ইতিহাসে লুকানো নারী হাদিস বর্ণনাকারীদের কাহিনী
Published: 6th, October 2025 GMT
যত দূর মনে পড়ে, ১৯৯৫ সালে আমি ইন্ডিয়ায় ছিলাম। তখন কিছু লেখালেখি করতাম, আরবিতে কিছু প্রবন্ধ লিখতাম। সে সময় টাইমস-এ এক ভদ্রলোক মুসলিম নারীদের নিয়ে এক সপ্তাহে বেশ কিছু লেখা দিচ্ছিলেন। তিনি বলার চেষ্টা করছিলেন যে ইসলাম আসলে জ্ঞান অর্জনের দিক দিয়ে নারীদের কত পশ্চাৎপদ করে রেখেছে!
আমার মনে হলো তার লেখায় তথ্যের অভাব আছে, মানুষ আসলে অনেক কিছু জানেই না। যেহেতু আমি হাদিসশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করতাম, জানতাম যে কত বিপুলসংখ্যক নারী হাদিসের শিক্ষকতা করেছেন, হাদিসচর্চাকে ছড়িয়ে দিয়েছেন।
আমার মাথায় তখন কোনো পরিকল্পনা বা প্রস্তাব ছিল না। তবু ভাবলাম, নারীদের এই তথ্যগুলোকে একত্র করব। হয়তো বড়জোর দু-এক খণ্ডের একটা কাজ হবে। অন্তত এসব অপপ্রচার কিংবা ভুল–বোঝাবুঝির একটা জবাব দেওয়া যাবে। আরও একটা লাভের কথাও মাথায় এসেছিল যে এই বই থেকে মুসলিম নারীরা জ্ঞানের চর্চায় উৎসাহিত হবেন।
কাতার ইউনিভার্সিটিতে একটা বক্তৃতা দিই। ওখানে এক শ্রোতা বলেন, এ ধরনের কাজ আসলে নারীদের বিরুদ্ধে পুরুষের একধরনের ষড়যন্ত্র।যদিও জ্ঞানের অনেক শাখায় নারীরা আজকাল অনেক এগিয়ে গেছেন, কিন্তু ইসলামকে জানার দৌড়ে তাঁরা অনেকটা পিছিয়ে। হয়তো এমন একটা কাজ তাঁদের কোরআন ও হাদিসকে জেনে বিদুষী হতে উৎসাহ দেবে। শুরুতে ভাবতে পারিনি যে এ কাজটা এত বিশাল এবং গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে। হয়তো আল্লাহ বরকত ঢেলে দিয়েছেন।
আমি শুধু কাজ করছিলাম আর নতুন নতুন তথ্য বেরিয়ে আসছিল। মনে আছে, ২০১০ সালে কাতার গেলে শাইখ ইউসুফ কারজাভি আমাকে এ নিয়ে তাঁর মসজিদে কিছু বলতে অনুরোধ করেন। নারী বর্ণনাকারীদের বিপুল সংখ্যা দেখে তিনিও বিস্মিত হন এবং বলেন যেন আমি আপাতত এখানে ইতি টানি। নইলে কাজটি কোনো দিন একেবারে শেষ হবে না।
তাঁর পরামর্শ গ্রহণ করি। একই সময়ে কাতার ইউনিভার্সিটিতে একটা বক্তৃতা দিই। ওখানে এক শ্রোতা বলেন, এ ধরনের কাজ আসলে নারীদের বিরুদ্ধে পুরুষের একধরনের ষড়যন্ত্র। তো এভাবেই আসলে কাজটি শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুনমুসলিম নারী চিকিৎসকেরা হারিয়ে গেলেন কেন১৩ জুন ২০২৫‘আল–ওয়াফা বি আসমায়িন নিসা’ গ্রন্থের প্রচ্ছদ; যা ৪৩ খণ্ডে প্রকাশিত এবং যাতে প্রায় ১০ হাজার হাদিস বর্ণনাকারী নারীর জীবন–কর্ম সংকলিত হয়েছে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘এই কারণেই স্ত্রী–প্রেমিকার সঙ্গে কাজ করা ভালো আইডিয়া নয়’
নব্বইয়ের দশকে ক্যারিয়ার শুরু করেন সাইফ আলী খান। মূলত রোমান্টিক সিনেমাতেই বেশি দেখা যেত তাঁকে। তবে বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানির সিরিজ ‘সেক্রেড গেমস’ দিয়ে নতুনভাবে ক্যারিয়ার শুরু করেন অভিনেতা। সম্প্রতি এস্কায়ার ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের ক্যারিয়ারসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন সাইফ।
সাক্ষাৎকারে সাইফ জানান, কেন তিনি স্ত্রী বা প্রেমিকার সঙ্গে কাজ করতে চান না। যদিও তিনি স্ত্রী অভিনেত্রী কারিনা কাপুরের সঙ্গে বহু ছবিতে কাজ করেছেন, তাঁর সাবেক স্ত্রী অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে কোনো সিনেমায় কাজ করেননি।
কারিনা কাপুর খান ও সাইফ আলী খান দম্পতি। এক্স থেকে