টাঙ্গাইল-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খানের একটি অডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে তার বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক খালেক মণ্ডলকে মারধরের হুমকি এবং আপত্তিকর ভাষায় কথা বলার অভিযোগ উঠেছে। তবে আহমেদ আযম খান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ওই অডিও এডিট করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ দিকে আব্দুল খালেক মন্ডলকে মুঠোফোনে হুমকির প্রতিবাদে আযম খানের বিচার ও তাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড। 

রবিবার দুপুরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের উদ্যোগে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধনে সংহতি জানান কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকী। 

তিনি এ সময় বলেন, ‘‘খালেক মন্ডলকে হুমকি দেয়া মানে আমাকে এবং দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাকে হুমকি দেয়া হয়েছে।’’

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য সচিব আব্দুল হামিদ, সাবেক সদস্য সচিব শেখ হাবিব, সদরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক মো.

নুরুজ্জামান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মিয়া প্রমুখ। 

বক্তারা বলেন, বাসাইল-সখীপুর আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আহমদ আযম খান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে যেভাবে মোবাইল ফোনে গালিগালাজ ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন সেটা কোনো ভালো মানুষের পরিচয় বহন করে না। এমন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের জন্য তাকে সমগ্র জাতি ও বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। 

একইসঙ্গে দল থেকে আযম খানের মনোনয়ন বাতিল ও বহিষ্কারের দাবি জানান মুক্তিযোদ্ধারা। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

উল্লেখ্য খালেক মণ্ডলের বাড়ি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। বর্তমানে তিনি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। 

তিনি জানান, গত বুধবার বেলা ৩টা ৩৫ মিনিটে আহমেদ আযম খান তাকে ফোন করেন। তাদের কথোপকথন হয় ৩ মিনিট ৩৫ সেকেন্ড। সেই কথোপকথনের অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

খালেক মণ্ডল বলেন, ‘‘আহমেদ আযম খান আমাকে ফোন করে গালাগাল করেছেন। পিঠের চামড়া থাকবে না বলে হুমকি দিয়েছেন। তিনি আমার সঙ্গে যেভাবে কথা বলেছেন, তার হুবহু রেকর্ডের অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রয়েছে।’’

হুমকি দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে আহমেদ আযম খান বলেন, ‘‘জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক খালেক মন্ডল সাহেব বিএনপির প্রতিপক্ষ কাদের সিদ্দিকীর অনুগতদের নিয়ে বাসাইল সখীপুরে ১৬টি কমিটি দিয়েছেন। যা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির বিরুদ্ধে কাজ করবে। খালেক মন্ডল সাহেব প্রতিনিয়ত বিএনপির মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। এ বিষয়টি আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছি। আমি তাকে হুমকি দেইনি। তিনি এআই দিয়ে ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন। আমি এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’’ 

ঢাকা/কাওছার//

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহম দ আযম খ ন আযম খ ন র ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

টাঙ্গাইলে বিএনপির প্রার্থী আযম খানের অডিও নিয়ে তোলপাড়

টাঙ্গাইল-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খানের একটি অডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে তার বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক খালেক মণ্ডলকে মারধরের হুমকি এবং আপত্তিকর ভাষায় কথা বলার অভিযোগ উঠেছে। তবে আহমেদ আযম খান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ওই অডিও এডিট করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ দিকে আব্দুল খালেক মন্ডলকে মুঠোফোনে হুমকির প্রতিবাদে আযম খানের বিচার ও তাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড। 

রবিবার দুপুরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের উদ্যোগে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধনে সংহতি জানান কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকী। 

তিনি এ সময় বলেন, ‘‘খালেক মন্ডলকে হুমকি দেয়া মানে আমাকে এবং দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাকে হুমকি দেয়া হয়েছে।’’

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য সচিব আব্দুল হামিদ, সাবেক সদস্য সচিব শেখ হাবিব, সদরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক মো. নুরুজ্জামান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মিয়া প্রমুখ। 

বক্তারা বলেন, বাসাইল-সখীপুর আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আহমদ আযম খান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে যেভাবে মোবাইল ফোনে গালিগালাজ ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন সেটা কোনো ভালো মানুষের পরিচয় বহন করে না। এমন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের জন্য তাকে সমগ্র জাতি ও বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। 

একইসঙ্গে দল থেকে আযম খানের মনোনয়ন বাতিল ও বহিষ্কারের দাবি জানান মুক্তিযোদ্ধারা। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

উল্লেখ্য খালেক মণ্ডলের বাড়ি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। বর্তমানে তিনি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। 

তিনি জানান, গত বুধবার বেলা ৩টা ৩৫ মিনিটে আহমেদ আযম খান তাকে ফোন করেন। তাদের কথোপকথন হয় ৩ মিনিট ৩৫ সেকেন্ড। সেই কথোপকথনের অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

খালেক মণ্ডল বলেন, ‘‘আহমেদ আযম খান আমাকে ফোন করে গালাগাল করেছেন। পিঠের চামড়া থাকবে না বলে হুমকি দিয়েছেন। তিনি আমার সঙ্গে যেভাবে কথা বলেছেন, তার হুবহু রেকর্ডের অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রয়েছে।’’

হুমকি দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে আহমেদ আযম খান বলেন, ‘‘জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক খালেক মন্ডল সাহেব বিএনপির প্রতিপক্ষ কাদের সিদ্দিকীর অনুগতদের নিয়ে বাসাইল সখীপুরে ১৬টি কমিটি দিয়েছেন। যা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির বিরুদ্ধে কাজ করবে। খালেক মন্ডল সাহেব প্রতিনিয়ত বিএনপির মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। এ বিষয়টি আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছি। আমি তাকে হুমকি দেইনি। তিনি এআই দিয়ে ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন। আমি এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’’ 

ঢাকা/কাওছার//

সম্পর্কিত নিবন্ধ