Prothomalo:
2025-09-20@15:39:53 GMT

ওজন কমাতে কোন শর্করা ভালো

Published: 20th, September 2025 GMT

কিসে আছে শর্করা

শুধু চাল, আটা, চিনি, মুড়ি বা আলুতেই নয়, প্রাকৃতিকভাবে আরও বহু খাবার বা খাদ্য উপকরণে শর্করা থাকে। এই তালিকায় আছে বিভিন্ন শস্যদানা, ফলমূল ও সবজিও। প্রক্রিয়াজাত বহু খাবারেও থাকে শর্করা। সোডা বা কোমল পানীয়, চিপস, পিৎজা, পাস্তা, নুডলস, পাউরুটি, কেক, পেস্ট্রি, বিস্কুট, কুকি, ক্যান্ডি, চকলেট, মিষ্টি, মিষ্টি দই প্রভৃতি খাবারে প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকে।

খারাপ শর্করা

প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং পানীয় থেকে পাওয়া শর্করা আছে এই তালিকায়। সাদা চাল, সাদা আটা, ময়দা কিংবা চিনি দিয়ে তৈরি যেকোনো খাবার থেকেই আপনি পাবেন এই খারাপ শর্করা। এ ধরনের খাবারের শর্করা আমাদের রক্তের সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় হুট করে। এটা আদতে ক্ষতিকর। খারাপ শর্করা গ্রহণের ফলে দেহের বিভিন্ন স্থানে সহজে চর্বি জমা হয়।

আরও পড়ুনশবনম ফারিয়ার বিয়ের ১০টি ছবি৭ ঘণ্টা আগেভালো শর্করা

হোল গ্রেইন বা গোটা শস্যদানা, ফলমূল এবং সবজির শর্করা আমাদের জন্য ভালো। গোটা শস্যদানার মধ্যে আছে লাল চাল, লাল আটা, ওটস, কিনোয়া প্রভৃতি। ভালো শর্করা হুট করে রক্তের সুগার বাড়িয়ে দেয় না। ফলে শরীর থাকে সুস্থ। অনেকে কর্নফ্লেকস বা সিরিয়াল খান। এসব কেনার সময় খেয়াল করুন, গোটা শস্য দিয়ে তৈরি কি না।
এ ধরনের খাবার হজম হতে সময় লাগে বলে পেট ভরা থাকে লম্বা সময় পর্যন্ত। তাই যখন-তখন অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খাওয়ার প্রবল ইচ্ছাও জেগে ওঠে না। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।

আরও পড়ুনটানা এক সপ্তাহ পপকর্ন খেলে কী হয়, জানেন?১ ঘণ্টা আগেসরল ও জটিল দুই ধরনের শর্করাই আমাদের শরীরের জন্য দরকারি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইয়েমেনে সাংবাদিকের ওপর হামলা ছিল রেকর্ড করা দ্বিতীয় ভয়াবহ ঘটনা 

গত সপ্তাহে ইয়েমেনে সংবাদপত্র অফিসে ইসরায়েলি হামলায় ৩১ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মী নিহত হয়েছেন। কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) শুক্রবার এ ঘটনাকে গত ১৬ বছরের মধ্যে সাংবাদিকদের উপর সবচেয়ে মারাত্মক আক্রমণ বলে অভিহিত করেছে।

১০ সেপ্টেম্বর ইয়েমেনের রাজধানী সানায় একটি সংবাদপত্র কমপ্লেক্সে ইসরায়েল হামলা চালায়। সেখানে হুতির সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনটি সংবাদপত্র ছিল। প্রকাশনার প্রধান সম্পাদকের মতে, সেই সময় ইয়েমেনি সেনাবাহিনীর প্রেস শাখার সদস্যরা সাপ্তাহিক মুদ্রিত সংস্করণ শেষ করছিলেন। এর ফলে হামলার সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের সংখ্যা বেশি ছিল।

হুতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, হামলায় কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে একজন সাংবাদিকের সাথে অফিসে আসা এক শিশুও ছিল এবং ১৩১ জন আহত হয়। 

২০০৯ সালে ফিলিপাইনে মিন্দানাওয়েতে গণহত্যার পর সিপিজে-র রেকর্ড করা সাংবাদিকদের উপর এই হামলা ছিল দ্বিতীয় সবচেয়ে মারাত্মক।

২৬ সেপ্টেম্বরের প্রধান সম্পাদক নাসের আল-খাদরি সিপিজেকে বলেন, “এটি একটি নৃশংস এবং অন্যায্য আক্রমণ যা নিরীহ মানুষকে লক্ষ্য করে করা হয়েছিল যাদের একমাত্র অপরাধ ছিল মিডিয়াতে কাজ করা, যাদের হাতে কেবল কলম এবং মুখে কথা ছিল।”

সিপিজে জানিয়েছে, ইয়েমেনে এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে গণমাধ্যম কর্মীদের হত্যার বৃহত্তর ধরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে এবং সাংবাদিকদের যোদ্ধা হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করে সেই হত্যাকাণ্ডের অজুহাত দেখানো হচ্ছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ২৪৭ জন সাংবাদিককে হত্যা করেছে ইসরায়েল।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ