রাশিয়া শুক্রবার রাতে ইউক্রেনে বড় ধরনের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় তিনজন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছে। এছাড়া ব্যাপক অবকাঠামো ও আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শনিবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া আক্রমণের পর শুরু হওয়া যুদ্ধের অবসানের উপায় খুঁজে বের করার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে লড়াই তীব্র হয়েছে।

টেলিগ্রাম অ্যাপে এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়া দেশের বিভিন্ন স্থানে অবকাঠামো, বেসামরিক উৎপাদনকারী কোম্পানি এবং আবাসিক এলাকা লক্ষ্য করে প্রায় ৫৮০টি ড্রোন এবং ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৫৫২টি ড্রোন এবং ৩১টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে।

জেলেনস্কি বলেছেন, “সারা রাত ইউক্রেন রাশিয়ার একটি বিশাল আক্রমণের শিকার হয়েছিল। এই ধরনের প্রতিটি হামলা সামরিক প্রয়োজন নয় বরং বেসামরিক নাগরিকদের আতঙ্কিত করার এবং আমাদের অবকাঠামো ধ্বংস করার জন্য রাশিয়ার একটি ইচ্ছাকৃত কৌশল।”

তবে রাশিয়া ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউক র ন

এছাড়াও পড়ুন:

রাহেলা ও সালেহার গল্প ওটিটিতে আসছে

কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের ‘বিধবাদের কথা’ গল্প অবলম্বনে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোর কথা তুলে আনা হয়েছে ‘নকশিকাঁথার জমিন’ সিনেমায়। আকরাম খান পরিচালিত সিনেমাটি গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল। এবার আসছে ওটিটিতে। আইস্ক্রিন জানিয়েছে, চলতি মাসের শেষের দিকে তাদের প্ল্যাটফর্মে দেখা যাবে সিনেমাটি।

সিনেমার চিত্রনাট্যে দেখা যাবে, মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে দুই বোন রাহেলা ও সালেহার গল্প। যুদ্ধের সময় তাদের পরিবারের মধ্যে একটা বিভক্তি তৈরি হয়। নিজেদের বাড়ির মধ্যেই যেন যুদ্ধটা চলতে থাকে। যুদ্ধের পর তারা দেখতে পায় মুক্তির সংগ্রামে তাদের জীবনের সবই হারিয়ে গেছে। পরে তারা নকশিকাঁথার বুননে তাদের জীবনের সংগ্রামের আখ্যানটা নকশায় ফুটিয়ে তোলে।

আরও পড়ুনগোয়ার উৎসবে পুরস্কারের দৌড়ে ‘নকশিকাঁথার জমিন’১৭ নভেম্বর ২০২২

এতে দুই বোনের চরিত্রে জয়া আহসান ও ফারিহা শামস সেঁওতি কাজ করেছেন; দুই ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরেশ যাকের ও রওনক হাসান। গুরুত্বপূর্ণ আরও দুই চরিত্রে আছেন দুই ভাই দিব্য জ্যোতি ও সৌম্য জ্যোতি।

সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির সময় নিজের চরিত্রটি নিয়ে জয়া আহসান বলেছিলেন, ‘আমার রাহেলা চরিত্রের একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। চরিত্রটি এমন—বড় বোন রাহেলা হবে পাথরের মতো একটা মানুষ। তার কোনো অভিব্যক্তি নেই, সে কখনো কাঁদে না। রাহেলা খুশি হলেও বোঝা যাবে না, দুঃখ পেলেও বোঝার উপায় নেই। তার কোনো অনুভূতি থাকবে না।’ সিনেমাটি নিয়ে তিনি আগে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরও বলেছিলেন, ‘এই চরিত্র করতে গিয়ে আমার চ্যালেঞ্জ এটাই ছিল যে আমি কখনোই চোখের পাতা ফেলতে পারব না। শুটিংয়ে এই জিনিসটা মাথায় রেখে কাজ করতে হতো। আমাদের স্বভাবতই কয়েকবার করে আমরা চোখের পাতা ফেলি; কিন্তু সেটা না করাই ছিল চ্যালেঞ্জ।’

‘নকশিকাঁথার জমিন’ সিনেমার একটি দৃশ্য

সম্পর্কিত নিবন্ধ