হাফেজ হতে বাকি ছিল এক পারা, ছেলেটি চলে গেল কার অবহেলায়
Published: 10th, October 2025 GMT
পবিত্র কোরআন শরীফের ২৯ পারা মুখস্থ করেছিল আব্দুল বাছির রনি। হাফেজ হতে আর মাত্র এক পারা বাকি ছিল ১৬ বছর বয়সী এই কিশোরের। তবে, তার আগেই নিভে গেল তার প্রাণপ্রদীপ।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) ভোরে ফজরের নামাজের জন্য অজু শেষে একটি লোহার পাইপ ধরে ওঠার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় রনি। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান সহপাঠী ও শিক্ষকরা। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় মদপানে আরো দুজনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ৪
সড়ক দুর্ঘটনায় রাবি অধ্যাপক নিহত
এ ঘটনার পরে স্থানীয় সচেতন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, ছেলেটি চলে গেল কার অবহেলায়? মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছিল কি না সেটা তদন্ত করে দেখা দরকার। এ ঘটনায় তাদের কোনো গাফিলতি থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
আব্দুল বাছির রনি নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের হারুলিয়া গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে ও কেন্দুয়া পৌরসভার দিগদাইর জামিয়া ইসলামিয়া রাশিদিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিল।
রনির মৃত্যুর বিষয়ে জানতে কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করে রাইজিংবিডি ডট কম। তিনি বলেন, ‘‘এ ঘটনায় রনির বাবা শহীদ মিয়া বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’
ঢাকা/ইবাদ/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কঠিন পথ মাড়িয়ে সাফল্যের খোঁজে বাংলাদেশ
কে বলবে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টি আজ, বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। কোনো হাক-ডাক নেই, কোনো উত্তেজনা নেই। অথচ সন্ধ্যা ৬টায় দুই দল মাঠে নামবে টি-টোয়েন্টি খেলতে।
টেস্ট সিরিজে আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার পর টি-টোয়েন্টিতে ভালো করার প্রত্যাশা আকাশচুম্বি। সেই প্রত্যাশা হয়তো লিটন অ্যান্ড কোং পূরণ করতে পারবেন। তবে মাঠে নিজেদের সেরাটা দিয়েই সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। শক্তিমত্তা, পরিসংখ্যান বা অভিজ্ঞতা—সব দিক থেকেই এগিয়ে বাংলাদেশ। তবে টেস্টে যেভাবে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে সফরকারী দল, টি-টোয়েন্টিতে এত সহজে হাল ছাড়ার দল নয় তারা।
দুই বছর আগে চট্টগ্রামে দুই দলের সর্বশেষ দ্বিপক্ষীয় সিরিজটি বাংলাদেশ জিতলেও ছেড়ে কথা বলেনি আয়ারল্যান্ড। শেষ টি-টোয়েন্টিতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন পল স্টার্লিংরা। দলটির একাধিক ক্রিকেটার এখন নিয়মিত বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে খেলেন। বাংলাদেশকে তাই সতর্ক থাকতেই হবে।
সঙ্গে চট্টগ্রামে সবশেষ সিরিজটি একটুও ভালো যায়নি বাংলাদেশের। একমাস আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে লিটনের দল। গত জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কা সফর থেকে শুরু করে আইরিশ সিরিজের আগ পর্যন্ত পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় সিরিজের চারটি জিতেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এটাই নিজেদের শেষ আন্তর্জাতিক সিরিজ। এরপর বিপিএল খেলবে। তবে প্রস্তুতির বড় সুযোগ এই সিরিজই। তাইতো অধিনায়ক লিটনের চাওয়া, ২২ গজে কঠিন সময় আসুক তাদের জন্য।
‘‘আমি চাই, আমাদের খেলোয়াড়েরা কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ুক। কিন্তু যে জিনিসটা হয়েছে, শেষ সিরিজে আমরা জিততে পারিনি। এবার চেষ্টা করব কঠিন সময় থেকে বের হয়ে যেন ম্যাচগুলো জিততে পারি।’’
দলীয় সাফল্যে বাংলাদেশ এই ফরম্যাটে এখন আত্মবিশ্বাসী তবে ভাবনা বাড়াচ্ছে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স। বিশেষ করে মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স বেশ ভোগাচ্ছে দলকে। এর মধ্যে শামীম হোসেন পাটোয়ারীকে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়াতে দুই মেরুতে চলে গেছেন অধিনায়ক ও নির্বাচক। নতুন করে দলে যুক্ত করা হয়েছে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে। তার ওপর এখন রাজ্যের সব চাপ।
তবে লিটনের আশা দল ঘুরে দাঁড়াবে, ‘‘খুব একটা চিন্তিত না মিডল অর্ডার নিয়ে। অবশ্যই আমাদের খেলোয়াড়েরা শেষ দুয়েকটা সিরিজে আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারেনি। কিন্তু তারা সবাই প্রুভেন। আমি আশাবাদী, তারা এই সিরিজে ঘুরে দাঁড়াবে।’’
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচ খেলে ৫টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। নিজেদেরকে ফেভারিট মেনেই আজ বন্দরনগরীতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামার অপেক্ষায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
ঢাকা/ইয়াসিন