সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আরএমওকে বদলি
Published: 8th, October 2025 GMT
সময়মত কর্মস্থলে উপস্থিত না থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শেখ ফয়সাল আহমেদকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ও সদর হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডা. মো. আবদুস সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ
যাত্রী বহনে রাজি না হওয়ায় বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে জখম
এর আগে, মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা.
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এই আদেশ জনস্বার্থে জারি করা হয়েছে এবং বদলিকৃত কর্মকর্তাকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে দায়িত্বভার হস্তান্তর করে পদায়নকৃত কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে। তা না হলে অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি ডা. ফয়সাল আহমেদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ অনুপস্থিতি, সিভিল সার্জনের সঙ্গে অসদাচরণ এবং বেসরকারি হাসপাতাল (হার্ট ফাউন্ডেশন) পরিচালনার অভিযোগ ওঠে। হাসপাতালের বায়োমেট্রিক হাজিরা রেকর্ডে দেখা গেছে, গত ৩ মাসে তিনি ৫০ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি সিভিল সার্জন ও সদর হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডা. মো. আবদুস সালামের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এরপর ওই ঘটনায় ৫ অক্টোবর সিভিল সার্জন মহাপরিচালক বরাবর তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন।
এর পরদিন ৬ অক্টোবর সদর হাসপাতাল থেকে অপসারিত স্বেচ্ছাসেবকদের দিয়ে হাসপাতাল সম্মুখ সড়কে মানববন্ধন করান ডা. ফয়সাল, যা নিয়ে জেলা জুড়ে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
ঢাকা/শাহীন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ স ভ ল স র জন
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে সিমেন্ট কারখানায় বিস্ফোরণে ছয় শ্রমিক দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় বসুন্ধরা সিমেন্ট কারখানার কয়লার কলে বিস্ফোরণে ছয় শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার মদনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ শ্রমিকদের রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন আতিকুর রহমান (৪২), তোরাব আলী (৫৫), ফেরদৌস (৩৫), তাজুল ইসলাম (৩৫), কামাল হোসেন (৪৫) ও নাহিদ হাসান (২২)।
দগ্ধ শ্রমিকদের সহকর্মী মোবারক হোসেন বলেন, সিমেন্ট প্ল্যান্টের কয়লার কলে কয়লা পিষে গুঁড়া করা হয়। সেই গুঁড়া কয়লা ভাট্টিতে তাপ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। কয়লার কলে কাজ করার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণে আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়লে তাঁদের ছয় সহকর্মী দগ্ধ হন। রাত নয়টার দিকে তাঁদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আগুনে আতিকুর রহমানের শরীরের ২৭ শতাংশ, তোরাব আলীর ১৬ শতাংশ, ফেরদৌসের ১০ শতাংশ, তাজুল ইসলামের ১২ শতাংশ, কামাল হোসেনের ২৬ শতাংশ ও নাহিদ হাসানের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁদের সবার শ্বাসনালিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কয়লার কলে কয়লা গুঁড়া করার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণে আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছিটকে শ্রমিকেরা দগ্ধ হন। দগ্ধ ছয় শ্রমিককে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, কয়লার কলে কয়লা গুঁড়া করার সময় বিস্ফোরণে উত্তপ্ত কয়লা ছিটকে ছয় শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে বসুন্ধরা সিমেন্ট কারখানা কর্তৃপক্ষের কারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।