ন্যাটোর সদস্য এস্তোনিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে রাশিয়া
Published: 20th, September 2025 GMT
রাশিয়ার যুদ্ধবিমান ন্যাটোর সদস্যদেশ এস্তোনিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করেনি। সেগুলো বাল্টিক সাগরে আন্তর্জাতিক জলসীমার ওপর দিয়ে রাশিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে কালিনিনগ্রাদে গেছে।
আজ শনিবার ভোরে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ দাবি করা হয়েছে। বাল্টিক সাগর উপকূলবর্তী কালিনিনগ্রাদ রুশ ভূখণ্ড।
এস্তোনিয়া সরকারের দাবি, তিনটি রুশ যুদ্ধবিমান ১২ মিনিট ধরে তাদের আকাশে অবস্থান করেছে, যা আকাশসীমার স্পষ্ট লঙ্ঘন। এটিকে তারা ‘নজিরবিহীন বেপরোয়া’ অনুপ্রবেশ বলে বর্ণনা করেছে।
আরও পড়ুনরাশিয়ার তিনটি মিগ-৩১ রুখে দেওয়ার দাবি ন্যাটোর৯ ঘণ্টা আগেএমন এক সময়ে এ ঘটনা ঘটল, যখন কয়েক দিন আগে ২০টির বেশি রুশ ড্রোন পোল্যান্ডের আকাশসীমায় প্রবেশ করে। ন্যাটোর যুদ্ধবিমান সেগুলোর কয়েকটি ভূপাতিত করেছে।
এমন এক সময়ে এ ঘটনা ঘটল, যখন মাত্র কয়েক দিন আগে ২০টির বেশি রুশ ড্রোন পোল্যান্ডের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল। ন্যাটোর যুদ্ধবিমান সেগুলোর কয়েকটি ভূপাতিত করেছে।সর্বশেষ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে বলা হয়, তাদের যুদ্ধবিমানগুলো আন্তর্জাতিক আকাশসীমা–সংক্রান্ত নিয়ম কঠোরভাবে অনুসরণ করে উড়াল সম্পন্ন করেছে। একটি স্বাধীন তদন্তের মধ্যমে তারা নিশ্চিত হয়েছে যে সেগুলো অন্য কোনো রাষ্ট্রের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেনি।
পোস্টে আরও বলা হয়, ‘রুশ যুদ্ধবিমানগুলো উড়ে যাওয়ার সময় নির্ধারিত আকাশপথ থেকে বিচ্যুত হয়নি এবং এস্তোনিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করেনি।’
আরও পড়ুনপ্রথমবারের মতো রাশিয়ার ড্রোন ভূপাতিত করল পোল্যান্ড, ন্যাটো সদস্যদেশগুলোর হুঁশিয়ারি১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫রাশিয়ার তিনটি মিগ-৩১ যুদ্ধবিমান গতকাল শুক্রবার এস্তোনিয়ার আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করে বলে দাবি পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর। ন্যাটো বলেছে, ফিনল্যান্ড উপসাগরের ওপর এস্তোনিয়ার আকাশে সেগুলো মোট ১২ মিনিট ছিল। অনুপ্রবেশের ঘটনার পর তারা সেগুলো রুখে দিয়েছে।
রুশ যুদ্ধবিমানগুলো আন্তর্জাতিক আকাশসীমা–সংক্রান্ত নিয়ম কঠোরভাবে অনুসরণ করে উড়াল সম্পন্ন করেছে। একটি স্বাধীন তদন্তের মধ্যমে তারা নিশ্চিত হয়েছে যে সেগুলো অন্য কোনো রাষ্ট্রের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেনি।২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ন্যাটো ও মস্কোর মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। এরই মধ্যে গত সপ্তাহে ন্যাটোর আরও দুই সদস্য—পোল্যান্ড ও রোমানিয়া তাদের আকাশে রাশিয়ার ড্রোন অনুপ্রবেশের দাবি করেছে।
আরও পড়ুনপোল্যান্ডে রাশিয়ার ড্রোনের অনুপ্রবেশ নিয়ে ট্রাম্প-টাস্ক কথার লড়াই১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ২ হাজার ৬৬১ কোটি টাকা
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (১৪ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। একই সঙ্গে উভয় পুঁজিবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ৬৬১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৩.৮৫ পয়েন্ট বা ১.৩৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৪৯ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৪৩.৯৪ পয়েন্ট বা ২.০৪ শতাংশ কমে ২ হাজার ১০৭ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৮.১১ পয়েন্ট বা ১.৫১ শতাংশ কমে ১ হাজার ১৭৮ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ৪৬.১০ পয়েন্ট বা ৪.৯৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭৪ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৪ হাজার ৪৬৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ২৪ হাজার ৬১৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১৪৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৫০৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫ হাজার ৭৪৮ কোটি ৩১ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ২ হাজার ২৪২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৮টির, দর কমেছে ৩০৬টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির। তবে লেনদেন হয়নি ১৬টির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৮১.২৬ পয়েন্ট বা ১.১৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৩৩৭ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ১.৬৫ শতাংশ কমে ১৩ হাজার ৪০৯ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ১.১৪ শতাংশ কমে ৯ হাজার ৪১৯ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৮৪ শতাংশ কমে ৯৭১ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ৪.৬৮ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮৭৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৬ হাজার ২৮১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ২৮ হাজার ৭৯৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ৫১৬ কোটি ৭ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৬৭ কোটি ৫ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৯২ কোটি ২৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ২৫ কোটি ২১ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩১২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৯টির, দর কমেছে ১৯৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির শেয়ার ও ইউনিট দর।
ঢাকা/এনটি/এস