রাইজিংবিডিতে প্রতিবেদনের পর ১৪ রেলস্টেশনে পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী দিয়েছে ঠিকাদার
Published: 12th, October 2025 GMT
দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডি ডটকমে প্রতিবেদন প্রকাশের পরে লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ের স্টেশনগুলোতে পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সামগ্রী বুঝে পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বুড়িমারী ও পাটগ্রাম স্টেশনের মাস্টার নুর আলম।
এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর ‘লালমনিরহাট স্টেশনের পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ’ শিরোনামে রাইজিংবিডি ডটকমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পর সব স্টেশনে পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী পৌঁছে দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি বিভাগ লালমনিরহাট। এ বিভাগের রেল স্টেশনগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সরকারি ও বেসরকারি দুই ভাবিই পরিচ্ছন্নতা কর্মীসহ পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী সরবরাহ করা হয়। বেসরকারিভাবে পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী সরবরাহ করতে প্রতি দুই বছর পর দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। গত দুই অর্থবছরে লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলের ১৪টি স্টেশনে এসব সামগ্রী সরবরাহের কাজ পায় ক্লিন সার্ভিস নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি স্টেশনে একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও প্রয়োজনীয় পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী সরবরাহ করার কথা। এসব সামগ্রীর মধ্যে আছে—হারপিক, সাবান, লাইজল, ফুল ঝাড়ু, কাঠের ঝাড়ু, ফেসিয়াল টিস্যু, টয়লেট টিস্যু, এয়ার ফ্রেশনার, এডোনিল, ড্যামফিক্স, হ্যান্ডওয়াশ, টয়লেট ব্রাশ, বেলচা, অ্যারোসল, মপ, ফিক্সল ও বালতি। ১৪টি স্টেশন পরিষ্কার বাবদ প্রতি মাসে বিল ধরা হয় ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
বেসরকারিভাবে পরিচালিত স্টেশনগুলো হচ্ছে— আদিতমারী, কাকিনা, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম, বুড়িমারী, কাউনিয়া, গাইবান্ধা, বোনারপাড়া, বগুড়া, দিনাজপুর, সেতাবগঞ্জ,পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড়।
নিয়ম অনুযায়ী, ঠিকাদার পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী স্টোরকিপারকে অবগত করে স্ব স্ব স্টেশনে পৌঁছে দিয়ে প্রত্যয়ন সাপেক্ষে বিল উত্তোলন করবেন। কিন্তু, গত অর্থবছরের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত বেসরকারিভাবে পরিচালিত ১৪টি স্টেশনে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের বেতন দেওয়া হলেও কোনো পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর রাইজিংবিডিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পরে নড়েচড়ে বসে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। অবশেষে যুক্তি অনুযায়ী পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সংবাদ প্রকাশের পরদিন এসব সামগ্রী সব স্টেশনে পৌঁছে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বুড়িমারী ও পাটগ্রাম স্টেশনের মাস্টার নুর আলম বলেছেন, সংবাদ প্রকাশের পর চুক্তিমতো সমুদয় পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী বুঝে দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এজন্য রাইজিংবিডিকে ধন্যবাদ।
ক্লিন সার্ভিসের মালিক ওয়ালিউর রহমান বলেছেন, আমার প্রতিনিধি গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে কিছু সামগ্রী স্টেশনে পৌঁছে দিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে তারা আরো দিয়েছেন। অসুস্থ থাকায় এসব সামগ্রী সময়মতো পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়নি।
অফিস সহকারী ও স্টোরকিপার নুরুজ্জামান সরকার সোহেল বলেছেন, আমার বিষয়ে যারা অভিযোগ দিয়েছেন, তা মিথ্যা ছিল। এই বিষয়টি পুরো দেখভাল করতেন ঠিকাদার। ইতোমধ্যে পাওনা পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী স্টেশনগুলোতে পৌঁছে দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
ঢাকা/সিপন/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ট শনগ ল ব সরক র সরবর হ র পর চ প রক শ র লওয়
এছাড়াও পড়ুন:
উত্তর কোরিয়ার ‘সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক অস্ত্র’ উন্মোচন করলেন
উত্তর কোরিয়ার নেতা জং উন দেশটির সর্বাধুনিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ও আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) উন্মোচন করেছেন। ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার রাতে অনুষ্ঠিত এক সামরিক কুচকাওয়াজে এই অস্ত্র প্রদর্শন করা হয়।
শনিবার (১১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।
আরো পড়ুন:
দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ‘বিশেষ অস্ত্র’ মোতায়েন করল উত্তর কোরিয়া
পারমাণবিক অস্ত্র ছাড়তে না বললে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত কিম
প্রতিবেদনে বলা হয়, কুচকাওয়াজে প্রদর্শিত অস্ত্রগুলোর মধ্যে ছিল হোয়াসং-১১এমএ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং হোয়াসং-২০ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, যেগুলোকে উত্তর কোরিয়া দেশটির ‘সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক কৌশলগত অস্ত্র ব্যবস্থা’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
পিয়ংইয়ংয়ে এই অনুষ্ঠানে বিদেশি অতিথিদের মধ্যে ছিলেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং, রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান উপ-প্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ এবং ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা তো লাম।
উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হোয়াসং-২০ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটির সক্ষমতা নিয়ে এখনো কোনো পরীক্ষা করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের কার্নেগি এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের পরমাণু নীতি প্রোগ্রামের স্ট্যান্টন সিনিয়র ফেলো অঙ্কিত পান্ডার মতে, “হোয়াসং-২০ আপাতত, উত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার পারমাণবিক সরবরাহ ক্ষমতার উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতীক। দেশটির এই বছর শেষের আগেই তাদের এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে পারে।” আমাদের এই সিস্টেমটি পরীক্ষা করা হবে বলে আশা করা উচিত,” মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক কার্নেগি এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের অঙ্কিত পান্ডা বলেছেন।
তিনি বলেন, “এই সিস্টেমটি সম্ভবত একাধিক ওয়ারহেড সরবরাহের জন্য তৈরি করা হয়েছে। একাধিক ওয়ারহেড বিদ্যমান মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর চাপ বৃদ্ধি করবে এবং ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে অর্থপূর্ণ প্রতিরোধমূলক প্রভাব অর্জনের জন্য কিম যা প্রয়োজনীয় বলে মনে করেন তা বৃদ্ধি করবে।”
এছাড়া উত্তর কোরিয়া নতুন হোয়াসং-১১এমএ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটিকে এমন এক ওয়ারহেড দিয়ে সজ্জিত করেছে, যা ‘বুস্ট-গ্লাইড যান’ হিসেবে কাজ করে। এটি মূলত চ্যাপ্টা ও পাখনাযুক্ত একটি গ্লাইডার, যা লক্ষ্যবস্তুর দিকে যাওয়ার সময় অনিয়মিত পথ অনুসরণ করে, ফলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য সেটি শনাক্ত করা বা আটকানো অত্যন্ত কঠিন।
সামরিক কুচকাওয়াজে দেওয়া ভাষণে কিম জং উন বলেন, উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীকে ‘একটি অজেয় সত্তায় পরিণত হতে হবে যা সকল হুমকি ধ্বংস করবে’।
ঢাকা/ফিরোজ