‎রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানে  ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার এক আসামিকে।

ওই আসামি হলেন, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক মো.মনিরুল ইসলাম।

আরো পড়ুন:

মাদারীপুরে রাকিব হত্যা মামলার ২ আসামি গ্রেপ্তার

কুমিল্লায় চার মাজারে হামলা, ২২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

জানা যায়, বর্তমান প্রক্টর এবং ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ড.

ফেরদৌস রহমানের বিশেষ সুপারিশে জুলাই মামলার ওই আসামিকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

‎এজহারের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জুলাই আন্দোলনে রংপুর শহরে আহত মো. শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ ১৪০ জনের নাম উল্লেখ করে রংপুর শহরের কোতায়ালী থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

‎মামলার নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ১৩৩ নাম্বার আসামি হিসেবে নতুন নিয়োগ পাওয়া সহকারী প্রক্টর ও ইইই বিভাগের শিক্ষক মনিরুল ইসলামের নাম রয়েছে।

‎মামলার এজহারে শহিদুল উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই রংপুর শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ৮০০ থেকে ১০০০ ছাত্র-জনতা বেলা ৩টার দিকে রংপুর শহরের টাউন হলের মোড়ে পৌঁছালে সেখানে উল্লেখিত আসামিরা ছাত্র জনতার উপর হামলা চালালে শহিদুল মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজে ১০ দিন চিকিৎসা দেওয়ার পর তিনি সুস্থ হন।

‎এ বিষয়ে ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক মনিরুল ইসলামকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

‎জুলাই মামলার আসামিকে কেন সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব দেয়া হলো এমন প্রশ্নের জবাবে রেজিস্ট্রার ড.হারুন অর রশীদ বলেন, “প্রক্টরই তার সহকারী প্রক্টর পছন্দ করেন। তিনি এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।”

তবে প্রক্টর ফেরদৌস রহমান বলেন, “এটা একটা ভুয়া মামলা। মামলার বাদী বলেছে এরা জড়িত না। বাদি এফিডেভিট করে দিয়েছে। এজন্য আমরা তাকে রেখেছি।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ল ই গণঅভ য ত থ ন আস ম র প র শহর সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

মাসদাইরে মশক নিধনে বিএনপি নেতারা

ফতুল্লার পশ্চিম মাসদাইর এলাকায় মশক নিধনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেখা না গেলেও বিএনপি নেতারা মাঠে নেমেছেন। সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত এলাকার বিভিন্ন স্থানে ফগার মেশিন দিয়ে মশা মারার ওষধ দেয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বাররা থাকলেও তারা মশক নিধনে কোন রকম ভূমিকা রাখেনি। এতে করে মশার উৎপাত যেমন বেড়েছে তেমনি ঘরে ঘরে জ¦র, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। 

ইতিমধ্যে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বেশ কয়েকজন। গতকাল মশক নিধনে বিএনপি নেতারা এগিয়ে আসায় স্থানীয়রা তাদের সাধুবাদ জানিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা থেকে মশক নিধন কর্মসূচী শুরু হয়। 

বেশ রাত পর্যন্ত এলাকার প্রধান সড়ক, শাখা রাস্তা, বিভিন্ন বাড়ির রাস্তা-গলি, জলাশয়ে ওষধ দেয়া হয়। 

এ সময়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা মহিলা দলের সহ সভাপতি রোজিনা মেম্বার, এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এডভোকেট মাহমুদুল হক আলমগীর, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব ইয়াসিন আরাফাত সহ অনেকে ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ