এইচএসসি পরীক্ষায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে এ বছর ৪৩টি কলেজের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেননি। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ২০টি।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. তৌহিদুল ইসলাম পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে জিপিএ-৫ কমে অর্ধেক
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার কমে ৪৬.
তিনি জানান, এবার দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় ১ লাখ ৮ হাজার ৬৫৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। উত্তীর্ণ হয়েছেন ৬০ হাজার ৮৮২ জন। গড় পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৫৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ। উত্তীর্ণদের মধ্যে ৬ হাজার ২৬০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ছাত্র ২ হাজার ৭৭৪ জন ছাত্র এবং ৩ হাজার ৪৮৬ জন ছাত্রী।
তিনি জানান, এই বোর্ডে ছাত্রীদের পাসের হার ৬১ দশমিক ৯২ শতাংশ। ছেলেদের পাসের হার ৫২ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
প্রফেসর তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “এবার ইংরেজি বিষয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন। ইংরেজি বিষয়ে ফলাফল উন্নয়নে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠক করব এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।”
তিনি বলেন, “২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় শতভাগ অকৃতকার্য কলেজের সংখ্যা ৪৩টি, আর শতভাগ কৃতকার্য কলেজের সংখ্যা ১১টি। এবারে মোট ২৭ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।”
দিনাজপুর শিক্ষা বের্ডে বিজ্ঞান বিভাগে ২৬ হাজার ১৬৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৯ হাজার ৫২৬ জন; পাসের হার ৭৬ দশমিক ১২ শতাংশ।
মানবিক বিভাগে ৭৪ হাজার ৮০২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৩৮ হাজার ২৪১ জন; পাসের হার ৫২ দশমিক ৫১ শতাংশ।
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৭ হাজার ৬৯১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৩ হাজার ১১৫ জন, পাসের হার ৪২ দশমিক ০৫ শতাংশ।
ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষা বোর্ডের সচিব প্রফেসর নূর মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মীর সাজ্জাদ আলীসহ বোর্ডের কর্মকর্তারা।
ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এইচএসস ফল জন পর ক ষ র থ কল জ র দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
যশোর বোর্ডে পাসের হার কমে ৫০.২০ শতাংশ
যশোর শিক্ষা বোর্ডে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৫০.২০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৯৫ জন শিক্ষার্থী। গত বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুই-ই কমেছে। একইসঙ্গে শূন্য পাসের কলেজের সংখ্যাও বেড়েছে।
বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জুলাই আন্দোলনের প্রভাবের কারণে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে ঘাটতি ছিল। পাশাপাশি খাতা মূল্যায়নে কঠোরতা ও যথার্থতা বজায় রাখায় ফলাফলে এই পরিবর্তন এসেছে।
আরো পড়ুন:
দিনাজপুরের ৪৩ কলেজের সবাই ফেল
চট্টগ্রাম বোর্ডে জিপিএ-৫ কমে অর্ধেক
বোর্ড কর্মকর্তারা বলছেন, অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। তাই, পাসের হার কিছুটা কমেছে।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ১২ হাজার ৫৭৪ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পাস করেছেন ৫৬ হাজার ৫০৯ জন। বিজ্ঞান বিভাগে পাস করেছেন ১৫ হাজার ৯৩১ জন, মানবিক বিভাগে ৩৪ হাজার ৩ জন এবং বাণিজ্য বিভাগে ৬ হাজার ৬৭৫ জন।
জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ছেলে ১ হাজার ৭৭২ ও মেয়ে ১ হাজার ৬০৯, মানবিক বিভাগে ছেলে ৫৪৪ ও মেয়ে ১ হাজার ৬৩৫ এবং বাণিজ্য বিভাগে ছেলে ১৬৪ ও মেয়ে ২৭১ জন।
গত বছর যশোর বোর্ডে পাসের হার ছিল ৬৪.২৮ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৯ হাজার ৭৪৯ জন। এ বছর শূন্য পাশের কলেজের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০টিতে।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আব্দুল মতিন বলেছেন, “জুলাই আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় কিছুটা ঘাটতি ছিল। আমরা খাতার যথার্থ মূল্যায়ন করেছি এবং অসুস্থ প্রতিযোগিতা পরিহার করেছি। তাই, পাসের হার কমেছে।”
তিনি জানান, শূন্য পাসের কলেজগুলোর বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আসমা বেগম বলেছেন, “এ বছরের ফল নিয়ে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই। তবে, শিক্ষার মান উন্নয়নে আমরা অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মেধাবীদের খুঁজে বের করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”
ঢাকা/রিটন/রফিক