সুনামগঞ্জে আসামিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
Published: 13th, October 2025 GMT
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় আদালত প্রাঙ্গণে সাবেক স্বামীর ছুরিকাঘাতে শরীফা আক্তার (২৮) নামের এক নারী হত্যার ঘটনায় জড়িত সব আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এতে ধর্মপাশা ও নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার লোকজন অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মোহনগঞ্জ পৌর বিএনপির সহসভাপতি শহীদুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর মানিক তালুকদার, নিহত শরীফা আক্তারের মা সাজিদা আক্তার, দেওথান গ্রাম জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা হাবিব উল্লাহ, নারীনেত্রী জয়নাহার বেগম, মোহনগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক তাসলিমা আক্তার প্রমুখ।
নিহত শরীফার ফুফাতো বোন ফরিদা আক্তার (৫০) বলেন, ‘আমার মামাতো বোন শরীফা খুবই শান্ত স্বভাবের মেয়ে ছিল। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সব আসামিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে তাদের ফাঁসি দিতে হবে।’
আরও পড়ুনসুনামগঞ্জে আদালত প্রাঙ্গণে সাবেক স্বামীর ছুরিকাঘাতে নারীর মৃত্যু০৬ অক্টোবর ২০২৫ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি আক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।’
৬ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ধর্মপাশা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে শরীফা আক্তারকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন তাঁর সাবেক স্বামী আক্তার হোসেন। ছয় মাস আগে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জাদুঘরের নিয়োগে ‘প্রত্নতত্ত্ব’ বিষয় অন্তর্ভুক্তির দাবি
জাদুঘরের চাকরির যোগ্যতার তালিকায় ‘প্রত্নতত্ত্ব’ বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। ইতিহাস ও ধ্রুপদি শিল্পকলা বিভাগে ‘সহকারী কিপার’ (গ্রেড–৯) পদে নিয়োগে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে জাদুঘরের মহাপরিচালকের কাছে আবেদনপত্র দাখিল ও মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার দুপুর ১২টায় আবেদনপত্র দাখিল করে জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের পাঠ্যক্রমে ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, শিল্পকলা, জাদুঘরবিদ্যাসহ ইতিহাস ও শিল্প ঐতিহ্য সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় সব বিষয়ের ওপর শ্রেণিকক্ষ, ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ ও মাঠকর্মের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করা হয়। বিভাগটির স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে জাদুঘর–সংক্রান্ত বেশ কিছু বিশেষায়িত কোর্স পড়ানো হয়। যেমন জাদুঘরবিদ্যা: তত্ত্ব ও প্রয়োগ, প্রত্নসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও পর্যটন, অ্যাডভান্সড মিউজিয়াম স্টাডিজ ইত্যাদি।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, তাত্ত্বিক জ্ঞান ও হাতে–কলমে প্রশিক্ষণ ‘সহকারী কিপার’ পদে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের গ্র্যাজুয়েটদের যোগ্য করে তোলে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে এ ধরনের সমন্বিত ও কারিগরি কারিকুলাম চালু রয়েছে বলে তাঁরা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন।
শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, দীর্ঘদিন ধরে দাপ্তরিক পর্যায়ে চিঠিপত্র আদান–প্রদানের পরও জাতীয় জাদুঘরের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রত্নতত্ত্ব বিষয়টিকে যথাযথ স্থান দেওয়া হচ্ছে না। ইতিহাস ও ইসলামের ইতিহাসের পাশাপাশি ‘প্রত্নতত্ত্ব’কে সমমানের যোগ্যতা হিসেবে তালিকাভুক্ত না করায় যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারছেন না।
ইতিহাস ও ধ্রুপদি শিল্পকলা বিভাগে ‘সহকারী কিপার’ (গ্রেড–৯) পদে নিয়োগে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে জাদুঘরের মহাপরিচালকের কাছে আবেদনপত্র দাখিল ও মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা