৫ দাবিতে দুই দিনের নতুন কর্মসূচি জামায়াতের
Published: 12th, October 2025 GMT
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে তৃতীয় ধাপে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ১৪ অক্টোবর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগীয় শহরে মানববন্ধন এবং ১৫ অক্টোবর দেশের সব জেলা শহরে মানববন্ধন।
আরো পড়ুন:
চাকসু নির্বাচন: ১১৬২ মনোনয়নপত্র বিতরণ
রাকসু নির্বাচন নিয়ে ৭ দাবি ছাত্রশিবিরের
তৃতীয় দফা কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াতের যৌথ উদ্যোগে ১৪ অক্টোবর যাত্রাবাড়ী মোড় থেকে মৎস্য ভবন হয়ে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার (১২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, “তৃতীয় দফা কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াতের যৌথ উদ্যোগে ১৪ অক্টোবর যাত্রাবাড়ী মোড় থেকে মৎস্য ভবন হয়ে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।”
তিনি আরো বলেন, “জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ঘোষিত পাঁচ দফা দাবির প্রেক্ষিতে গত ১ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে গণসংযোগ কর্মসূচি, ১০ অক্টোবর ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহরে গণমিছিল এবং ১২ অক্টোবর জেলা প্রশাসকদের নিকট স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এসব কর্মসূচি সফল করায় আমি দেশবাসীকে আন্তরিক মুবারকবাদ জানাচ্ছি।”
গোলাম পরওয়ার বলেন, “এসব কর্মসূচিতে জনগণের সর্বাত্মক অংশগ্রহণ প্রমাণ করেছে, জামায়াতের এসব দাবির প্রতি দেশবাসীর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। সরকারের উচিত জনগণের মতামতকে শ্রদ্ধা করে অবিলম্বে জামায়াতের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ সুগম করা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত দেশের জনগণ রাজপথ ছাড়বে না।”
গোলাম পরওয়ার আরো বলেন, “সরকার এখন পর্যন্ত দাবিগুলো মেনে না নেওয়ায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে নিম্নোক্ত তৃতীয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা করছি।”
জামায়াতের ঘোষিত দাবিগুলো মধ্যে রয়েছে- জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের মাধ্যমে গণভোট প্রদান করে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতিকে জুলাই জাতীয় সনদের অন্তর্ভূক্ত করে গণভোট প্রদান করা।
বাকি তিনটি দাবি হলো- অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা; স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
ঢাকাবাসীসহ সারাদেশের জনগণ এবং জামায়াতের সব জনশক্তিকে এসব কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল করার আহ্বান জানান গোলাম পরওয়ার।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ম পরওয় র
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় সভা-সমাবেশে ৩০ দিনের নিষেধাজ্ঞা
চট্টগ্রাম বন্দর সংলগ্ন এলাকায় আগামী ৩০ দিনের জন্য সব ধরনের মিছিল, সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন ও পথসভা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক ও নির্বিঘ্ন রাখতে শনিবার (১১ অক্টোবর) থেকে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
আরো পড়ুন:
কিশোরীকে তুলে কবরস্থানে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামে ‘অরক্ষিত’ হাউজে পড়ে প্রাণ গেল শিশুর
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতে সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।
সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা এলাকাগুলো হলো- চট্টগ্রাম নগরের বারেক বিল্ডিং মোড়, নিমতলা মোড়, ৩ নম্বর জেটি গেট, কাস্টমস মোড় ও সল্টগোলা ক্রসিংসহ চট্টগ্রাম বন্দর সংলগ্ন এলাকা।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের মোট আমদানি ও রপ্তানির সিংহভাগ কার্যক্রম চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। প্রতিদিন প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার পণ্যবাহী যানবাহন বন্দরে চলাচল করে। ফলে বন্দর এলাকার ট্রাফিক স্বাভাবিক রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বন্দর এলাকায় মিছিল, সভা-সমাবেশ বা মানববন্ধন আয়োজনের কারণে যানজট সৃষ্টি হয়ে বন্দরের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটে, যা জাতীয় অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৮-এর ৩০ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
নিষিদ্ধ এলাকা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে- বারেক বিল্ডিং মোড়, নিমতলা মোড়, ৩ নম্বর জেটি গেট, কাস্টমস মোড় ও সল্টগোলা ক্রসিংসহ চট্টগ্রাম বন্দর সংলগ্ন এলাকা। এই নিষেধাজ্ঞা শনিবার (১১ অক্টোবর) থেকে পরবর্তী ৩০ দিনের জন্য বলবৎ থাকবে।
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ