ক্যাম্ফারদের ব্যাটিং থেকে কী শিখল বাংলাদেশ
Published: 23rd, November 2025 GMT
শেষ দিনে ব্যাটিংয়ে নামার সময় আয়ারল্যান্ডের হাতে ছিল মাত্র ৪ উইকেট। বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ওদের দ্রুত অলআউট করে জয় তুলে নেওয়া। কিন্তু কার্টিস ক্যাম্ফারের মাথায় বোধ হয় অন্য স্ক্রিপ্ট চলছিল। কখনো গ্যাবিন হোয়ে, কখনো জর্ডান নেইলকে সঙ্গে নিয়ে তিনি খেলে গেলেন দারুণ ধৈর্য নিয়ে। বাংলাদেশের জয়ের অপেক্ষা তাই একটু লম্বাই হলো।
শেষ ৪ উইকেট তুলতে বাংলাদেশের লেগেছে প্রায় চার ঘণ্টা। অষ্টম উইকেটে নেইলের সঙ্গে ৮৫ বলে ৪৮ আর নবম উইকেটে হোয়ের সঙ্গে ১৯১ বলে ৫৪ রান তুলে ক্যাম্ফার তৈরি করেছিলেন বেশ চাপই। তাঁদের সেই লড়াই বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে একটু দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলেছিল কি না, কে জানে!
আরও পড়ুনক্যাম্ফারের ‘যন্ত্রণা’ পাশ কাটিয়ে স্বস্তির হাসি বাংলাদেশের২ ঘণ্টা আগেম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন জানালেন, এই লড়াইয়ের মধ্যেও শেখার জায়গাটা আছে, ‘শেখার তো শেষ নেই। আমার মনে হয় যেভাবে কার্টিস ক্যাম্ফার ব্যাটিং করেছে, এতগুলো বল ফেস করেছে, এই জিনিসগুলো থেকেই বোঝা যায়, কতটুকু ডেডিকেটেড হয়ে, কতটুকু কমিটমেন্ট নিয়ে ব্যাটিং করেছে তারা।’
টেস্ট দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টা, শিক্ষককে গণপি
মুন্সীগঞ্জ শহরের পিটিআই ইনস্টিটিউশনের পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ক্যাম্পাসে তুমুল বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। বিক্ষোভে স্থানীয়রা যোগ দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাড়ী শহরের হাটলক্ষ্মীগঞ্জ এলাকায়। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম রোমান মিয়া। বাড়ি সিলেটের লাখাই উপজেলায়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) স্কুল ছুটির পর শিক্ষক রোমান মিয়া ভুক্তভোগী ছাত্রীকে বাথরুমে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। বাড়ি ফিরে শিশুটি তার মাকে ঘটনা জানালে সাপ্তাহিক ছুটির পর রবিবার অভিভাবক ও স্থানীয়রা বিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে প্রতিষ্ঠানটির সুপারিনটেনডেন্টের কার্যালয় ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তকে গণপিটুনি দেন।
পিটিআইয়ের একাধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা শিথিল।
উত্তর ইসলামপুর এলাকার অভিভাবক শিমু বেগম বলেন, ‘‘আমরা সন্তানদের নিরাপদ পরিবেশে স্কুলে পাঠাই। শিক্ষকই যদি এমন অপরাধ করে, তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা থাকে কীভাবে?”
এ সময় পরিস্থিতি শান্ত করতে প্রশাসন মাইকিং করে অভিভাবক ও স্থানীয়দের শান্ত থাকার আহ্বান জানায়।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফিরোজ কবির বলেন, “পিটিআইয়ের একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে আমরা তাকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করি এবং হাসপাতালে পাঠাই। বাদীপক্ষ মামলা করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। অভিযোগ যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে।”
এ ঘটনায় মামলা হলে রোমানকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অভিভাবক ও স্থানীয়দের দাবি, অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।
ঢাকা/রতন