শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে নোয়াখালীর ১২ শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ
Published: 10th, November 2025 GMT
শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে আজ সোমবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পাঠদান বন্ধ রয়েছে নোয়াখালীর নয়টি উপজেলার ১ হাজার ২৫৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। শিক্ষকেরা যথারীতি বিদ্যালয়ে হাজির থাকলেও পাঠদান করছেন না।
আজ সকালে জেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, শিক্ষকেরা নিজেদের কর্মসূচির বিষয়ে আলাপ-আলোচনায় ব্যস্ত। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে খেলাধুলায় মেতে রয়েছে এসব শিক্ষার্থী।
বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে শহরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, অল্প কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থী বিদ্যালয় আঙিনায় ঘোরাফেরা করছে। বিবি ফাতেমা নামের এক শিক্ষার্থী বলে, ‘স্যার-ম্যাডামেরা বলেছেন ক্লাস হবে না। তাই আমরা খেলাধুলা করছি। একটু পরই বাড়ি ফিরে যাব।’
শহরের হরিনারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অরুনচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়েও একই চিত্র দেখা যায়। হরিনারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের বিদ্যালয়ে ৬৩২ জন শিক্ষার্থী। শিক্ষক আছেন ১৫ জন। শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। তাই আজ দ্বিতীয় দিনের মতো কোনো শ্রেণিতে পাঠদান হয়নি। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভালো ছিল, কিন্তু তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অনেকেই বিদ্যালয়ে আসেনি।
লক্ষ্মীনারায়ণপুর পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.
শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন অভিভাবকেরা। শহরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার মেয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। বিদ্যালয়ে গিয়ে কিছুক্ষণ পর বাসায় ফিরে এসেছে। জানতে চাইলে সে জানায়, শিক্ষকদের নাকি কর্মবিরতি চলছে, এ কারণে ক্লাস হয়নি। সামনে বার্ষিক পরীক্ষা, এমন সময় শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলতে থাকলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইসরাত নাসিমা হাবীব প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে জেলার ৯টি উপজেলার ১ হাজার ২৫৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম আল ক ন র য়ণপ র করছ ন সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে নোয়াখালীর ১২ শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ
শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে আজ সোমবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পাঠদান বন্ধ রয়েছে নোয়াখালীর নয়টি উপজেলার ১ হাজার ২৫৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। শিক্ষকেরা যথারীতি বিদ্যালয়ে হাজির থাকলেও পাঠদান করছেন না।
আজ সকালে জেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, শিক্ষকেরা নিজেদের কর্মসূচির বিষয়ে আলাপ-আলোচনায় ব্যস্ত। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে খেলাধুলায় মেতে রয়েছে এসব শিক্ষার্থী।
বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে শহরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, অল্প কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থী বিদ্যালয় আঙিনায় ঘোরাফেরা করছে। বিবি ফাতেমা নামের এক শিক্ষার্থী বলে, ‘স্যার-ম্যাডামেরা বলেছেন ক্লাস হবে না। তাই আমরা খেলাধুলা করছি। একটু পরই বাড়ি ফিরে যাব।’
শহরের হরিনারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অরুনচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়েও একই চিত্র দেখা যায়। হরিনারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের বিদ্যালয়ে ৬৩২ জন শিক্ষার্থী। শিক্ষক আছেন ১৫ জন। শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। তাই আজ দ্বিতীয় দিনের মতো কোনো শ্রেণিতে পাঠদান হয়নি। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভালো ছিল, কিন্তু তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অনেকেই বিদ্যালয়ে আসেনি।
লক্ষ্মীনারায়ণপুর পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সামছুদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষকদের সংগঠনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী তাঁরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এ কারণে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো শিক্ষকেরা শ্রেণিকক্ষে যাননি। তবে সব শিক্ষকই কর্মস্থলে উপস্থিত রয়েছেন।
শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন অভিভাবকেরা। শহরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার মেয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। বিদ্যালয়ে গিয়ে কিছুক্ষণ পর বাসায় ফিরে এসেছে। জানতে চাইলে সে জানায়, শিক্ষকদের নাকি কর্মবিরতি চলছে, এ কারণে ক্লাস হয়নি। সামনে বার্ষিক পরীক্ষা, এমন সময় শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলতে থাকলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইসরাত নাসিমা হাবীব প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে জেলার ৯টি উপজেলার ১ হাজার ২৫৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন