শারদীয় দুর্গোৎসবের সময় টানা ছুটি থাকছে এবার। দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ টানা চার দিন বন্ধ থাকবে অফিস–আদালত। লম্বা এই ছুটিতে যাত্রীর চাপ সামাল দিতে ঢাকা–কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম–ঢাকা রুটে বিশেষ ট্রেন চালু করছে রেলওয়ে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত এসব ট্রেন চলবে। এর মধ্যে ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম থেকে ‘ঢাকা স্পেশাল’ চলবে। চট্টগ্রাম থেকে বেলা পৌনে ৩টায় এই ট্রেন ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছবে রাত ৮টায়। ৪ অক্টোবর চট্টগ্রাম স্পেশাল ঢাকা থেকে ছাড়বে রাত সাড়ে ১০টায়।

এ ছাড়া ট্যুরিস্ট স্পেশাল চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর। বিশেষ এই ট্রেন ৩০ সেপ্টেস্বর ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে ছাড়বে রাত সাড়ে ১০টায়। কক্সবাজার পৌঁছাবে সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে। কক্সবাজার থেকে এই ট্রেন ছাড়বে বেলা সাড়ে ১১টায়। ৪ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিদিন এই ট্রেন চলাচল করবে।

রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি বিশেষ ট্রেনে ১৮টি বগি থাকবে। দিনে আসন থাকবে ৮৩৪টি এবং রাতের বেলায় ৭৮৯টি। ভাড়া নিয়মিত ট্রেনের মতো।

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্ম সফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা চার দিনের ছুটি থাকবে। লম্বা ছুটিতে পর্যটন শহর কক্সবাজারে পর্যটকদের চাপ বেড়ে যায়। কক্সবাজারে যাওয়ার ক্ষেত্রে পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ট্রেন। তাই যাত্রীর চাপ সামাল দিতে বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়েছে। এসব ট্রেনে নিয়মিত আন্তনগর ট্রেনের মতো সব ধরনের সুযোগ–সুবিধা থাকবে। যাত্রীরা নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারবেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এই ট র ন ৩০ স প ট র লওয়

এছাড়াও পড়ুন:

রাতারগুলের বর্ণনা দিয়ে, গজল গেয়ে পর্যটক টানেন সিফত মাঝি

‘একটু পরই আমরা ঢুকে যাব রাতারগুল জলাবনে। আপনারা পানিতে ভাসতে ভাসতে দেখতে পাবেন গাছগাছালির অপূর্ব সৌন্দর্য। ভাগ্য ভালো থাকলে পাখির ওড়াউড়ি আর মাছের লাফালাফিও দেখতে পাবেন।’ ভরাট কণ্ঠে একনাগাড়ে প্রতিদিন পর্যটকদের উদ্দেশে এভাবে বলতে থাকেন মাঝি মো. সিফত উল্লাহ।

মিঠাপানির জলাবন রাতারগুলে পর্যটকদের আনা-নেওয়া করেন সিফত উল্লাহ। এখানকার আরও অনেক মাঝির মতোই পঞ্চাশ পেরোনো সিফত নৌকায় করে পর্যটকদের বনের ভেতরে নিয়ে যান আর চারপাশ ঘুরিয়ে দেখান। আর এ সময়েই তাঁর ভরাট কণ্ঠের এ বার্তা শুনতে পান পর্যটকেরা। পানিতে ভাসতে থাকা হিজল, করচ আর মূর্তাগাছের সবুজ স্নিগ্ধতার সঙ্গে তিনি পর্যটকদের পরিচয় করিয়ে দেন। ফাঁকে ফাঁকে গজলও গেয়ে শোনান।

রাতারগুল বন ভ্রমণপিপাসুদের হাতছানি দেয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্ধ হচ্ছে লাইফগার্ড সেবা, সাগরে গোসলে নামা পর্যটকদের কী হবে
  • রাতারগুলের বর্ণনা দিয়ে, গজল গেয়ে পর্যটক টানেন সিফত মাঝি