‘ফ্রেগ্র্যান্স লেয়ারিং’ হচ্ছে স্তরে স্তরে সুগন্ধি লাগানো। তরুণ-তরুণীদের কাছে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এই ট্রেন্ড। আর স্তরে স্তরে সুগন্ধি লাগানো মানেই যে দুটি সুগন্ধি সরাসরি একটি আরেকটির ওপর স্প্রে করা, তা নয়। এটি গোসলের পর সুগন্ধি লোশন লাগানোর সাথে সাথেই শুরু হতে পারে। অথবা, আপনি একটি সুগন্ধি আপনার কব্জিতে এবং আরেকটি আপনার ঘাড়ে স্প্রে করতে পারেন। বিভিন্ন সংমিশ্রণ ব্যবহার করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে ভয় পাবেন না। সাধারণ নিয়ম হিসেবে, ভারী সুগন্ধি প্রথমে স্প্রে করা উচিত। 

ধাপে ধাপে শিখুন ‘ফ্রেগ্র্যান্স লেয়ারিং’

আরো পড়ুন:

বোনের জন্য ভাইয়ের দেওয়া উপহার ‘স্বর্ণমোড়ানো কোরআন’ 

ডোডো পাখিকে কী ফেরাতে পারবে বিজ্ঞানীরা?

এক.

সুগন্ধি লেয়ারিং শুরু হবে গোসলের সময় থেকে। পছন্দের সুগন্ধি বা বডি স্প্রে-র সুগন্ধের সঙ্গে মিল আছে, এমন বডি ওয়াশ বা সাবান ব্যবহার করতে হবে।

দুই. গোসলের পর ত্বক সামান্য ভিজে থাকা অবস্থায় এমন ময়েশ্চারাইজার ত্বকে মালিশ করুন, যার সুগন্ধও আপনার পছন্দের সুগন্ধির মতোই। ধরা যাক আপনার সুগন্ধি বা বডি স্প্রে-র ঘ্রাণ ফ্লোরাল, ওরিয়েন্টাল, সাইট্রাস অথবা ভ্যানিলা জাতীয়। তাহলে সুগন্ধির ঘ্রাণের সঙ্গে মিলিয়ে ময়েশ্চারাইজার বেছে নিতে পারেন। 

তিন. শরীরের নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় বড্রি স্প্রে করে নিন। যেমন কব্জি, ঘাড়, কনুইয়ের ভাঁজে, কানের পেছনে। বডি স্প্রে-তে সুগন্ধি তেলের ঘনত্ব কম থাকায় এটি হালকা হয়ে থাকে। দিনে একাধিক বার ব্যবহারে করলেও সমস্যা হয় না।

চার. সবশেষে ব্যবহার করতে হবে সুগন্ধি। শরীরের যে জায়গাগুলোতে বডি স্প্রে ব্যবহার করেছিলেন, সেখানেই পারফিউম স্প্রে করে নিন। সুগন্ধির ঘনত্ব বডি স্প্রে-র চেয়ে অনেক বেশি, তাই এর গন্ধ অনেক সময় থাকে। একই পালস পয়েন্টগুলোতে বডি স্প্রে ও সুগন্ধি স্প্রে করলে সেই গন্ধ অনেকক্ষণ টিকে থাকবে।

উল্লেখ্য, লেয়ারিং করলে খেয়াল রাখবেন, বডি স্প্রে বা সুগন্ধি, কোনওটিতেই যেন অ্যালকোহলের মাত্রা বেশি না থাকে। বেশি অ্যালকোহল যুক্ত সুগন্ধি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবহ র কর আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে ইউরোপের আরেকটি দেশ

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপের দেশ পর্তুগাল। পর্তুগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আগামীকাল রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। খবর আল-জাজিরার।

মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, জাতিসংঘের আসন্ন উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনের আগেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। চলতি সপ্তাহে যুক্তরাজ্য সফরের সময় পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো র‍্যাঙ্গেল বিষয়টি নিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

এর আগে, গত বছরের মে মাসে প্রতিবেশী স্পেনের বামপন্থি সরকারের পাশাপাশি আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। একই সঙ্গে স্পেন অন্যান্য ইইউ দেশগুলোকে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান জানায়। তবে সেই সময় পর্তুগাল সতর্ক অবস্থান নেয়।

আরো পড়ুন:

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য

গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬৫ হাজার ছাড়াল

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ সদস্যদেশের মধ্যে এখনও অল্প কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সুইডেন, সাইপ্রাস ও কিছু সাবেক কমিউনিস্ট রাষ্ট্র। ফলে পর্তুগালের সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনের প্রতি ইউরোপের অবস্থানকে আরো স্পষ্ট করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

একই সঙ্গে আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যে দেশগুলো ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পরিকল্পনা করেছে, সেগুলোর মধ্যে ফ্রান্স যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গের নাম রয়েছে।
 

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ