আচার খাইয়ে অচেতন করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে পাঁচজনকে গণপিটুনি
Published: 8th, October 2025 GMT
রাজধানীতে একটি বাসে এক যাত্রীকে আচার খাইয়ে অচেতন করে তাঁর কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সময় ধরা পড়েন একজন। পরে তাঁকেসহ আরও পাঁচজনকে অজ্ঞান পার্টির সদস্য সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন বাসের যাত্রীরা। রাজধানীর হাতিরঝিল থানা এলাকায় আজ বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, আজ বিকেলে সাতরাস্তা থেকে মগবাজার যাওয়ার সড়কে গাজীপুর পরিবহন নামের একটি বাসে এ ঘটনা ঘটে। অচেতন ব্যক্তি এবং আহত পাঁচজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও হাসপাতালের সূত্র জানায়, অচেতন যাত্রীর নাম মান্নান ব্যাপারী (৪৫)। আর গণপিটুনির শিকার ব্যক্তিরা হলেন নুর আলম (৪৫), ওসমান (৪০), রশিদ (৪৭), কামাল (৪৫) ও বিল্লাল (৪০)। ঘটনার সময় চক্রের দুজন পালিয়ে যান।
হাতিরঝিল থানার সহকারী উপপরিদর্শক রাজিব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গণপিটুনির শিকার ব্যক্তিদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অচেতন মান্নানের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া ৬৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে আহত বিল্লাল নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে যাত্রীরা আমাকে মেরেছেন। আমি এই চক্রের সঙ্গে জড়িত নই।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গণপ ট ন
এছাড়াও পড়ুন:
কুবি শিক্ষার্থীকে উত্যক্ত করায় ৫ যুবক আটক
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে ঢাকা থেকে সিলেটগামী আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে উত্ত্যক্ত ও শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী কুমিল্লার লাকসাম রেলওয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
ট্রেন ছাড়তে দেরি হওয়ায় ভাঙ্গুড়ায় যাত্রীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ
সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আটকরা হলেন– তানভীর হোসেন নাজিম, ফাহিম হাসান অনিক, তাহমনি আহাম্মেদ, মো. নাঈম উদ্দিন এবং মো. ফাহিম হোসেন।
ভুক্তভোগী নারী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। দায়ের করা অভিযোগপত্রে আতিকুর রহমান শিপন (ভুক্তভোগী নারীর স্বামী), মো. ইয়াছিন এবং মোহসিন জামিলকে সাক্ষী করা হয়েছে।
নয়জনকে অভিযুক্ত করে দায়ের করা অভিযোগপত্রে আটকরা ছাড়া আরো তিনজনের নাম রয়েছে। তারা হলেন- তাহামিন আহম্মেদ, মো. নাঈম উদ্দিন, ফাহিম হোসেন এবং মো. নাজমুল।
অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী বলেন, রবিবার (৫ অক্টোবর) দুর্গাপূজার ছুটি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেরার উদ্দেশ্যে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন মনতলা রেলস্টেশনে এলে আটক ব্যক্তিরা ছাড়াও আরো কয়েকজন এসে আমাদের উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন ধরনের কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে থাকেন। তাদের বাজে আচরণে আপত্তি জানালে তারা আরো খারাপ ভাষায় গালাগালি এবং উত্ত্যক্ত করতে থাকেন।
একপর্যায়ে বিকেল ৫টার দিকে দূর্গাপুর ইউনিয়নের শাসনগাছা সাকিনস্থ রেলস্টেশনে তানভীর হোসেন নাজিম অন্যান্যদের সহায়তায় যৌন হয়রানির উদ্দেশ্যে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করেন।
এ নিয়ে অভিযোগের অন্যতম সাক্ষী এবং ভুক্তভোগীর স্বামী আতিকুর রহমান শিপন বলেন, “রবিবার (৫ অক্টোবর) ট্রেনে উঠার পর কিছু ছেলে আমার এবং আমার স্ত্রীর সঙ্গে বাজে আচরণ করতে থাকে। তাদের এসব করতে নিষেধ করলে তারা উল্টো আরো আমাদের হুমকি দিতে থাকে। আমার স্ত্রীকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করে। পরে রেলওয়ে পুলিশ এবং থানার পুলিশের মাধ্যমে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে কুমিল্লার কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, “আমরা জানতে পেরেছিলাম, ট্রেনে কিছু ছেলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং করছে। এটি শুনে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সহায়তায় আমরা পাঁচজনকে আটক করি। বিষয়টি যেহেতু ট্রেনে তাই আমরা লাকসাম রেলওয়ে থানায় দায়ের করার জন্য বলেছি।”
লাকসাম রেলওয়ে থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, “রবিবার (৫ অক্টোবর) ট্রেনে একটি মেয়েকে ইভটিজিং ঘিরে একটি অভিযোগপত্র দায়ের হয়েছে। এখন বিষয়টি তদন্ত হবে। সাক্ষী এবং অভিযুক্তদের থেকে শুনে বিষয়টি বিচার নিশ্চিত করা হবে।”
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী