“বাদাম বাদাম দাদা কাঁচা বাদাম, আমার কাছে নাই গো বুবু ভাজা বাদাম”—এমন কথার গান,  গানের স্রষ্টা ও শিল্পী ভুবন বাদ্যকরকে চিনেন না এমন মানুষ পাওয়া বোধহয় মুশকিল। ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের সীমানা পেরিয়ে ভুবন বাদ্যকরের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে বিদেশেও। এবার ‘কাঁচা বাদাম’ গানের নতুন ভার্সন নিয়ে হাজির হলেন এই শিল্পী।  

ভুবন বাদ্যকর তার সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন ভার্সনটি প্রকাশ করেছেন। ভিডিওতে দেখা যায়, নিজ গ্রামে বাইকে ঘুরতে ঘুরতে সকলকে নতুন গানটি শোনাচ্ছেন ভুবন বাদ্যকর। গ্রামের মানুষও তাকে ঘিরে গানটি উপেভোগ করছেন। গানের ভিডিওটি প্রকাশের পরই ছড়িয়ে পড়ে অন্তর্জালে; যা এখন নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। 

আরো পড়ুন:

‘যেকোনো সম্পর্কে মতবিরোধ হওয়াটা জরুরি’

‘সম্পর্ক দু’মিনিটে তৈরি হওয়া নুডলস নয়’

নতুন ভার্সন শুনে নেটিজেনরাও ভুবন বাদ্যকরের প্রশংসা করছেন। রবি লেখেন, “সুন্দর।” সিদ্ধার্থ লেখেন, “ফিরে আসুন।” মেঘ লেখেন, “মজার।” মুস্তাফিজ লেখেন, “মেধাবি।” অন্যজন লেখেন, “সে দারুণ একজন সুরকার।” তবে কেউ কেউ প্রশ্ন করেছেন—“পুরোনো ভার্সনের জনপ্রিয়তা কী ছাড়িয়ে যেতে পারবে?” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে নেট দুনিয়ায়। 

লক্ষ্মীনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত গ্রাম কুড়ালজুড়ির বাসিন্দা ভুবন বাদ্যকর। স্ত্রী, দুই ছেলে, বউমা ও মেয়েকে নিয়ে তার সংসার। শুরুতে বাদামের বস্তা পেছনে নিয়ে বীরভূম থেকে ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন গ্রামে কাঁচা বাদাম বিক্রি করতেন। এখন মোটরসাইকেলে কাজটি করেন তিনি। আর গাইতে থাকেন, ‘কাঁচা বাদাম’ গান।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইন্দোনেশিয়ায় সাবেক স্বৈরশাসক সুহার্তোকে ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা

ইন্দোনেশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট সুহার্তোকে জাতীয় বীরের মর্যাদা দিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো। তবে স্বৈরশাসক হিসেবে তার পূর্ব পরিচিতি কারণে এমন পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মানবাধিকারকর্মীরা। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি খবরে বলা হয়েছে, ১৯৬০ থেকে ১৯৯০ এর দশকে সুহার্তোর নিউ অর্ডার শাসনামলে, ইন্দোনেশিয়া দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির যুগ দেখেছিল কিন্তু সহিংস রাজনৈতিক দমন-পীড়নেরও একটি যুগ দেখেছিল। সেই সময় কয়েক লাখ রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীকে হত্যা করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।

সোমবার (১০ নভেম্বর) জাকার্তার প্রেসিডেন্ট ভবনে জাতীয় বীর দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। 

সুহার্তোর সাবেক জামাতা ও ইন্দোনেশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঘোষিত ‘জাতীয় বীর’ তালিকায় নতুন যুক্ত হওয়া ১০ জনের মধ্যে প্রয়াত সুহার্তোও রয়েছেন।

তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ইন্দোনেশিয়া শাসন করা সুহার্তো ১৯৯৮ সালে অর্থনৈতিক সংকটের সময় গণবিক্ষোভ এবং মারাত্মক দাঙ্গার মুখে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। ২০০৬ সালে ৮৬ বছর বয়সে তিনি মারা যান।

অনুষ্ঠানে সুহার্তোকে স্মরণ করে বলা হয়, “সেন্ট্রাল জাভা প্রদেশের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি, স্বাধীনতাসংগ্রামের নায়ক, জেনারেল সুহার্তো স্বাধীনতার যুগ থেকে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।”

তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে। তারা সরকারের বিরুদ্ধে সোহার্তোর স্বৈরাচারী শাসনকালকে বৈধ প্রতিষ্ঠা করার অভিযোগ তুলেছে। অন্যদিকে প্রাবোও সরকারের মন্ত্রীরা এই পদক্ষেপকে সমর্থন করে বলেছেন, সোহার্তোর অর্থনৈতিক অবদানই ছিল দেশের উন্নয়নের ভিত্তি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলো অমূলক।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ