চাঁদপুরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অভিযানে গিয়ে জনতার হাতে ধরা দুজন
Published: 8th, October 2025 GMT
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ইয়াবা বড়ি বিক্রির অভিযোগ তুলে তাঁকে ধরতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভুয়া সদস্য সেজে অভিযানে নেমে ধরা পড়েছেন দুই যুবক। পরে তাঁদের পিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার সর্দারকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আটক দুজনের নাম মো.
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, গতকাল রাত একটায় রোমান ও ইমরান সর্দারকান্দি গ্রামে গিয়ে ডিবি পুলিশের সদস্য পরিচয় দেন। এরপর তাঁরা গ্রামের বাসিন্দা মো. মাহফুজের বিরুদ্ধে ইয়াবা বিক্রির অভিযোগ তুলে তাঁকে আটকের চেষ্টা করেন। এ সময় সন্দেহ হলে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। একপর্যায়ে রোমান–ইমরান জানান, তাঁরা ডিবির সদস্য নন। এরপর উত্তেজিত লোকজন তাঁদের মারধর করে পুলিশকে খবর দেন। পরে থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে আটক দুজনকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হক বলেন, আটক ব্যক্তিদের থানাহাজতে রাখা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইমর ন
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহী বিএনপির সদস্য সচিবের সঙ্গে আহ্বায়কের বিরোধ
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন কমিটি নিয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিবের সঙ্গে বিরোধে জড়ালেন আহ্বায়ক। জেলার সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকারের তত্ত্বাবধানে সম্মেলনের মাধ্যমে হওয়া কমিটি আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ স্থগিত করে দিয়েছেন। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার বলছেন, বিষয়টি তিনি কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানাবেন।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে রাজশাহী প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তখন প্রেস ক্লাবে জেলার সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকারও উপস্থিত ছিলেন। তবে তিনি সংবাদ সম্মেলনে বসেননি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব জোবায়েদ হোসেন।
আরো পড়ুন:
গণভোট ও পিআরের দাবি জাতিকে বিভক্ত করছে: সালাহউদ্দিন
সাংবাদিক মেরেছি, ওনারে মারতে কি আমার সময় লাগে: বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুর্গাপুরের ইউনিয়ন কমিটিগুলো করার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম ছয় সদস্যের কমিটি করে দেন। এর প্রধান করা হয়েছিল জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকারকে। এই কমিটির তত্ত্বাবধানে গত ২০ মে থেকে ২৯ মে পর্যন্ত উপজেলার নওপাড়া, কিসমত গণকৈড়, পানানগর, দেলুয়াবাড়ি ও জয়নগর ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রত্যেক ইউনিয়নে পাঁচজন করে নির্বাচিত হন। এরপর তারা আংশিক পূর্ণাঙ্গ কমিটিও করেন।
এরইমধ্যে এই কমিটির বিরোধী কিছু নেতা সংবাদ সম্মেলন করেন। তারা কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সেগুলো বাতিলের দাবি করেন। এরপর সোমবার (৬ অক্টোবর) জেলার আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ তার একক স্বাক্ষরে ওই ছয় ইউনিয়ন কমিটি বাতিল ঘোষণা করেন। এর চিঠি তিনি নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেছেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন নেতাকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, যারা ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা তারাই ইউনিয়নগুলোতে নেতৃত্বে এসেছিলেন। কিন্তু জেলার আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ নিজের স্বার্থে এসব কমিটি স্থগিত ঘোষণা করেছেন। কেন্দ্রের নির্দেশনায় কমিটির তত্ত্বাবধানে সম্মেলনের মাধ্যমে আসা ইউনিয়ন কমিটি তিনি স্থগিত ঘোষণা করতে পারেন না বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুজ্জামান আয়নাল, পৌর কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান লাল্টু, জেলা কমিটির সদস্য সাইদুর রহমান মন্টুসহ ছয় ইউনিয়নের সদ্য স্থগিত করা কমিটির সভাপতি-সম্পাদকসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার বলেন, ‘‘কেন্দ্রের নির্দেশনায় সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটিগুলো করেছি। কোনো ধরনের অনিয়ম এক্ষেত্রে হয়নি। আহ্বায়ক কেন কমিটি স্থগিত করেছেন সেটা বলতে পারব না। তার সঙ্গে আমার কথা হয়নি। তিনি একক স্বাক্ষরে এটা পারেন না। এ বিষয়টি আমি দ্রুতই কেন্দ্রীয় কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের জানাব।’’
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সন্ধ্যায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে ফোন করা হলে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাই বিষয়টি নিয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঢাকা/কেয়া/বকুল