প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতিল চেয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করীম। তিনি বলেন, কোনো অবস্থাতেই গানের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া যাবে না।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, ‘যদি বাংলাদেশের প্রাইমারি লেভেলে গানের শিক্ষক নিয়োগের দুঃসাহস দেখান, তাহলে বাংলাদেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে আপনাকে জবাব দেবে।’

আজ জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিল-পূর্ব সমাবেশে এ হুঁশিয়ারি দেন ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা। দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বাধ্যতামূলক ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি এবং গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ।

প্রধান উপদেষ্টার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, ‘আজকে বায়তুল মোকাররমে যে মানুষগুলো নামাজ পড়েছেন, যদি আমরা এই মুসল্লিগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করি, তাহলে আপনি এক দিনও টিকতে পারবেন না।’

ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘আমরা দেখেছি, আপনি (প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস) নিরপেক্ষতা হারিয়ে ফেলেছেন। আন্দোলন করেছি আমরা, সংগ্রাম করেছি আমরা, ট্যাংকের সামনে ছিলাম আমরা; আর আপনি কাদের নিয়ে ঘোরাফেরা করেন? যারা স্পষ্ট বলেছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে আমরা সম্পৃক্ত নই, তাদের সঙ্গে?’

হাসিনার আদর্শ বাস্তবায়ন চলছে অভিযোগ করে সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, ‘আজকে প্রতিটি প্রাইমারি স্কুলে যেই গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, এটা তো আওয়ামী লীগের এজেন্ডা ছিল। আওয়ামী লীগ জারি করতে চেয়েছিল। আওয়ামী লীগ গানের শিক্ষক নিয়োগ দেবে (দিতে চেয়েছিল); কিন্তু মুসলমান এবং ওলামায়ে কেরামের আন্দোলনের কারণে দিতে পারেনি।’

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘আমি বারবার আপনাকে একটা কথা বলি, আপনাকে সুখে থাকতে ভূতে কিলায় কেন? আপনি ভালো আছেন; ভদ্র মানুষ, শিক্ষিত মানুষ। আমাদের দেশের গৌরব। আপনি ভারতের এজেন্ডা পালন করবেন কেন?’

সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, ‘প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ধর্মীয় শিক্ষার অর্থাৎ ইসলাম শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। যদি নিয়োগ দিতে না চান, তাহলে আমরা সরকারকে বলব, আপনাকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য বাধ্য করব।’

জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের ঢাকা মহানগরীর নেতা-কর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পরে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে মিছিল শুরু হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আপন ক ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ সফরে আসছে পাকিস্তান

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরপরই বড় লড়াইয়ে নামছে বাংলাদেশ। ২০২৬ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তান দল বাংলাদেশ সফরে আসছে। সফরে থাকছে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ এবং তিনটি ওয়ানডে। তবে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো- এই সিরিজে কোনো টি–টোয়েন্টি ম্যাচ থাকছে না। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।

আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে ফেব্রুয়ারি ৭ থেকে মার্চ ৮ পর্যন্ত। ভারত ও শ্রীলঙ্কা যৌথভাবে আয়োজন করবে টুর্নামেন্টটি। যেখানে অংশ নেবে মোট ২০টি দল।

আরো পড়ুন:

মিরপুরের উইকেটের পরিবর্তনে বড় সিদ্ধান্ত, সরানো হলো গামিনিকে

বিসিবি নির্বাচনে তিন সদস্যের কমিশন গঠন

প্রাথমিক সূচি অনুযায়ী, পাকিস্তান দল ঢাকায় পা রাখবে মার্চের ২৩ তারিখে। তিন দিন পর, অর্থাৎ ২৬ মার্চ শুরু হবে টেস্ট সিরিজ। মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম ও সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে দুইটি টেস্ট ম্যাচ। এরপর সিরিজের ওয়ানডে পর্বের জন্য চট্টগ্রামকে রাখা হয়েছে ভেন্যু হিসেবে। সেখানেই অনুষ্ঠিত হবে তিনটি ওয়ানডে।

এদিকে, চলমান এশিয়া কাপে সুপার ফোরে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। তার আগে টাইগারদের লড়াই রয়েছে ভারত ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ