আড়াইহাজারে ওরশের নামে বাউল গান বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
Published: 1st, December 2025 GMT
আড়াইহাজার ওরশের নামে চলমান বাউল গান বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন তৌহিদি জনতা। সোমবার সকাল ১১ টায় উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের কড়ইতলা গ্রামের কড়ইতলা তালতলা বাজার সংলগ্ন আড়াইহাজার-টু-বিশনন্দী ফেরিঘাট সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, কড়ইতলা এলাকার একটি মাজারে ওরশের নামে গান-বাজনা, মদপান, জুয়ার আসর, মাদক সেবনসহ অসামাজিক কর্মকাণ্ড দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।
এসব কর্মকাণ্ডের ফলে স্থানীয় যুবসমাজসহ নারী-পুরুষ নৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে দাবি করেন তারা। ওরশের নামে অনৈতিক কার্যকলাপ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
অবিলম্বে এসব কর্মকাণ্ড বন্ধে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা এবং তৌহিদি জনতার পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে অসামাজিক কাজ প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ঘোষণা দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গোপালদী বাজার মসজিদের ইমাম মাওলানা আশেক এলাহী, শানে সাহাবা নারায়ণগঞ্জ জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, শানে সাহাবা আড়াইহাজার উপজেলার প্রচার সম্পাদক মুফতি ওবায়দুল্লাহ কাসেমী এবং বিশনন্দী কড়ইতলা মসজিদের ইমাম রেজাউল করিম। মানববন্ধনে স্থানীয় আলেম-ওলামাসহ তৌহিদি জনতা অংশ নেন। এর আগে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বরাবর অসামাজিক কার্যকলাম বন্ধের দাবিতে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। এদিকে মনববন্ধন চলাকালীন সময়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার নাছির উদ্দিন জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। উত্তেজনা এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত আগামী ৫,৬,৭ ডিসেম্বর আড়াইহাজার উপজেলার কড়ইতলা গ্রামের বিল্লাল ফকিরের বাড়িতে তিন দিনব্যাপী বাউল গান অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ওরশ র ন ম
এছাড়াও পড়ুন:
সেলিমা রহমানকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বাবুগঞ্জে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ
বরিশাল–৩ (বাবুগঞ্জ–মুলাদী) আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম সেলিমা রহমানকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন তাঁর অনুসারী নেতা–কর্মীরা। আজ শুক্রবার বিকেলে বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর এলাকায় ঢাকা–বরিশাল মহাসড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
‘বাবুগঞ্জ ও মুলাদী উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ’–এর ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে বিএনপির একাংশের নেতা–কর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেন। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিতে প্রায় এক কিলোমিটার মহাসড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়।
৩ নভেম্বর রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সারা দেশের ২৩৭টি আসনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে বরিশালের ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে প্রার্থী দিলেও বরিশাল–৩ আসনে কাউকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। এতে স্থানীয় নেতা–কর্মীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
আজ বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য ইসরত হোসেন তালুকদারের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. মোহসীন আলম, জেলা যুবদলের সহসভাপতি মো. আওলাদ হোসেন, বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, মো. কামাল সরদার, সেলিম সরদার, দেহেরগতি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মিলন খান, মাধবপাশা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. মাহবুব তালুকদার, উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. পারভেজ মৃধা, মনিরুজ্জামান, মিজানুর রহমান, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মো. আরিফুর রহমান, কৃষক দলের সহসভাপতি মো. মাহবুব আলম তালুকদার, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি মো. আরিফুর রহমান প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আস্থাভাজন নেতা হিসেবে পরিচিত বেগম সেলিমা রহমান দীর্ঘদিন ধরে বরিশাল–৩ আসনের মানুষের পাশে আছেন। তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, ত্যাগ ও সাংগঠনিক দক্ষতা বিবেচনায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী করা সময়ের দাবি। ত্যাগী ও জনপ্রিয় এই নেতাকে উপেক্ষা করে অন্য কাউকে মনোনয়ন দিলে তৃণমূলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হবে এবং দলের সাংগঠনিক শক্তি দুর্বল হবে। নির্বাচনের ফলাফলেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
বক্তারা দ্রুত বরিশাল–৩ আসনে সেলিমা রহমানকে আনুষ্ঠানিক প্রার্থী ঘোষণা করার দাবি জানান। মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এ আসনে চার মনোনয়নপ্রত্যাশী আলোচনায় আছেন। সেলিমা রহমান ছাড়া অন্য তিনজন হলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, কেন্দ্রীয় আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান ও বরিশাল জেলা বিএনপির সদস্য ও মুলাদী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তার খান। তাঁদের মধ্যে সেলিমা রহমান, মনিরুজ্জামান ও আবদুস সাত্তার খান একই মঞ্চে একাধিক সভা–সমাবেশ, উঠান বৈঠক ও গণসংযোগে ‘রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা’ বাস্তবায়নের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। অন্যদিকে ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীনও দলীয় সভা–সমাবেশে সক্রিয় আছেন।