‘আলোচনা চলমান অবস্থায় আন্দোলন স্ববিরোধী’
Published: 20th, September 2025 GMT
‘‘আলোচনার মধ্যে আপনারা রাস্তায় নামলেন। আলোচনা চলমান থাকা অবস্থায় মাঠে আন্দোলন করা স্ববিরোধী। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিয়েই তো আমরা আলোচনা করছি। আমরা আলোচনায় সমাধান চাই।’’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানী কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘তারুণ্যের রাষ্টচিন্তার তৃতীয় সংলাপ-মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গন’ বিষয়ক এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন। অপর্ণ আলোক সংঘ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
পিআর পদ্ধতি নিয়ে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘‘ঐকমত্য কমিশনে যদি ঐক্যমত পোষণ না হয় তাহলে যেভাবে প্রচলিত বিধিবিধানসম্মত হবে সেভাবেই হবে। এখানে যেন আমরা পরস্পর জবরদস্তি না করি। যে পরিবর্তনগুলো আমরা সামনের দিনে আনতে চাচ্ছি সেটা রাতারাতি হবে না। এ জন্য সময় দরকার, পর্যায়ক্রমভাবে যাওয়া দরকার। একটা গণতন্ত্রবিহীন অবস্থা থেকে আমরা যে জায়গায় আসতে পেরেছি, ইনশাআল্লাহ এই গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির চর্চার মধ্য দিয়ে আমরা একটা শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে বিনির্মাণ, শহীদের প্রত্যাশা পূরণ, জনপ্রত্যাশা পূরণ করতে পারবো। আমাদের যে আকাঙ্ক্ষা আছে একটা বৈষম্যহীন, সাম্যভিত্তিক ন্যায়বিচারভিত্তিক রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠার সেই আকাঙ্ক্ষা আমরা পূরণ করতে পারবো।’’
দেশবাসী ও সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আসুন, আমরা কোনো সংকট সৃষ্টি না করি। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকি। আমাদের ফ্যাসিস্টবিরোধী যে জাতীয় ঐক্য গঠিত হয়েছে, সেটাকে আমরা সমুন্নত রাখবো এবং এটাকেই শক্তিতে পরিণত করে, ইনশাআল্লাহ।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘‘অনেকে বলছে, এই সরকার পুরোপুরি সাংবিধানিকও না, আবার বলছে এটা পুরাপুরি বিপ্লবী সরকারও না, বলছে এটা মাঝামাঝি সরকার। আমি বললাম এটা নির্ধারণ হওয়া দরকার, এক বছর পরে এসে তারা কেন এ প্রশ্ন তুলছে? তার পিছনে একটা উদ্দেশ্য থাকতে পারে। এ ধরনের প্রশ্নের মধ্য দিয়ে সাংবিধানিক সংকট যদি সৃষ্টি হয়, তাহলে বেনিফিশিয়ারি কে হবে? কোন অসাংবিধানিক শক্তি? বেনিফিশিয়ারি হবে পতিত স্বৈরাচার।’’
‘‘নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে আমরা রাষ্ট্রকে সেই জায়গায় নিয়ে যাচ্ছি কেন? এই প্রশ্নগুলো তুলে এই সংবিধানকে, এই সরকারকে, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার সরকার কি না সেই প্রশ্ন যদি আজকে উত্থাপন করা হয়, তাহলে তাদের মতলব আলাদা,’’ বলেন দলটির এই শীর্ষ পর্যায়ের নেতা।
এতো কনফিডেন্স থাকলে নির্বাচনে আসেন না কেন?
জামায়াত নেতাদের ইঙ্গিত করে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘‘পত্রিকায় দেখলাম, আপনাদের এক নেতা বললেন, কে সরকারি দল হবে, কে বিরোধী দল? তাহলে এটা আপনারা নিজেরা ঠিক করে নিয়েছেন, নাকি জনগণ ঠিক করবে? এতো কনফিডেন্স থাকলে নির্বাচনে আসেন না কেন? নানা বাহানায় নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছেন কেন? উদ্দেশ্যটা কি সেটা তো আমরা জানি।’’
সরকারে ছাত্র প্রতিনিধি যাওয়া ঠিক হয়নি জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘ছাত্র প্রতিনিধি সরকারের দায়িত্বে আসাটা আমার মনে হয় এটি সঠিক বিবেচনার সিদ্ধান্ত হয়নি। আজকে প্রেশার গ্রুপ হিসেবে, জাতির নির্দেশক হিসেবে তারা থাকতে পারতো। যেটা প্রশ্ন- এখনও ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে যারা সরকারে বসে আছে, প্রতিদিনই তাদের লাইবিলিটি (দায়) নিতে হচ্ছে, নিতে হবে। গণতান্ত্রিক চর্চায় পৃথিবীতে একইসাথে কেউ সরকারি দল ও বিরোধী দলে থাকতে পারে না। যেদিন ছাত্র প্রতিনিধিরা সরকারে গেলো, সেদিন আমি বুঝে গেলাম এরা রাষ্ট্র নির্মাণে আর ভূমিকা রাখতে পারবে না।’’
‘‘আমি তাদের সরকার থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানালে তো হবে না, তাগিদ তাদের অনুভব করতে হবে,’’ বলেন তিনি।
জাতীয় পার্টির নেত্রী রওশন এরশাদের মন্তব্য তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রওশন এরশাদ বলেছিলেন, মাননীয় স্পিকার আপনি বলে দেন, আমি সরকারি দল না বিরোধী দল? এ রকম কোন চর্চা যেন আমরা ভবিষ্যতে না করি।’’
ঢাকা/নঈমুদ্দীন//
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
শহিদনগর বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদ সংলগ্ন মাঠে বাবুলের উঠান বৈঠক
সোমবার বিকাল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ শহিদনগর বায়তুল জান্নাত জামেমসজিদ (প্রাথমিক বিদ্যালয়) সংলগ্ন মাঠে নারায়ণগঞ্জ–৫ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও বিশিষ্ট শিল্পপতি সমাজসেবক আবু জাফর আহমেদ বাবুল এর পক্ষে শহিদনগর এলাকাবাসী এক উঠান বৈঠকের আয়োজন করে।
গোগনগর সমাজ কল্যাণ পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আমজাদুল ইসলাম'র সঞ্চালনায় ও শহিদনগর বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদের সহ- সভাপতি সুলতান আহমদ'র সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ–৫ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী শিল্পপতি আবু জাফর আহমেদ বাবুল।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আপনারা যদি বিএনপির ধানের শীষকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে পারেন, তাহলে শুধু শহীদনগর নয় পুরো নারায়ণগঞ্জে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যাবে, পরিবর্তন হবে নারায়ণগঞ্জে। আমাদের যে প্রত্যাশা, যে চাহিদা তা ছিনিয়ে নিয়ে আসবো।
দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষেই আমি কাজ করবো। মিলেমিশে কাজ করার চেষ্টা করবো। আপনারা সকলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্য, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ তার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন, তারেক রহমানের জন্য দোয়া করবেন।
তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ হল জিয়া ফোরামের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কে এম মজিবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক আক্তার হোসেন খোকন শাহ, মো. কবির হোসেন, মো. হৃদয়, জাহাঙ্গীর আলম, তোফাজ্জল হোসেন, সুলতান আহমদ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, শহীদ নগর এলাকা সব সময়ই বিএনপির ঘাঁটি। এখানে সব সময়ই ধানের শীষ প্রতীক জয়লাভ করে থাকে। আমরা বাবুল ভাইয়ের পক্ষে থেকে সবসময় ধানের শীষের পক্ষে কাজ করে যাব।