নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে ডার্বিতে ধরাশায়ী হওয়ার পর ঠিক এক সপ্তাহ। এমন সময় রিয়াল মাদ্রিদের দরকার ছিল জয়ের ছোঁয়া, আত্মবিশ্বাস ফেরানোর মতো এক পারফরম্যান্স। শনিবার রাতে সেটাই এনে দিলেন ভিনিসিউস জুনিয়র ও কিলিয়ান এমবাপ্পে।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ভিয়ারিয়ালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে আবারও লা লিগার শীর্ষে ফিরেছে লস ব্লাঙ্কোসরা। তবে এই জয়ের আনন্দের মাঝেই অস্বস্তির খবর হলো চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে এমবাপ্পেকে।
আরো পড়ুন:
আলভারেজের হ্যাটট্রিকে অ্যাটলেটিকোর স্বস্তির জয়
এমবাপ্পের দুর্দান্ত গোলে এস্পানিওলকে হারিয়ে শীর্ষে রিয়াল
প্রথমার্ধে গোলশূন্য লড়াই চললেও বিরতির পর মাত্র দুই মিনিটেই গতি পায় খেলা। বাঁ দিক থেকে কেটে ঢুকে একক প্রচেষ্টায় গোল করেন ভিনিসিউস জুনিয়র, যার শট সান্তি কোমেসানিয়ার পায়ে লেগে দিক বদলে জালে ঢোকে (১-০)। ৬৯তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন এই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার। এর আগে রাফা মারিন বক্সে ফাউল করেন তাকে। আর ঠান্ডা মাথায় বল জালে পাঠান ভিনি।
৭৫ মিনিটে ভিয়ারিয়ালের জর্জেস মিকাউতাদজে দারুণ এক শটে ব্যবধান কমান (২-১)। কিন্তু এক লাল কার্ডেই শেষ হয়ে যায় তাদের প্রত্যাবর্তনের আশা। ম্যাচের ৭৮ মিনিটে সান্তিয়াগো মরিনো দ্বিতীয় হলুদ দেখে মাঠ ছাড়েন। এ সময় তিনি ফাউল করেছিলেন সেই ভিনিসিউসকেই।
১০ জনের ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে শেষ দিকে চাপ বাড়ায় রিয়াল। দুইবার ভিনি গোলের সুযোগ হারালেও ৮১ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় ব্রাহিম দিয়াজের পাস থেকে দারুণ এক ফিনিশে গোল করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। কিন্তু গোল উদ্যাপন শেষ হতেই হঠাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। গোড়ালির ইনজুরিতে ব্যথায় কাতর। পরে বদলি হিসেবে রদ্রিগো নামলে, বার্নাব্যু জুড়ে নেমে আসে নীরবতা।
ইনজুরির আগে পর্যন্ত দারুণ ছন্দে ছিলেন এমবাপ্পে। ক্লাব ও দেশের হয়ে টানা নয় ম্যাচে গোল, যা তার ক্যারিয়ারের সেরা ধারাবাহিকতা। রিয়ালের শেষ ৩০টি লা লিগা গোলের মধ্যে একাই করেছেন ১৮টি।
প্রথমার্ধে মাদ্রিদের রক্ষাকবচ হয়ে দাঁড়ান থিবো কোর্তোয়া। ৪১ মিনিটে টানি অলুওয়াসেইয়ের একক প্রচেষ্টার শট কাছাকাছি থেকে দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেন বেলজিয়ান এই গোলরক্ষক। ওই সেভ না এলে ম্যাচের চিত্র ভিন্ন হতে পারত।
এই জয়ে ৮ ম্যাচে ৭ জয় নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ২১। বার্সেলোনা তাদের চেয়ে দুই পয়েন্ট পিছিয়ে। তবে আজ রবিবার রাতে সেভিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে তারা। অন্যদিকে, টানা হার ভিয়ারিয়ালকে নামিয়ে দিয়েছে টেবিলের নিচের অর্ধে।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল এমব প প ল কর ন
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে সিমেন্ট কারখানায় বিস্ফোরণে ছয় শ্রমিক দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় বসুন্ধরা সিমেন্ট কারখানার কয়লার কলে বিস্ফোরণে ছয় শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার মদনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ শ্রমিকদের রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন আতিকুর রহমান (৪২), তোরাব আলী (৫৫), ফেরদৌস (৩৫), তাজুল ইসলাম (৩৫), কামাল হোসেন (৪৫) ও নাহিদ হাসান (২২)।
দগ্ধ শ্রমিকদের সহকর্মী মোবারক হোসেন বলেন, সিমেন্ট প্ল্যান্টের কয়লার কলে কয়লা পিষে গুঁড়া করা হয়। সেই গুঁড়া কয়লা ভাট্টিতে তাপ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। কয়লার কলে কাজ করার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণে আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়লে তাঁদের ছয় সহকর্মী দগ্ধ হন। রাত নয়টার দিকে তাঁদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আগুনে আতিকুর রহমানের শরীরের ২৭ শতাংশ, তোরাব আলীর ১৬ শতাংশ, ফেরদৌসের ১০ শতাংশ, তাজুল ইসলামের ১২ শতাংশ, কামাল হোসেনের ২৬ শতাংশ ও নাহিদ হাসানের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁদের সবার শ্বাসনালিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কয়লার কলে কয়লা গুঁড়া করার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণে আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছিটকে শ্রমিকেরা দগ্ধ হন। দগ্ধ ছয় শ্রমিককে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, কয়লার কলে কয়লা গুঁড়া করার সময় বিস্ফোরণে উত্তপ্ত কয়লা ছিটকে ছয় শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে বসুন্ধরা সিমেন্ট কারখানা কর্তৃপক্ষের কারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।