সুলতানের কৃষিদর্শন নিয়ে পাঁচ প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে গবেষণা
Published: 9th, November 2025 GMT
চিত্রকর এস এম সুলতানের কৃষিজিজ্ঞাসা পাঠ করতে গিয়ে লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ পঞ্চশস্য, পঞ্চভূত কিংবা পঞ্চইন্দ্রিয়ের মতো প্রধানত পাঁচটি প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন। প্রথমত সুলতানের কাজের কোনো পূর্ণাঙ্গ পাবলিক নথি ও আর্কাইভ নেই। দ্বিতীয়ত সুলতানকে নিয়ে অধিকাংশ আলাপ তাঁকে ‘মিথ’ ও ‘মহান’ বানিয়ে তাঁর শিল্পকর্মের বিশ্লেষণ এবং বিবরণ বিস্তারের চেয়ে শিল্পীর নানাবিধ ব্যক্তিজীবনকেই বেশি ‘চাউর’ করে। তৃতীয়ত তাঁকে ‘বোহেমিয়ান’ বানিয়ে তাঁর সৃষ্টিকর্মকে ‘একক’ ও ‘অপর’ করে ফেলা হয়। চতুর্থত ছবির ‘পেশি’ নিয়ে যত আলাপ, বরং কম আলাপ হয় তাঁর চিত্রকলার কারিগরি বনিয়াদ নিয়ে। পঞ্চমত কৃষির রাজনৈতিক বাস্তবতা ও ধারাবাহিক ঐতিহাসিকতাকে আড়াল করে অধিকাংশ আলাপই সুলতানের কৃষকদের ‘আদিম’ বানিয়ে রাখে।
সুলতানের ছবির কৃষিজিজ্ঞাসা নিয়ে গবেষণামুখী কোনো বিস্তর আলাপ নেই। ‘পাঁচ প্রশ্ন ও বিস্ময়’ থেকেই গবেষক সুলতানের ‘কৃষিজিজ্ঞাসাকে’ বুঝতে চেয়েছেন। সুলতান জন্মশতবাষির্কী উপলক্ষে কাজটি শুরু হলেও এর সঙ্গে যুক্ত হয় গবেষক পাভেল পার্থর পূর্ববর্তী মাঠকর্মের অভিজ্ঞতা।সুলতান কোন কৃষিব্যবস্থার ছবি এঁকেছেন কিংবা কৃষিরাজনীতিকে কেমনভাবে চিত্রিত করেছেন, সেসবের ধারাবাহিক প্রামাণ্য আলাপ আমরা পাই না। আর এসব কারণে পাভেল পার্থ বোধ করেন সুলতানের ছবির কৃষিজিজ্ঞাসা নিয়ে গবেষণামুখী কোনো বিস্তর আলাপ নেই। ‘পাঁচ প্রশ্ন ও বিস্ময়’ থেকেই গবেষক সুলতানের ‘কৃষিজিজ্ঞাসাকে’ বুঝতে চেয়েছেন। সুলতান জন্মশতবাষির্কী উপলক্ষে কাজটি শুরু হলেও এর সঙ্গে যুক্ত হয় গবেষকের পূর্ববর্তী মাঠকর্মের অভিজ্ঞতা।
কর্মক্ষেত্রে কৃষক, ১৯৭৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সিদ্ধিরগঞ্জে মৎস্যজীবী দলের আলোচনা সভা
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মৎস্যজীবী দল। িশুক্রবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জ থান মৎস্যজীবী দলীয় কার্যালয় এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের নেতা মোহাম্মদ জনি পাঠানের সঞ্চালনা ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর মৎস্যজীবী দলের নেতা মো. জনি ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন,নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম রতন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মো. মনির হোসেন, সদস্য সচিব মো. মেহেদী হাসান সানি, মো. হারুন, মো. রাসেল।
এ সম আরো উপস্থিত ছিলেন, জি এম সোহেল, মো. রহিম বাদশা, মো. শাকিল, মো. সবুজ, মো. জনি ইসলাম, মো. আনিস দেওয়ান, মো. কবির, মো. আবুল কালাম, মো. আলী, মো. আলী, মো. বাধন, মো. শাহিন, মো. ইমরান, মো.গোলজার হোসেন, মো. সালাউদ্দিন, মো. বাবুল হোসেন, মো. মিজান, মো. ইকবাল, মো, রাসেল, মো. জাহিদ, মো. মিজান সহ দলীয় নেতা-কর্মী।
এ সময় প্রধান বক্তা বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর আধিপত্যবাদী চক্রের ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার দৃঢ় প্রত্যয়ে সিপাহি-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল। ৩ থেকে ৬ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর অনিশ্চিত অবস্থা বিরাজ করছিল। হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছিল আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব। সেদিন সিপাহি জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মাধ্যমেই রক্ষা পায় সদ্য অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় জীবনে ৭ নভেম্বর এক ঐতিহাসিক দিন। ১৯৭৫ সালের এ দিনে জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সৈনিক-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমে এসেছিলেন সব ধরনের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে। ৭ নভেম্বরের চেতনা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রেরণার উৎস। তাই বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতনাকে ধারণ করে গণজাগরণ সৃষ্টির মাধ্যমে বর্তমানে অগণতান্ত্রিক সরকারের পদত্যাগের দাবিতে দেশ-বিদেশে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বিশ্বাস করলে তার উত্তরসূরি তারেক রহমানের নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।##