কোনো অবস্থাতেই দেশকে আগের পরিস্থিতিতে যেতে দেওয়া হবে না: চরমোনাই পীর
Published: 8th, October 2025 GMT
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন—এই ধারাবাহিকতায় সরকারকে কাজ করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই দেশকে আগের পরিস্থিতিতে ফেরত যেতে দেওয়া হবে না।
বুধবার দুপুরে রাজধানীতে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির জরুরি বৈঠক হয়। সেখানে চরমোনাই পীর এ কথা বলেন।
বৈঠকে ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরে বাংলাদেশে নতুন পরিবেশ তৈরি হয়েছে, নতুন বাস্তবতা সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের মাঠ সবার জন্য উন্মুক্ত। দেশের মানুষ ইসলামের জন্য ব্যাকুল হয়ে আছে। এমন পরিস্থিতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৩০০ আসনে বিজয়ের জন্যই লড়াই করবে। সংগঠন সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে।
পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি নিয়ে শেষ দিন পর্যন্ত আন্দোলন করে যাবেন বলে জানান চরমোনাই পীর। এর কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে পিআর ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। একই সঙ্গে বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে এফটিপিটি পদ্ধতির প্রস্তুতি চলমান থাকবে, ৩০০ আসনই লক্ষ্য। জোটের বিষয়ে যে ধরনের আলোচনা চলছে, তা চলমান থাকবে। কোন আসনে কে প্রার্থী হবেন, সে বিষয়ে আলোচনা করার সময় এখনো আসেনি।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহবিষয়ক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারুফ প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চরম ন ই প র ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
রাশিয়া–ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থমকে গেছে
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে আলোচনা করতে গত আগস্টে বৈঠকে বসেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দুই নেতার ওই বৈঠকের পর যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে আশার আলো দেখা গিয়েছিল। কিন্তু বৈঠকের প্রায় দুই মাস পেরোলেও সংঘাত বন্ধে কোনো লক্ষণ চোখে পড়ছে না। উল্টো রাশিয়া-ইউক্রেন দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে প্রাণহানির পাশাপাশি অবকাঠামোও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর মধ্যে গতকাল বুধবার রাশিয়া বলেছে, ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠক সত্ত্বেও ইউক্রেনে শান্তিচুক্তি অর্জনের গতি ‘কমে গেছে’।
যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজ শহরের একটি বিমানঘাঁটিতে দুই শীর্ষ নেতা সাক্ষাৎ করেছিলেন। তবে সাড়ে তিন বছর ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কোনো ধরনের চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেননি তাঁরা। এরপর লড়াই বন্ধে কূটনৈতিক প্রচেষ্টাও ভেস্তে গেছে।
রুশ সংবাদ সংস্থাগুলো গতকাল রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভের একটি বক্তব্য প্রকাশ করেছে। তিনি বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের স্বীকার করতে হবে যে চুক্তির পক্ষে (ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে) অ্যাঙ্কোরেজে যে শক্তিশালী গতির সৃষ্টি হয়েছিল, তা হারিয়ে গেছে।’ তিনি এ অচলাবস্থার জন্য ইউরোপকে দায়ী করেছেন। তারা শেষ পর্যন্ত ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় দফায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন ট্রাম্প। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যেই’ ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু যুদ্ধ থামাতে পুতিনের আপাত অনিচ্ছায় তিনি ক্রমেই বিরক্ত হয়ে উঠেছেন।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ফক্স নিউজকে জানান, ইউক্রেনে দূরপাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর কথা বিবেচনা করছে ওয়াশিংটন। ওয়াশিংটনের এমন সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন রিয়াবকভ। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠালে ইউক্রেনকে ভয়াবহ পরিণতি বরণ করতে হবে।
রিয়াবকভ আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন কিছু করলে রাশিয়া দ্রুত পারমাণবিক পরীক্ষা চালাবে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের পারমাণবিক পরীক্ষামূলক অবকাঠামো প্রস্তুত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
পাঁচ হাজার বর্গকিলোমিটার ভূখণ্ড রাশিয়ার দখলেযুদ্ধ বন্ধ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই গত মঙ্গলবার পুতিন বলেছেন, রুশ বাহিনী চলতি বছর ইউক্রেনের প্রায় পাঁচ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করেছে। মস্কো যুদ্ধক্ষেত্রে সম্পূর্ণ কৌশলগত প্রভাব ধরে রেখেছে।