাত থেকে তাঁরা রেহাই পাবেন না।
প্রায় প্রতিবারই একই দৃশ্য ঘটে। বিমান থেকে বাক্সগুলো পড়ার সঙ্গে সঙ্গে গুলিবর্ষণ শুরু হয়। আগে থেকেই সশস্ত্র গ্যাংগুলো মাটিতে অপেক্ষা করে থাকে, যাতে জোর করে এই ত্রাণ দখল করা যায়। যিনি আগে পৌঁছান বা যে আগে গুলি চালান, তিনিই খাবার নিয়ে চলে যান। কিন্তু যাঁদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তাঁরা কখনো পান না। পরে আমরা দেখি সেই ‘সাহায্যের বাক্সগুলো’ দেইর আল-বালাহর বাজারে বিক্রি হচ্ছে। ভেতরের জিনিসগুলো আগুনের দামে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুনগাজায় ত্রাণ বিতরণকেন্দ্র আসলে ইসরায়েলের মারণকল২৮ জুলাই ২০২৫সম্প্রতি আমার ছোট ভাই বিস্কুট খেতে চাইছিল। আমি বাজারে একটি ত্রাণের প্যাকেট থেকে আসা বিস্কুট দেখলাম এবং দোকানিকে বিস্কুটের দাম জিজ্ঞাসা করলাম। জানলাম, এক পিস বিস্কুটের দাম ২০ শেকেল (৫ ডলার)। এই দামে সে বিস্কুট আমাদের পক্ষে কেনা সম্ভব ছিল না।
আকাশ থেকে ফেলা এই ত্রাণ শুধু ক্ষুধার্ত ব্যক্তিদের পেট ভরাতে ব্যর্থ হয় না, তাঁদের হত্যা পর্যন্ত করে। এ সপ্তাহে আকাশ থেকে ফেলা একটি প্যালেট বাস্তুচ্যুত মানুষের একটি তাঁবুতে গিয়ে পড়ে এবং তাতে আল-আকসা শহীদ হাসপাতালের চিকিৎসক উদাই আল-কুরআন নিহত হন। এক সপ্তাহ আগে আরেকটি প্যালেট উত্তর গাজায় তাঁবুতে গিয়ে পড়লে ১১ জন আহত হন।
গত বছরও এয়ারড্রপে মানুষ মারা গেছেন। গাজা সিটির শাতি শরণার্থীশিবিরে একটি প্যালেটের প্যারাস্যুট না খোলায় পাঁচজন নিহত হন; সমুদ্রে পড়া ত্রাণের প্যাকেট আনতে গিয়ে ১২ জন ডুবে মারা যান; ভিড়ের মধ্যে হুড়োহুড়ি করে এয়ারড্রপের স্থানে যাওয়ার সময় ৬ জন নিহত হন।
বিশ্বের সাধারণ মানুষ হয়তো মনে করতে পারেন, এভাবে আকাশ থেকে খাবার ফেলে ফিলিস্তিনিদের ক্ষুধা মেটাতে কিছু করা হচ্ছে, কিন্তু গাজার ভেতরে এই এয়ারড্রপগুলোকে কেউ বাস্তব সমাধান বা মানবিক উদ্যোগ মনে করেন না।আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলার ধারণাটি এসেছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কাছ থেকে। তিনি বিশ্বের দেশগুলোকে এই প্রক্রিয়ায় গাজায় ত্রাণ দেওয়ার আহ্বান জানান। অনেক দেশ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কিছু ইউরোপীয় দেশ এই ত্রাণকাজে যোগও দিয়েছে।
কিন্তু নেতানিয়াহু খুব ভালো করেই জানেন, আকাশ থেকে ফেলা ত্রাণ ফিলিস্তিনিদের না খেয়ে থাকা অবস্থার পরিবর্তন করতে পারবে না। এ কারণেই তিনি গাজার স্থলপথের ক্রসিং খুলে না দিয়ে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে নিয়মিত ও ন্যায়সংগতভাবে সাহায্য বিতরণের জন্য আকাশপথ বেছে নিতে বলেছেন।
বিশ্বের সাধারণ মানুষ হয়তো মনে করতে পারেন, এভাবে আকাশ থেকে খাবার ফেলে ফিলিস্তিনিদের ক্ষুধা মেটাতে কিছু করা হচ্ছে, কিন্তু গাজার ভেতরে এই এয়ারড্রপগুলোকে কেউ বাস্তব সমাধান বা মানবিক উদ্যোগ মনে করেন না।
আরও পড়ুনইসরায়েল কেন গাজায় অস্ত্রধারী গুন্ডা পোষে ১১ জুন ২০২৫আমরা এগুলোকে কেবল একটি প্রচারণা হিসেবেই দেখি। আসলে এটি ইসরায়েলের চলমান অপরাধকে আড়াল করার একটা উপায়। এখানে হাজারো ট্রাককে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে আর ক্যামেরার সামনে কয়েকটি বাক্স আকাশ থেকে ফেলা হচ্ছে। এটি আসলে ক্ষুধা দীর্ঘায়িত করার কৌশল এবং একই সঙ্গে ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ কমানোর উপায়।
এভাবেই দুর্ভিক্ষ দ্রুত প্রকট হচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সেখানে ক্ষুধায় মারা গেছেন ১৮০ জনের বেশি মানুষ, তাঁদের মধ্যে ৯২টি শিশুও রয়েছে।
শুধু গাজায় নয়, অন্য স্থানেও এয়ারড্রপকে অকার্যকর ও বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে আকাশ থেকে ত্রাণের প্যাকেটের আদলে ক্লাস্টার বোমা ফেলা হয়েছিল। শিশুরা খাবার ভেবে দৌড়ে গিয়ে সেগুলো হাতে নিতেই বিস্ফোরণে মারা গিয়েছিল। সিরিয়াতেও অবরুদ্ধ এলাকায় আকাশ থেকে ফেলা ত্রাণ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল বা আইএসের দখলে থাকা এলাকায় পড়েছিল। ফলে ক্ষুধার্ত মানুষেরা কিছুই পাননি।
আরও পড়ুনইসরায়েল এখনো বুঝতে পারছে না, তারা যুদ্ধে হেরে গেছে১৯ মে ২০২৫‘প্যারাস্যুট দিয়ে মানবতা’ আসলে একটি অজুহাত। এটি দিয়ে বিশ্ব তার লজ্জা ঢাকার চেষ্টা করছে এবং ক্ষুধায় মৃত্যুকে চুপচাপ দেখে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে আড়াল করছে। যাঁরা চুপ করে থাকছেন, যাঁরা এই হত্যাযজ্ঞকে সমর্থন করার মতো করে কথা বলছেন, যাঁরা হত্যাকারী আর ভিকটিমকে একইভাবে দেখছেন, তাঁরা সবাই এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত।
মোহাম্মদ আল তাবান গাজার একজন ফিলিস্তিনি লেখক ও স্বেচ্ছাসেবক
আল–জাজিরা থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে সংক্ষিপ্ত আকারে অনূদিত
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল র
এছাড়াও পড়ুন:
টাইমড আউট: বছর পেরিয়ে দিনটি ফিরে আসে…
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ‘টাইমড আউট’ হয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। ক্রিকেট অভিধানে এই আউট ছিল লম্বা সময়। কিন্তু ব্যবহার করেননি কেউ।
২০২৩ সালের আজকের দিন, অর্থ্যাৎ ৬ নভেম্বর দিল্লিতে বাংলাদেশ টাইমড আউট করেছিল ম্যাথুজকে। সেটি ছিল ওয়ানডে ক্রিকেটের ৪ হাজার ৬৯৫তম ম্যাচ। এর আগে কখনো টাইমড আউট ব্যবহার করেননি কোনো দল। বিশ্বকাপের মঞ্চে দিল্লিতে যে আউট নিয়েছিলেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। এরপর তো গোটা ক্রিকেট দুনিয়া তোলপাড় হয়েই গেল।
নিরুত্তাপ ম্যাচে উত্তাপ ছড়ায় শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক ম্যাথুজের আউটকে কেন্দ্র করে। কোনো বল না খেলেই টাইমড আউট হয়েছেন তিনি। সাকিবের বলে সামারাবিক্রমা ৩টা ৪৯ মিনিটে আউট হয়েছিলেন। পরের ২ মিনিটে নতুন ব্যাটসম্যান ম্যাথুজকে পরের বল খেলতে হতো। কিন্তু হেলমেটের উটকো ঝামেলায় খেলতে পারেননি ম্যাথুজ। বাংলাদেশ সেই সুযোগটি নিয়ে ম্যাথুজের আউটের আবেদন করেন। তাতেই মেলে সাফল্য।
নিয়মের মধ্যে থাকায় সাকিবের আউটের সিদ্ধান্তের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন অনেকে। আবার ক্রিকেটীয় চেতনার কথা চিন্তা করে সাকিবের সিদ্ধান্তের বিপক্ষেও লোকের অভাব ছিল না।
সেদিন যা হয়েছিল…
দিল্লির অরুণ জেটলি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ৩৮তম ম্যাচ চলছিল বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার। সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়া দুই দল কেবল লড়ছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির টিকিট নিশ্চিতে। ম্যাচে কোনো বল না খেলেই টাইমড আউট হয়েছেন ম্যাথুজ।
সাকিবের বলে সামারাবিক্রমা ৩টা ৪৯ মিনিটে আউট হয়েছিলেন। পরের ২ মিনিটে নতুন ব্যাটসম্যান ম্যাথুজকে পরের বল খেলতে হতো। কিন্তু হেলমেটের উটকো ঝামেলায় খেলতে পারেননি। বাংলাদেশ সেই সুযোগটি নিয়ে ম্যাথুজের আউটের আবেদন করেন। তাতেই মেলে সাফল্য।
ক্রিকেটীয় আইনে আম্পায়াররা ম্যাথুজকে আউট দিলেও, বাংলাদেশের আবেদন এবং আম্পায়ারের ভূমিকা নিয়ে প্রবল সমালোচনা হচ্ছে। কেননা ম্যাথুজ সময় মতোই ক্রিজে পৌঁছে গিয়েছিলেন। ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুতও ছিলেন। ক্রিজে প্রণাম করে বল খেলার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু মাথার হেলমেট ঠিক করতে গিয়ে স্ট্রিপে টান দিলে তা ছিঁড়ে যায়। ম্যাথুজ নতুন হেলমেট আনার জন্য ড্রেসিংরুমে ইঙ্গিত করেন।
বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব সময় নষ্টের জন্য ম্যাথুজের আউটের আবেদন করেন। পাশেই ছিলেন সহ-অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শুরুতে আম্পায়ার ইরাসমাসের সঙ্গে সাকিবের আলোচনা দেখে মনে হচ্ছিল, টাইমড আউট নিয়ে দুজন কেবল কথা বলছেন। কিন্তু সাকিবের সিরিয়াস আবেদনে ইরাসমাস সঙ্গে থাকা আরেক আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওয়ার্থের সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে যান। এ সময়ে বলও দিয়ে দেন আম্পায়ারকে।
তাতেই বোঝা যাচ্ছিল, ম্যাথুজের আউট নিয়ে বাংলাদেশ সিরিয়াস। নতুন হেলমেট নিয়ে ম্যাথুজ ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুত হলেও আম্পায়ার তাকে আউটের সিদ্ধান্ত জানান। তখন ম্যাথুজ বাংলাদেশের অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে যান। নিজের প্রতিক্রিয়াও দেখান। কিন্তু সাকিব হাসি দিয়ে তাকে ক্রিকেটের নিয়মের কথা মনে করিয়ে দেন। তাদের আলোচনায় বোঝা যাচ্ছিল, হেলমেটের স্ট্রিপ ছিঁড়ে যাওয়ার দুর্ঘটনার কথাই বলা হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ নিজেদের আবেদনে ছিল স্থির। ক্রিকেটের নিয়মে এই আউট থাকায় ম্যাথুজ টাইমড আউট হন।
টাইমড আউট নিয়ে এমসিসি’র আইন
‘‘উইকেটের পতন বা একজন ব্যাটসম্যান রিটায়ার্ড হওয়ার পর, নতুন ব্যাটসম্যানকে, সময় না বলা পর্যন্ত, বল খেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। বা অন্য ব্যাটসম্যানকে আউট হওয়ার ২ মিনিটের মধ্যে পরবর্তী বল গ্রহণের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এই প্রয়োজনীয়তা পূরণ না হলে, নতুন ব্যাটসম্যান আউট হবেন, টাইমড আউট।’’
ম্যাথুজের কড়া সমালোচনা…
‘‘আজকের (গতকাল) দিন পর্যন্ত তার (সাকিব) ও বাংলাদেশ দলের জন্য আমার সর্বোচ্চ সম্মানটাই ছিল। আমরা সবাই জেতার জন্যই খেলি এবং সেটা নিয়মের ভেতরে থেকেই জেতার চেষ্টা করি। কিন্তু আজ (গতকাল) আমার ঘটনায় নিয়মই বলছে, আমি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই (ক্রিজে) ছিলাম। আমাদের কাছে ভিডিও আছে। আমরা এ নিয়ে পরে বিবৃতি দেব। ভিডিও থেকে ফুটেজের প্রমাণও আছে। আমি এখানে শুধু কথার কথা বলছি না, প্রমাণ নিয়েই বলছি।’’
‘আমি ভুল কিছু করিনি। নিজেকে তৈরি করে ক্রিজে যাওয়ার জন্য আমার হাতে ২ মিনিট সময় ছিল এবং সেটা আমি করেছি। আমার (হেলমেট) সরঞ্জামে সমস্যা হয়েছিল। আমি জানি না কাণ্ডজ্ঞান কোথায় হারাল। অবশ্যই সাকিব ও বাংলাদেশের জন্য এটা লজ্জাজনক। যদি ওরা এভাবেই খেলতে চায় এবং এত নিচে নামে, আমার মনে হয় ওদের কোথাও একটা বড়সড় ঝামেলা আছে।’
‘‘হেলমেটটা ভেঙে যাওয়ার পরও হাতে ৫ সেকেণ্ডের মতো সময় ছিল। আমি বোঝাতে চাইছি, আমি শুধু হেলমেটটা পাল্টাতে চাইছিলাম। তাই এটা একদমই কাণ্ডজ্ঞানের (কমন সেন্স) ব্যাপার। আমি মানকাডিং কিংবা অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড নিয়ে কথা বলছি না। এটা একদমই কাণ্ডজ্ঞানের ব্যাপার, যেটার অনুপস্থিতি খেলাটায় অসম্মান বয়ে এনেছে। এটা ভীষণ লজ্জার।’’
সাকিব কী জবাব দিয়েছিলেন?
‘‘আমার মনে হয়েছে আমি যুদ্ধে ছিলাম, আমার যেটাই করার দরকার ছিল, সেটা করেছি। কোনো দুঃখ প্রকাশ নেই। আইসিসির উচিত আইনটা দেখা এবং নিয়ম পরিবর্তন করা (যদি ক্রিকেটের স্পিরিট ভঙ্গ হয়)।’’
‘‘অ্যাঞ্জেলোকে আমি লম্বা সময় ধরে চিনি সেই ২০০৬ থেকে। দূর্ভাগ্যজনক। কিন্তু আইনেই এটা আছে। আমি সতর্ক থাকবো যেন এটা আমার সঙ্গে না হয়।’’
‘‘আমরা দুজন দুজনের সঙ্গে ২০০৬ সাল থেকে খেলছি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও প্রচুর খেলেছি। আমি তাকে খুব ভালোভাবে চিনি। সেও আমাকে খুব ভালোভাবে চেনে। সে আমাকে এসে জিজ্ঞেস করেছিল, আমি আবেদন তুলে নেব কিনা? আমি জানিয়েছি, ‘‘আমি তোমার পরিস্থিতি বুঝতে পারছি। এটা আনফরচুনেট। কিন্তু আমি চাই না।’’
কে পক্ষে ছিলেন, কে বিপক্ষে?
ওয়াসিম আকরাম বলেছিলেন, ‘‘এ নিয়ে হয়তো বিতর্ক চলতেই থাকবে। (টাইমড আউটের) সময় পার হয়ে গেছে কি যায়নি, এর সঠিক উত্তরও হয়তো পাওয়া যাবে না। কিন্তু আসল প্রশ্ন হলো সাকিবের এই আবেদন কি তুলে নেওয়া উচিত ছিল নাকি সাকিবের আবেদন করাই ঠিক হয়নি? আমি অধিনায়ক হলে আমার মাথায় এ ধরনের চিন্তা আসতই না।’’
হার্শা ভোগলে বলেছিলেন, ‘‘ক্রিকেটীয় চেতনার বিষয়টি ছেড়ে দিন। এটি একটি দুর্বল যুক্তি। যারা অজ্ঞ বা ভুল করে, তারা প্রায়ই এই যুক্তি তুলে ধরে। আইন আছে মানে, আপনি আইনের মধ্যে থেকেই খেলছেন। ম্যাথুজ ও শ্রীলঙ্কার সমর্থকেরা হতাশ কিংবা ক্ষুব্ধ হতে পারেন। কিন্তু খেলার নিয়ম অনুযায়ী তিনি আউট ছিলেন।’’
মার্ক ওয়াহ বলেছিলেন, ‘‘ক্রিকেটের আইন ও চেতনা ভুলে যান। একজন ন্যায্য মনের ক্রিকেটার কীভাবে এই আউটের জন্য আবেদন করার কথা ভাবতে পারেন, আউটটি তো পরের ব্যাপার।’’
ওয়াকার ইউনিস বলেছিলেন, ‘‘এটা ক্রিকেটের জন্য ভালো কিছু নয়। এটা ক্রিকেটীয় চেতনার পরিপন্থী।’’
ডেল স্টেইন, ‘‘এটা ভালো কিছু হলো না।’’
ঢাকা/ইয়াসিন