সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে ভাষাশহীদদের স্মরণে নির্মিত জেলার প্রথম শহীদ মিনার ভেঙে স্মারকস্তম্ভ নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। বুধবার দুপুরে ক্যাম্পাসে কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ মানববন্ধন হয়। এদিকে এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের পথ বের করা হবে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।

আজ মানববন্ধনে সুনামগঞ্জের লেখক-গবেষক সুখেন্দু সেন, সাবেক ছাত্রনেতা রেজাউল হক, পঙ্কজ কান্তি দে, মুহাম্মদ মুনাজ্জির হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, মুজাহিদুল ইসলাম, সালেহীন চৌধুরী, মোহাম্মদ রাজু আহমেদ, নাসিম চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন। তাঁরা স্মারকস্তম্ভ কলেজের অন্য কোনো জায়গায় নির্মাণ এবং শহীদ মিনারের ভাঙা অংশ সংস্কারের দাবি জানান। পরে অধ্যক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।

সাবেক ছাত্রনেতা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুহাম্মদ মুনাজ্জির হোসেন বলেন, ‘এটি জেলার প্রথম শহীদ মিনার, ইতিহাসের অংশ। এটি ভাঙা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা কথা বলার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। তাঁরা স্মারকস্তম্ভ কলেজের অন্য জায়গায় নির্মাণ ও শহীদ মিনার যেভাবে ছিল, সেভাবে আবার সংস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন।’

জানতে চাইলে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো.

মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘সাবেক ছাত্রনেতারা আমাদের কাছে এসে তাঁদের দাবির বিষয়টি জানিয়েছেন। আমি এখানে নতুন। আমি বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা প্রকৌশলীর সঙ্গে দ্রুত কথা বলে সমস্যার সমাধান করব।’

সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে ভাষাশহীদদের স্মরণে ১৯৬৬ সালে এই শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছিল। এটি সুনামগঞ্জে ভাষাশহীদদের স্মরণে নির্মিত প্রথম শহীদ মিনার। প্রায় ৬০ বছরের পুরোনো এই শহীদ মিনার ভেঙে ফেলা হচ্ছে। সেখানে নির্মাণ করা হচ্ছে কলেজের ৭৫ বছর পূর্তির একটি স্মারকস্তম্ভ।

সুনামগঞ্জ পৌর শহরের হাছননগর এলাকায় ১৯৪৪ সালে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়। সরকারীকরণ করা হয় ১৯৮০ সালে। কলেজের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০২০ সালের ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী উৎসব হয়। এই উৎসবের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য তখন ক্যাম্পাসে একটি স্মারকস্তম্ভ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। মাসখানেক আগে ওই স্মারকস্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ কোথায় এটি নির্মাণ করা হবে, সেই স্থানটি নির্ধারণ করেছে। স্থান নির্ধারণে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কোনো ভূমিকা নেই।

আরও পড়ুনসুনামগঞ্জের প্রথম শহীদ মিনার ভেঙে স্মারকস্তম্ভ নির্মাণ, সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ-প্রতিবাদ৯ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ সরক র কল জ র প রক শ

এছাড়াও পড়ুন:

‘উৎসব’ নির্মাতার নতুন ছবিতে চমক, দেখা যাবে এক ঝাঁক তারকাকে

নব্বই দশকের গল্প, এক ঝাঁক তারকাশিল্পীর অভিনয় আর নির্মাণ মিলিয়ে চলতি বছরের পবিত্র ঈদুল আজহায় চমকে দিয়েছিল তানিম নূরের সিনেমা ‘উৎসব’। কিছুদিন আগেই নির্মাতা জানিয়েছিলেন, তাঁর পরের সিনেমা হবে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে। এর পর থেকেই কৌতূহল ছিল কোন উপন্যাস অবলম্বনে হচ্ছে নতুন সিনেমা? কারাই–বা আছেন এতে?

বনলতার যাত্রী
গতকাল সন্ধ্যা সাতটায় ৫২ সেকেন্ডের এক মোশন ভিডিওর মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় সিনেমার নাম। তানিম নূরের পরের সিনেমা ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ তৈরি হবে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস ‘কিছুক্ষণ’ অবলম্বনে। প্রকাশিত ভিডিওর পুরোটা সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে ছিল অর্থহীনের গান ‘চাইতেই পারো’। ‘উৎসব’–এ ছিল আর্টসেলের গান। এ সিনেমাতেও থাকছে নব্বইয়ের শেষে যাত্রা শুরু করা আরেকটি ব্যান্ড।  

আবার নস্টালজিয়া
চিত্রা ঢাকা ইউনিভার্সিটির ফিজিকসের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী; অসুস্থ মামাকে দেখতে ট্রেনে যাবে দিনাজপুর। কিন্তু ট্রেনে বিরক্তিকর কোনো যাত্রীর সঙ্গে যেতেও সে রাজি নয়। তাই সে তার বান্ধবী লিলির প্রভাবশালী এক মামার মাধ্যমে টু সিটার স্লিপারের একটি টিকিট দিতে বলেছিল, যেখানে কেউ তার সঙ্গে যাবে না।

‘বনলতা এক্সপ্রেস’ সিনেমা নিয়ে আসছেন তানিম নূর। নির্মাতার সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩৫ বছর পর চাকসু নির্বাচনে উৎসব
  • উৎসব-পার্বণে ডিজিটাল লেনদেন বেশি
  • চাকসু নির্বাচনে উৎসবের আমেজ
  • ভারতে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ বলায় কেন মুসলিমদের ওপর দমন–পীড়ন চলছে
  • ‘উৎসব’ নির্মাতার নতুন ছবিতে চমক, দেখা যাবে এক ঝাঁক তারকাকে
  • এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিন: জিএম কাদের
  • কালীগঞ্জে শখের মাছ শিকারিদের উৎসব
  • বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে উৎসবের আমেজ, প্রার্থীদের শেষ মুহূর্তের দৌড়ঝাঁপ
  • যুক্তরাষ্ট্রের উৎসবে পুরস্কার জিতল ‘নিশি’