গ্লোবাল টপ এমপ্লয়ার স্বীকৃতি পেল বাংলালিংক
Published: 21st, September 2025 GMT
দেশের প্রথম টেলিকম অপারেটর হিসেবে ‘গ্লোবাল টপ এমপ্লয়ার ২০২৫’ সার্টিফিকেশন পেয়েছে বাংলালিংক। আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘টপ এমপ্লয়ার্স ইনস্টিটিউট’–এর দেওয়া এই স্বীকৃতির ক্ষেত্রে কর্মীসংক্রান্ত কৌশল (পিপল স্ট্র্যাটেজি), কর্মপরিবেশ, নিয়োগপ্রক্রিয়া, প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন, বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তি এবং কর্মীদের কল্যাণ ও সুযোগ–সুবিধা মূল্যায়ন করা হয়েছে। আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলালিংক।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইওহান বুসে বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম টেলিকম অপারেটর হিসেবে টপ এমপ্লয়ার সার্টিফিকেশন পাওয়া আমাদের জন্য এক গৌরবময় অর্জন। এটি প্রমাণ করে যে আমরা একটি কর্মীবান্ধব ও ডিজিটালি অগ্রসর কর্মপরিবেশ গড়ে তুলছি, যেখানে প্রত্যেক কর্মী ভবিষ্যতে নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের সাফল্যের মূল চালিকা শক্তি হলো কর্মীদের উন্নয়ন ও কল্যাণ। তাই আমরা এমন একটি কর্মীবান্ধব কর্মসংস্কৃতি গড়ে তুলছি, যেখানে উদ্ভাবন, সহযোগিতা ও শেখার সুযোগ ক্রমেই সম্প্রসারিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল অপারেটরে পরিণত হওয়ার অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে আমরা নিশ্চিত করছি যেন প্রত্যেক কর্মী মূল্যায়িত বোধ করেন, যথাযথ সমর্থন পান এবং গ্রাহকদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব তৈরিতে নিজেদের সর্বোচ্চ অবদান রাখতে সক্ষম হন। পাশাপাশি আমরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উদ্দেশ্যনির্ভর সংস্কৃতি গড়ে তুলতে চাই, যা কর্মীদের বড় স্বপ্ন দেখতে ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নেতৃত্ব দিতে অনুপ্রাণিত করবে।’
টপ এমপ্লয়ার্স ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ডেভিড প্লিঙ্ক বলেন, ‘বর্তমান সময়ে ধারাবাহিকতা ধরে রাখা এক বড় অর্জন। বিশেষত প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, ক্রমাগত পরিবর্তনশীল অর্থনৈতিক কিংবা সামাজিক পটভূমির মধ্যেও বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে দেখা সত্যি অনুপ্রেরণাদায়ক। এ বছরের টপ এমপ্লয়ার্স সার্টিফিকেশন প্রমাণ করে, আমাদের শীর্ষ নিয়োগকর্তারা ধারাবাহিকভাবে বিশ্বমানের মানবসম্পদ (এইচআর) কৌশল চর্চা ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ সেক্টরে উৎকর্ষের মানদণ্ড তৈরি করছেন।’
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এইচআর বেস্ট প্র্যাকটিসেস সার্ভের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার উৎকর্ষতা যাচাই ও তাদের স্বীকৃতি প্রদান করে থাকে টপ এমপ্লয়ার্স ইনস্টিটিউট। এ বছর ১২৫টি দেশের ২ হাজার ৪০০টির বেশি প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল টপ এমপ্লয়ারের স্বীকৃতি পেয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শান্তি রক্ষা মিশনের মাধ্যমে বিশ্বশান্তিতে অবদান রাখছে বাংলাদেশ
জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে অবদান রাখার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বশান্তিতে পরোক্ষভাবে অবদান রাখছে। শুরু থেকেই বিভিন্ন বৈশ্বিক মিশনে বাংলাদেশের চিকিৎসক, প্রকৌশলীরাও অংশ নিয়েছেন। এটি বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছ থেকে বাংলাদেশের অবদানের একটি দুর্দান্ত স্বীকৃতি এনে দিয়েছে।
‘গ্লোবাল পিস অ্যান্ড হারমনি: বাংলাদেশি’স রোল ইন ইউএন পিসকিপিং’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেছেন বক্তারা। বিশ্বশান্তি দিবস উপলক্ষে আজ রোববার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) সিন্ডিকেট হলে এ সেমিনারের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়টির সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ (সিপিএস)।
সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিংয়ের (বিআইপিএসওটি) কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল হুসেন মুহাম্মদ মসিহুর রহমান। তিনি বলেন, সংঘাত কখনো কখনো আদর্শিক স্বার্থ থেকে আসে, কখনো এটি ঔপনিবেশিক স্বার্থ থেকে আসে। যখন এটি ঘটে, তখন অভ্যন্তরীণ সংঘাত, মৃত্যু, সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়। এগুলো বন্ধ করার জন্য শেষ পর্যন্ত একটি মিশন যায় এবং সহায়তা প্রদান করে, যাতে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।
জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে থাকা বাংলাদেশিদের অবদানের কথা তুলে ধরে মেজর জেনারেল মসিহুর রহমান বলেন, ‘এটি আমাদের জাতীয় ভাবমূর্তির সঙ্গে সম্পর্কিত। কিছু ক্ষেত্রে আমরা অনেক বৈশ্বিক ফোরামে নেতৃত্ব দিই।’
বিশ্বশান্তি দিবসের সেমিনারে অংশ নেওয়া অতিথিরা